ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:

ভারতবর্ষের  নারী  শিক্ষা  ও নারীর  অধিকার  রক্ষার  লড়াই -এর  পথিকৃৎ  হটীর  জীবন  শুরু  থেকে  এক  বিচিত্র  গতিতে  এগিয়েছে! জন্মের  সাথে  সাথে  মাকে  হারিয়েছে! বিবাহের  এক  বছরের  মধ্যেই  স্বামীর  অপঘাতে  মৃত্যুর পর  বরাত  জোরে  সহমরন থেকে  বেঁচেছে!আমার  কৈশোরেই  পিতাকে  হারিয়েছে! তবুও  মচকায়নি  , সমাজপতিদের  রক্তচক্ষুকে  উপেক্ষা  করে নিজের  কর্তব্যে  অবিচল  থেকেছে! হটীর  জীবনকাহিনী  ঘাত  প্রতিঘাতে  পরিপূর্ন! কাহিনীকে  বিস্তারিত  ব্যাখ্যা  না  করে  এবার  সংক্ষিপ্ত  আকারে প্রিয় পাঠকদের  নিকট  তুলে ধরার  চেষ্টা  করছি!
               ১৮৬৯ খ্রীষ্টাব্দ , বাংলা  ১১৭৬  বঙ্গাব্দ! বাংলায়  ভয়ঙ্কর  খরা ' ছিয়াত্তরের  মন্বন্তর !' পর পর  দু বছর অনাবৃষ্টি  তার  সাথে  বাংলার নবাব  মীরজাফরের অনাসৃষ্টি ,কুশাসন! রেজা  খাঁ আর দেবীলালের নৃশংস  প্রজাপীড়ন! গদীর  রক্ষার  জন্য  মীরজাফরের  ইষ্ট ইন্ডিয়া কোঃ কে অস্বাভাবিক  খাজনা  দেওয়ার  প্রতিশ্রুতি নিশ্চিতভাবে  মন্বন্তরের  অন্যতম  কারণ! মন্বন্তরে  মানুষ  না  খেতে  পেয়ে  একদিকে  অনাহারে  মরতে  লাগল, অন্যদিকে  ক্ষিদের  জ্বালা  সহ্য  করতে  না  পেরে  অখাদ্য  কুখাদ্য  খেয়ে মহামারীতে  মরতে লাগল! গ্রামের  পর  গ্রাম  উজাড়  হয়ে  গেল!গোদের  উপর  বিষফোঁড়া  মতো  বর্গীর  আক্রমনে  জনজীবন  বিপর্যস্ত  হয়ে  পড়ল!রাঢ় বঙ্গের  মানুষ  একমুঠো  খাবারের  আশায়  পাড়ি  দিতে  শুরু করল  পশ্চিমে! বিহার,যুক্ত প্রদেশ  ,দিল্লীর  দিকে!সেখানে  কিছুটা  বৃষ্টি  হয়েছে  তাই  হয়তো  মিলবে  একমুঠো  করে  খাবার...এই  আশাটুকু  সম্বল  করেই  তাদের  সাতপুরুষের  ভিটের  মায়া  ত্যগ  করে  অজান  অচেনা  পথে  পাড়ি  দেওয়া। (চলবে)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours