ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
-"কি হয়েছে প্রহ্লাদ?" বাইরে বেরিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন রূপেন্দ্র
- সব্বোনাশ হইছে বাবা ঠাকুর গুপালরে নাগে দংশন কইরেছে..কান্নাভেজা কন্ঠে উত্তর দেয় প্রহ্লাদ!
"কি করে বুঝলি নাগে দংশন করেছে ?" শুধায় রূপেন্দ্র!
উত্তরে গোপালকে দেখিয়ে প্রহ্লাদ বলে " দ্যাখেন ছিলাটা এক্কেবারে নেতাই পড়েছে!"
সেই সময়ে গ্রাম বাংলায় সাপের পরিচিতি দুধরনের ছিল! 'সাপ ' ও 'নাগ '! সাপ নির্বিষ আর নাগ মা মনসার বাহন বিষধর! সাপ কামড়ায় কিন্তু নাগ দংশন করে! সাপেরা অন্তজ্য শ্রেণীর নির্বিষ হেলে,জলঢোঁড়া,সোনাতাড়া ইত্যাদি! অন্যদিকে শঙ্খচূড়, কেউটে, খরিস, কালনাগিনী এরা কুলীন ,তাই এরা ' নাগ' নামে পরিচিত!
রুপেন্দ্র লক্ষ্য করলেন,বালকের বাঁ পায়ের গোঁড়ালীতে পাশাপাশি দুটি ক্ষত চিহ্ন!বুঝতে পারলেন দংশনকারী বিষধর সাপ! তবুও জিজ্ঞাসা করলেন," সাপটাকে দেখেছিস? মাথায় চক্র ছিল? কি রং- এর?"
প্রহ্লাদ বলে, " আপনিই দেখেন দেবতা, মাইরে আনছি "
রূপেন্দ্র দেখলেন, সাপটি ভয়ঙ্কর বিষধর! গোখরো বা কেউটে নয় ' বঙ্করাজ 'রাঢ় বঙ্গে কদাচিৎ দেখা যায়!
রূপেন্দ্রর নির্দ্দেশে বালকটিকে ঘরের দাওয়ায় শুইয়ে দেওয়া হ'লো!
এবার রূপেন্দ্র বালকটিকে বিষমুক্ত করার জন্য তাঁর বিচিত্র চিকিৎসা পদ্ধতি শুরু করলেন! বালকটির বাঁ পা উঠিয়ে নিয়ে সর্প দংশানো ক্ষত১ স্হানে ঠোঁট ছোঁয়ালেন!এরপর রক্তচোষা রাক্ষসের মতো অনেকটা চু
রক্ত চুষে বাইরে থু থু করে ফেললেন...একবার...দু বার....তিন বার! এরপর জল দিয়ে কুলকুচি করে মুখটা ধুয়ে ঋেললেন!
দ নির্দ্দেশ দিলেন পায়ের ক্ষত স্হানের বাঁধনটা খুলে দিতে!
(চলবে)
-"কি হয়েছে প্রহ্লাদ?" বাইরে বেরিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন রূপেন্দ্র
- সব্বোনাশ হইছে বাবা ঠাকুর গুপালরে নাগে দংশন কইরেছে..কান্নাভেজা কন্ঠে উত্তর দেয় প্রহ্লাদ!
"কি করে বুঝলি নাগে দংশন করেছে ?" শুধায় রূপেন্দ্র!
উত্তরে গোপালকে দেখিয়ে প্রহ্লাদ বলে " দ্যাখেন ছিলাটা এক্কেবারে নেতাই পড়েছে!"
সেই সময়ে গ্রাম বাংলায় সাপের পরিচিতি দুধরনের ছিল! 'সাপ ' ও 'নাগ '! সাপ নির্বিষ আর নাগ মা মনসার বাহন বিষধর! সাপ কামড়ায় কিন্তু নাগ দংশন করে! সাপেরা অন্তজ্য শ্রেণীর নির্বিষ হেলে,জলঢোঁড়া,সোনাতাড়া ইত্যাদি! অন্যদিকে শঙ্খচূড়, কেউটে, খরিস, কালনাগিনী এরা কুলীন ,তাই এরা ' নাগ' নামে পরিচিত!
রুপেন্দ্র লক্ষ্য করলেন,বালকের বাঁ পায়ের গোঁড়ালীতে পাশাপাশি দুটি ক্ষত চিহ্ন!বুঝতে পারলেন দংশনকারী বিষধর সাপ! তবুও জিজ্ঞাসা করলেন," সাপটাকে দেখেছিস? মাথায় চক্র ছিল? কি রং- এর?"
প্রহ্লাদ বলে, " আপনিই দেখেন দেবতা, মাইরে আনছি "
রূপেন্দ্র দেখলেন, সাপটি ভয়ঙ্কর বিষধর! গোখরো বা কেউটে নয় ' বঙ্করাজ 'রাঢ় বঙ্গে কদাচিৎ দেখা যায়!
রূপেন্দ্রর নির্দ্দেশে বালকটিকে ঘরের দাওয়ায় শুইয়ে দেওয়া হ'লো!
এবার রূপেন্দ্র বালকটিকে বিষমুক্ত করার জন্য তাঁর বিচিত্র চিকিৎসা পদ্ধতি শুরু করলেন! বালকটির বাঁ পা উঠিয়ে নিয়ে সর্প দংশানো ক্ষত১ স্হানে ঠোঁট ছোঁয়ালেন!এরপর রক্তচোষা রাক্ষসের মতো অনেকটা চু
রক্ত চুষে বাইরে থু থু করে ফেললেন...একবার...দু বার....তিন বার! এরপর জল দিয়ে কুলকুচি করে মুখটা ধুয়ে ঋেললেন!
দ নির্দ্দেশ দিলেন পায়ের ক্ষত স্হানের বাঁধনটা খুলে দিতে!
(চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours