জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা:

জ্ঞানের সাথে শিক্ষার সম্পর্কতা যখন এবং যেমনভাবে স্পষ্ট হবে, তেমনভাবেই
বাংগালীরা বুঝ্রতে পারবে
------ কেমনভাবে প্রথমে ইংরাজীয়ানা, পরে ক্রমানয়ে রাজনৈ্তিক উসৃংখলতা, সরকারী অভিবাবকত্বের ঘৃ্নিত অবস্থানে নেমে আসা এবং শেষপর্য্যন্ত জ্ঞানের উপরে উপরে অনুমান এবং ইতিহাসের উপরে বিশ্বাস
সংস্থাপনের মধ্য দিয়ে, যেগততে  জ্ঞানের পঞ্চাপ্তি ঘটানো হয়েছে,
----   সেই গতিতেই রাজনৈতিক দিক থেকেই, দেশে অমানবিক শক্তিগুলি এক হয়ে, ভারতটাকে ভেঙ্গে দেওয়ার পথ করে নিচ্ছে।
নোবেল বিজয়ী শ্রী ভেঙ্কটরমন রামকৃ্ষনান সম্প্রতি, এই প্রসঙ্গেই সাম্প্রতিক কালে  বলেছেনঃ
, "Science flourishes when there is freedom of thought" এই সুত্র ধরেই, এই প্রবন্ধের  শিরোনামাকে সামনে এনে যদি আজকের কালকে খুজে পাওয়ার চেষ্টা হয়
----  তবে সামাজিক-রাজনৈতক এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকে কেন আমরা এবং দেশ  পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়েছে তার একটা চালচিত্র ধরা পরবে।এইভাবে রোগের কারনগুলি নির্নয় করেই, রোগের অসুধটিকেও মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার সুযোগ পাওয়া জাবে।
রাজনীতির নীতিহীনতা যেমন ভাবে সরকারগুলিকে আর্থ-রাজনীতিকে আর্থিক উৎপাদনকে সামগ্রিক বন্ঠন নীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে, তেমনভাবেই সমাজ নিজেই,
-------  উৎপাদন-বন্ঠনের দ্বন্দ্বে, সংকটের কারন হয়েছে, সেই সংকটেরই ক্রম-আবর্তনের ভিতর দিয়ে  বিশৃংখলার কারন  হয়েছে। কার্ল মার্ক্স  আধুনিক ইতিহাসের, নিয়মগুলি খুজে পেতে, প্রতি দশবারো বছরে এক একটি আবর্তন চক্র খুজে পেয়েছিলেন। সে কথাটাই আগের লেখায় উল্লেখ করা প্রয়োজন।

এই এক একটি চক্রের  পুংখানপুঙ্খ  বিশ্লেষনের ভেতর দিয়েই তিনি, খুজে পেলেন
------- সংকটকাল  কোন সরকার যখন, উৎপাদনের সাথে বন্ঠনের সামঞ্জস্য স্থাপন করিয়ে, সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলিক এবং তার শিক্ষা ও বিজ্ঞানের সংস্কৃতির আধারে নিয়ে আসতে যখন ব্যর্থ  হয়
-------- তখনি কোন রাজনৈ্তিক ব্যবস্থা,রাজনীতিহীনতার সংকটে পতিত হয় এবং তখনই কোন সমাজ, শিক্ষা, সংস্কৃতি জ্ঞান বিজ্ঞান সহ জীবনের সর্বক্ষেত্রে সংকটের আবর্ত পতিত হয়।
এই সুত্রেই নোবেল জয়ী, বেঙ্কটরমন রামকৃষ্ণনানের বলা অন্য কথাটিকে সমাজ বিজ্ঞানের গবেষকদের বিবেচনায় নিয়ে আসা উচিত হবেঃ
তিনি প্রশ্ন তোলেন - " India has failed to do enough in field of scientific research despite the fact that the country’s Constitution stresses on the need of scientific temperament"

একজন বৈজ্ঞানিকের চিন্তনের বিকাশ ঘটানোর প্রশ্নে যে সমস্যা হওয়ার কথা সেটাই নবেল বিজয়ী উল্লেখ করছেন। পূর্বের মন্তব্যে তিনি উল্লেখ করলেন, চিন্তনক্রিয়াকে যদি এগিয়ে রাখতে হয়,
------ নিশ্চিতভাবেই সুস্থ সামাজিক রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সামাজিক অবস্থান বিরাজমান থাকতেই হবে। এখানে, আজকের ভারতীয় অবস্থায়, উল্লেখিত 'সুস্থতা' একটি সর্ত যাকে ইংরাজীতে 'Qualifying' উপাদনের প্রশ্নে দৃষ্টী আকর্শন করবে।
------ এই সুস্থ্যতা  'সম্মুখগামী'তায় যুক্তিবাদি, প্রমান সাপেক্ষ মানবিক আবেগ অবিমুখীন হবে অথবা 'ধারনা' বা ' বিশ্বাস সর্বস্ব বেলেল্লাপনার পশ্চাতমুখীনতায় 'সিগমন্ড ফ্রয়েডের' যৌন সর্বস্বতায় গিয়ে শেষ হবে।
এই সুত্র ধরেই যদি এগুতে হয়,
 বর্তমানের কালগত অবস্থান নেওয়ার সমস্যা থেকেই যদি নোবেল বিজয়য়ীকে যদি বিচলিত করে থাকেঃ 
সব রকম সৃজনী কিংবা গবেষনার সর্ত হিসেবে - উৎপাদন এবং বন্ঠনের  সন্তুলনকে  নিশ্চিতি দিতেই হবে। অনুরুপভাবে বন্ঠনের নিশ্চিতিহীনতায়,
কোন সরকারের কাজটাই হবে
------- পশ্চাতমুখীনতার অনুমান সর্বস্বতার অমানবিকতার পথেই মানুষকে ক্রমাগত ঠেলে নিয়ে যাওয়া। রাজণীতিহীনতার রাজনীতি, অরজাকতার তঞ্চকতা ব্যতিরেখে তেমন রাজনীতির রাজনীতিহীনতায়  অস্বমিত হওয়া
ছাড়া অন্যপথ কিছুতেই খোলা থাকতে পারে না। বাকি সবটাই আনুসাংগিক।
------- এইভাবে বন্ঠনহীনতায় উৎপাদনের অস্তিত্ব কোথায়?  শিল্পপুজী যখন অস্তমিত তখন বানিজ্যিক পুজির ঘারে চেপে 'সৃজনমুখীন গবেষনার অস্তিত্ব কোথায়?
 জবাবে পালটা প্রশ্নটা নিশ্চিতভাবেই আসতে পারে।
------  কেন আমরা ইস্ত্রো করেছি, তাই না চাদেঁ উঠছি, আমরা কত ধরনের মোটরগাড়ী, রেল ইঞ্জিন বানাচ্ছি, কতনা ছোট বড় প্রসাধন এবং ভোগ্য সামগ্রী।
পাল্টা প্রশ্ন উঠবেই। তাই যদি হবে, তবে কেন গন সৃজনীর উন্মুক্তি ঘটিয়ে জ্ঞান এবং সংস্কৃতির সাথে সব সৃজনকে মানবিক পথে চালিত হতে পারছে না।কেন বানিজ্যিক ঘাটতি দূর করার জন্য, কেন এখন আমাদের unalloyed labor শ্রম এবং এমন কী মহিলা শক্তি রপ্তানী করতে হচ্ছে, ঘড়ালি কাজ করতে।সংস্কৃতি কে সেক্স এবং মারামারিতে নামাতে হচ্ছে, সোজাকথা সোজাভাবে
বলা যাচ্ছে নয়া? বর্নাশ্রম ধর্মী এক ধরনের দাসত্বে দেশকে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে।
------ সব থেকে বড় কথা, স্বাধীনতার দিন যে চিন, ভারত থেকে শিল্পোৎপাদনে এতোই পিছিয়ে ছিলও, একটা আলপিনো আমদানী করতে হোত, সেই চিনের মুখোমুখী হতে বিশ্ব পরাক্রমী আমেরিকাও হিমসিম খাচ্ছে। আর ভারত, উন্নয়নের দিকে চিনের 'হাটু' অতিক্রম করে উপরে  উঠতে পারলো না।
ইতিমধ্যে যে শিল্পকাঠামো নির্মান করা হয়েছিলো
সেগুলিকে নষ্ট করে দেওয়া হোল,
শিল্প কাঠামোটাকেই যখন জোড়াতালিতে বদলে
দিয়ে, বানিজ্যিক পুজিতে বদলে দেওয়া হোল, তখন
বৈজ্ঞানিকদের গবেষনার যায়গাটাই শেষ হয়ে যায়।

কোন রাষ্ট্র যখন মানুষের উপরে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে,যখন মেনে চলে
যেন ভারতীয় মানুষের আর কিছু দেওয়ার নেই,
তখনই এসব গল্প বেড়ুয়ঃ
(ক)) অর্জুনের ধনুকের ডগাতেই যখন পরমানবিক অস্ত্র ছিলো তখন বিজ্ঞানীরা মহাভারত আর রামায়নের উপরেই  গবেষনা চালাতে পারেন
(খ) ক্যান্সারের আর গবেষনার প্রয়োজন নেই, পর্য্যাপ্ত গাজার চাষ করা হক ইত্যাদি ইত্যাদি।
(গ) ইতিহাসের উপরে এতো গবেষনার কী প্রয়োজন, নাথুরাম যখন একটি বিশেষ ধর্মীয় পন্থী, তখন নিশ্চিতভাবেই মহাত্মাকে আত্মহত্যা করাতেই হবে।

এমন ধারনা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেন
সোভিয়েতের ভাঙ্গনে গ্লোবালাইজেন যখন অসবম্ভাবী তখন
স্বয়ংসম্পুর্নতার কোন প্রশ্নটাই নেইঃ
যেন কোন পরাধীন দেশে গবেষনার কোন যায়গাই নেই। অথচ পরাধীন
দেশেই রবীন্দ্রনাথ তো বটেই, সাথে সাথে সি ভি রমন নোবেল পেয়েছিলেন এবং
জগদীশ চন্দ্র বোসের মতো বৈজ্ঞানিকের  জন্ম হয়েছিলো ।

শুধু চিনকে নয়, পুরো ইউরোপকে গ্লোবালাইজেসানকে মানতে হয়েছিলো
বোধ হয় একবার উল্লেখ করেছিলামঃ
--- ইউরোপীয় গবেষকদের এক সেমিনারে জানতে ছিলামঃ
পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলির কপালেও কী সেটাই লেখা আছে যা ঘটেছে
সোভিয়েতে? সোভিয়েত ডুবে যাওয়ার আসল কারন যদি  ইলেক্ট্রনিক
গবেষনায় মুল অনুদানের প্রশ্নেই আমেরিকার হাতে হেরে গিয়ে থাকে
তবে এই প্রশ্নেই ইউরোপ শেষ হয়ে জাবে।
---- ফ্রান্স এবং জার্মাণীর গবেষকরা যে আত্মপ্রত্যয় দেখিয়েছিলেন, তাতে আমার চিন্তনেও ঝিলিক খেয়েছিলো। তারা জানিয়েছিলেন, এই গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নে তারা যথেষ্ট সচেতন এবং সোজা জানিয়েছিলেন
---- পরব্ররতী দশ বছরের মধ্যে, ইলেক্ত্রনিক্সের বুনিয়াদী উপাদান সম্পর্কে
স্বয়ংসম্পূর্ন হয়ে যাবে।
সে সেমিনারের পর দশ বছর কেটে গেছে, ইউরোপ তার সেই বিশ্বাস ধরে এগিয়েছেন কীনা জানা নেই। তবে সেদিন সেই আত্মবিশ্বাস এবং নিজেদের
সংকটের যায়গাটিকে অকপটে মেনে নেওয়ার গুনকে সেলাম জানিয়েছিলাম।
--- তবে ইতিমধ্যে চিন যে সব বাধা ভেংগে যে আমেরিকার কাছাকাছি
যেতে পেরেছে, সেটা স্পষ্ট।

 BUT INDIA,! SHE IS MADE TOTALLY DESTROYED ITS' INDUSTRIAL BASE AND MOST O HER INDUSTRIAL MANPOWER AND SCIENTIFIC INSTITUTIONS
---- কেন? কারন আমরা ইতিমধ্যেই নিজেদের আমদানী নির্ভর শিল্পকাঠামোতে বদলে দিয়েছি।আমাদের বৈজ্ঞানিকরা, আমেরিকায় গিয়ে গবেষনা করেন
----- সেই গবেষনার যান্ত্রিক রুপকেই আমরা,
আমেরিকা মিলিটারীতন্ত্রের  কাছ থেকে আমদানী
করাটিকেই ভবিতব্য বলে মেনেছি।
কাজেই, আমাদের গবেষনার প্রয়োজন কোথায়।
সে কারনেই আমরা ঠিক করলাম ----
অর্জুনের ধনুকে তির হয়ে, মহাভারত এবং রামায়ন
অভিযানে নামবো। (ক্রমশঃ)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours