জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা:

একটা দেশ
-----জনসংখ্যা তখন এক'শ কোটির কিছু উপরে।
-----স্বাধীনতা ইতিমধ্যে ৪৫ বছরে সংহত।
-----অর্থনীতির ভিত্তি হিসেবে সরকারী ক্ষেত্র ইতিমধ্যে বহূদুর বিস্তৃত। তিনদিনে খাবলা মেরে ভেংগে ফেলার সম্ববনা ছিল না।
----- প্রযুক্তি না হলেও, ভারতের ট্যাকনিক্যাল জনশক্তি বিশ্বের পঞ্চম।শিল্পোৎপাদনের দিক থেকে, দেশে যে বিপুল সংখ্যক গবেষনা কেন্দ্র ইতিমধ্যে প্রযুক্তির দিকে গড়ে উঠেছিলো, তাতে হতাস হওয়ারো কিছু ছিল না। বুনিয়াদী প্রযুক্তিতে তখন ইউরোপ নিজে কিংবা চিন দেশও আমেরিকার উপর নির্ভরশীল।
----- দেশে ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় কৃ্ষি বিপ্লব সংগঠিত বিপুল হারে না হলেও,উৎপাদনের হার স্থিতিশীল ছিল বলা যাবে।
----- প্রশাসন কাঠামোতে ঔপনিবেশিক এবং সামন্তিক প্রাধান্য থাকলেও, দেশের অর্থনীতিকে একটা স্বাধীন গতিপথ ধরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যোগ্যতা ইতিমধ্যেই আয়ত্ব করতে পেরেছে।
----  যুক্ত ফ্রন্ট সরকারের সময়ে অনেক ডামাডোল সত্বেও তিনটি বড় কাজ করে দিয়েছিলো। প্রথমতঃ শ্রীমতি ইন্দিরার সময় পর্য্যন্ত প্রশাসনে যেঁ সামন্তিক এবংঔপনিবেশিক সম্পর্কগুলি বিরাজমান ছিলো,সেগুলির অনেকটাই কেটেছেটে দিয়েছিলো দ্বিতীয়তঃ সারকারিয়া কমিটি যেমন প্রশাসনিক সংস্কারের দরজা যেমন খুলেদিয়েছিলো, তেমনি কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ককেও অনেকটাই গনতান্ত্রিক ভিত্তির উপরে প্রতিষ্টা করতে পেরেছিলো। এই সংস্কারটাই আজ ফ্যাসিবাদ নিয়ে আসার বিরুদ্ধে একমাত্র রক্ষাকবজ হিসেবে কাজ করছে। তৃ্তীয়তঃ সে সময়ে ফিস্কাল নীতিকেও সংশোধন করে, কেন্দ্র-রাজ্যে অর্থ-বন্ঠন নীতিকে অনেক সহজ করে দিয়ে এক ধরনের পারস্পরিকতার সম্পর্ক নিয়ে আসতে পেরেছিলো।

ইতিহাসের কাছে, এখানেই একটা বড় প্রশ্ন দাড়িয়েছে, জন সংখার দিক থেকে যেঁ জাতি ইতিমধ্যে আর্থ-সামাজিক-রাজনীতির দিক থেকে অনেকটাই সন্তুলিত
--- সেই জাতী কেন লোটা-কম্বল নিয়ে, আমেরিকার পদতলে আশ্রয় নেবে। যেঁ কাজ ইউরোপ করে নাই, চিন সেই দেশের সাথে আরো নিবিড় অর্থনৈতক সম্পর্ক রেখেও চিন্তাতেও আনতে পারে নাই , তা কেন ভারত করতে গেলো।----
---  এসবের পরিনতিতে আজ দেশের পরিস্থিতি এ যায়গায় যেঁ, প্রধানমন্ত্রিকে বছরে সাত বার করে ওয়াসিংটন গিয়ে প্রনামী দিয়ে আসতে হয়। গলা মিলিয়ে বিশ্বফ্যাসিস্ত চুড়ামনির হয়ে ভোটের প্রচার করতে হয়।

এটা বিশ্ব মেনেছে এবং ভারতো মেনেছিলো, হটাৎ করেই যখন সোভিয়েত ভেংগে গেলো, তখন  যে অর্থনীতি এতোকাল, সেই ভেংগে যাওয়া দেশের উপরে
নির্ভরশীল ছিল তাকে  বিস্তর সমস্যায় পড়তে হবে ---
---- বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তখন  ভারতের শাসকরা, বিকল্প যে পথ খোলা ছিল সে দিকে না গিয়ে কেন, উলটো আত্মসমর্পনের পথ নিলো, সে প্রশ্নের জবাব না খুজে, নিশ্চিতভাবে বলা যায়, কংগ্রেস দল কিছুতেই ফ্যাসিস্ত বিরোধী সংগ্রামে সামনের সারিতে দাড়াতে পারবেনা। পাকে প্রকারে যদি মোদি সরকারের অবসানো ঘটে, সেই কংগ্রেসের হাত ধরেই ফ্যাসিবাদ আসতে থাকবে। সেটা হবে আরো বিপর্য্যয়কর।
---- যদি খোলা মনে স্বিকার করা না হয়,নেহেরুর অর্থনৈতিক স্বয়ংসম্পর্নতার নীতি পরিত্যাগ করার জন্য একপ্রান্তে ভারতের রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি তো বটেই, শিল্প ভিত্তিক অর্থনীতিটাই ভেংগে গিয়ে 'বানিজ্যিক' পুজির হাতে চলে যাওয়াটাই,
----- আমেরিকার কাজে আত্মসমর্পনের লাইনই আজ নীতি হয়ে দাড়িয়েছে, তবে কংগ্রেস দল বিরোধী হিসেবে কোন নিশ্চয়তা দিতে পারবে। আরো একটি গভীরভাবে বিবেচনা করা হয়, সিংগুর থেকে টাটা বিতারনটাই ভারতীয় শিল্পপুজির উপরে, বানিজ্যিক পুজির আধিপত্ত কায়েমের ওয়াটার মার্ক, তবে কংগ্রেস দলকে, বানিজ্যিক পুজির উপরে আধিপত্য স্থাপনে শিল্পপুজি কেমন করে তাস্র যায়গা খুজে পাবে তার গ্যারান্টীও দিতে হবে।
তাহলে প্রশ্ন দাড়ায় বিকল্পটি কোন বিন্দুতে নিহীত ছিলোঃ

প্রথমতঃ
ভারতের গবেষনা এবং প্রযুক্তিগত বিকাশের প্রতিষ্টানগুলি অব্যাহত রেখে, নেহেরুর লাইন অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় পুজিকে সংহত রেখেই, বিসরকারী শিল্পপুজির বিপুল বিকাশের ব্যবস্থাকে সুনিশ্চিত রেখেই, বিশ্বায়নের নীতিকে মানতে হোত।সেই পথে যতটুকু এগুনো সম্ভব ছিল ততটুকু এগিয়ে, বাকিটায় আত্মনির্ভরতার পথে এগুতে হোত।
----- সে পথে না গিয়ে সব কিছুই সংসদ এবং জনগনের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হোল বটে, যারা চলে যেতে দিলো তাদেরই জানা নেই অর্থনীতি সমাজ কিংবা রাজনীতি কোথায় দাড়িয়ে।
দ্বিতীয়তঃ
সোভিয়েত যখন ভেংগে গেলেও চিন যখন একটি স্বাধীন বিকল্প অর্থনীতি হিসেবে গড়ে উঠছে, রাজীব-চিন চুক্তি সম্পর্কের  প্রস্তরিভূত অবস্থায় যেভাবে বরফ গলাতে  শুরু করেছিলো, সে  পথ ধরে সম্পর্ককে
-----  এগিয়ে দিয়ে আমেরিকা-ভারতের সম্পর্কের একটা সামন্তরাল সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত হোত।

তৃতীয়তঃ

দেন-সিয়াও-পিং অর্থনীতি ধারনের পর থেকে, সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির দোহাই দিয়ে চিনের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে বাতিল করার যুক্তি আর সামনে আনার সুযোগ নেই। চিনে বিদেশী পুজি এবং আভ্যন্তরিন ব্যক্তি পুজি সম্মিলিত শক্তি এখন  সরকারী পুজির অনেক অনেক বেশী।
----- সে খানে বহুদলিয় ব্যবস্থা চালু না হলেও, প্রথমতঃ সরকারী দলে অন্যান্য শ্রেনীর লোকজনদের সর্বোচ্চ স্থান গুলিতে  যায়গা করে দেওোয়া, দ্বিস্তিয়তঃ অর্থনীতির মধ্যেই শতভাগ , ভাত-কাপর-চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকেয়ায়, প্রতিষ্ঠানিক দিক থেকেই অর্থনীতি এবং বন্ঠনের যোগসুত্র ছিন্ন করে দেওয়াস্র কোন অভিযোগ দাড় করানোর যায়গা নেই।
IN OTHER WORDS, INTERNATIONALISM IN CHINA WELL WITHIN THE SPHERE OF BOURGEOIS. THERE MAY BE PROBLEM, HAD THEY TRY TO CROSS THE BOUNDARY  TO TOUCH THE CONTENT OF 'INTELLECTUAL LIBERTY..

চতুর্থতঃ

ভারত- আমেরিকার সম্পর্ক সন্তুলিত রাখতে ভারত well within the limit of  bourgeois internationalism, চিনকে দূরে রেখেও বিকল্প সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারতোঃ-
------- যে সম্পর্কে লাতিন আমেরিকার এশগুলি নিজেদের মধ্যে  গড়ে তোলার সুযোগ করে নিয়েছে, সে পর্য্যন্ত  যেতে না চাইলেও তারা দুটি প্তহ নিতে পারতো।
(১)  কোন নীতির ভিত্তিতে ভারতীয় উপমহাদেশের দেশগুলির সাথে  একতা স্থাপন করে আমেরিকার আগ্রাসনকে অনেকটাই সে আটকে দিতে পারত্তো। সেদিকে প্রথমে নাওয়াজ সরিফ সরকার এবং বর্তমানে ইমরান সরকার, আমেরিকার নিয়ন্ত্রন থেকে বেড়িয়ে এই সম্পর্ক স্থাপনে উৎসাহ দেখিয়েছে।

(২)    এসব কিছুতে না যেতে চাইলেও, ভারতের সব রাজনৈ্তিক দল এবং ট্রেড ইউনিয়ন গুলিকে সাথে  নিয়ে, নিজের সার্বভৌমত্ব বজায় রেখে একটা বিকল্প পথ কংগ্রেস খুজে নিতে পারতো
----- কিন্তু  রাষ্ট্রকে যারা ইতিমধ্যে কব্জা করে নিয়েছে, সেখানে কংগ্রেস সরকারের চাওয়া আর পাওয়ার মধ্যে জনগনের জন্য কিঞ্চিৎ স্থান আর অবশিষ্ট ছিল না।
তারা শেষ পর্য্যন্ত  খেলিয়ে খেলিয়ে যেঁ যায়গাটায় নিয়ে যাওয়ার ছিল সেখানেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সরাসরি ভারতকে ভেংগে দেওয়ার ফরমুলা নির্মান হয়েছ,
তার  যেঁ চালচিত্র বেড়িয়ে এসেছে সেটা নিম্নরুপ।
(১)

IT  IS NO MORE MULTICULTURAL ONE NATION ONE COUNTRY BUT, TWO NATION ONE COUNTRY ON THE BASIS OF RELIGION. অর্থাৎ ভারত আর বহু সংস্কৃতির এক জাতি এক দেশ নয়, এখন থেকে  সে হবে, দুই জাতী এক দেশ ধর্মীয়  ভিত্তিতে।

*২) এর  প্রতিরক্ষা বিভাগ কার্য্যতঃ যুদ্ধ বিভাগে বদলে দেওয়া  হবে। সে  অনুযায়ী আমেরিকার সামরিক নীতিটাই প্রধান ভূমিকা কাজ করবে এই উপমহাদেশে ।

৩)  অর্থনীতিকে সামরিক নীতির অধীন করে ফেলা হবে। (ক্রমশ)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours