ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
ভাদ্রমাসের সংক্রান্তি! হঠাৎ ঘোড়ায় চড়ে রূপেন্দ্রর বাড়ীর সামনে পীরপুরের হাজী সাহের হাজির! রূপেন্দ্র এগিয়ে গিয়ে অভ্যর্থনা জানিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন," কি ব্যাপার অনেকদিন পর? সব কুশল তো?"
হাজীসাহেব দুটো পুঁটলি দিয়ে বললেন," এগুলো রাখুন, ক্ষেতের কিছু সব্জী আর চাল আছে!"
রূপেন্দ্র সবিনয়ে জালানেন! তিনি দান গ্রহন করেন না!
হাজীসাহেব " দুই কানে হাত স্পর্শ করে বললেন," গোস্তাকি মাফ করবেন! সে স্পর্ধা আমার নেই! আমি এটা দিচ্ছি বৈদ্যবিদায় হিসাবে! আপনার কাছে আয়ুর্বেদাচার্য হিসাবে পরামর্শ নিতে!
রূপেন্দ্র ভ্রুকুঁচকে জিজ্ঞাসা করেন," আপনি অসুস্হ?"
হাজী সাহেব,বলেন," না, আমার বোন মেহেরের জানুসন্ধিতে একটি বিষ ফোঁড়া হয়েছে যন্ত্রনায় বড় কষ্ট পাচ্ছে !"
রূপেন্দ্র কিছুক্ষন চুপ করে চিন্তা করে বললেন," বহিনজী বেপর্দা হয়ে চিকিৎসা করাবে কি করে? আর আপনি আমি সন্মত হলেও আপনাদের সমাজ কি মেনে নেবে?"
হতাশ স্বরে হাজী সাহেব বললেন," বোনটা বড় কষ্ট পাচ্ছে! কোন উপায় কি নেই ভাইসাব ?
রূপেন্দ্র বললেন, " একটি উপায় আছে আপনি কাল সকালে পালকী করে তাকে এখানে নিয়ে আসুন! আমার কন্যা হটীকে আমি চিকিৎসা বিদ্যার অনেকটা শিখিয়েছি! আমার নির্দ্দেশ মতো সে চিকিৎসা করবে! প্রয়োজনে অস্ত্রোপচারও!"
হাজী সাহেব জানতে চাইলেন! এখানে সে থাকবে কোথায়? তাঁর আরোগ্য নিকেতনে বির্ধমীদের জন্য দুটি এখন জাতিচ্যুত পৃথক শয্যা ছিল সেটিও নেই! পঞ্চায়েত সে সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে!
রূপেন্দ্র বলেন," আপনি সম্ভবতঃ জানেন না! সেই আরোগ্য নিকেতনে প্রবেশের অধিকার থেকে পঞ্চায়েত আমাকেও বঞ্চিত করেছে!আমি এখন জাতিচ্যুত! আপনি বহিনজীকে নিয়ে আসুন সে আমার বাড়ীতেই থাকবে আমার ভাবিজীর সাথে!
হাজি সাহেব সন্মত হয়ে ফিরে যাওয়ার সময় আদাব জানিয়ে বলে গেলেন " খোদা আপনার মঙ্গল করবেন!" (চলবে)
ভাদ্রমাসের সংক্রান্তি! হঠাৎ ঘোড়ায় চড়ে রূপেন্দ্রর বাড়ীর সামনে পীরপুরের হাজী সাহের হাজির! রূপেন্দ্র এগিয়ে গিয়ে অভ্যর্থনা জানিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন," কি ব্যাপার অনেকদিন পর? সব কুশল তো?"
হাজীসাহেব দুটো পুঁটলি দিয়ে বললেন," এগুলো রাখুন, ক্ষেতের কিছু সব্জী আর চাল আছে!"
রূপেন্দ্র সবিনয়ে জালানেন! তিনি দান গ্রহন করেন না!
হাজীসাহেব " দুই কানে হাত স্পর্শ করে বললেন," গোস্তাকি মাফ করবেন! সে স্পর্ধা আমার নেই! আমি এটা দিচ্ছি বৈদ্যবিদায় হিসাবে! আপনার কাছে আয়ুর্বেদাচার্য হিসাবে পরামর্শ নিতে!
রূপেন্দ্র ভ্রুকুঁচকে জিজ্ঞাসা করেন," আপনি অসুস্হ?"
হাজী সাহেব,বলেন," না, আমার বোন মেহেরের জানুসন্ধিতে একটি বিষ ফোঁড়া হয়েছে যন্ত্রনায় বড় কষ্ট পাচ্ছে !"
রূপেন্দ্র কিছুক্ষন চুপ করে চিন্তা করে বললেন," বহিনজী বেপর্দা হয়ে চিকিৎসা করাবে কি করে? আর আপনি আমি সন্মত হলেও আপনাদের সমাজ কি মেনে নেবে?"
হতাশ স্বরে হাজী সাহেব বললেন," বোনটা বড় কষ্ট পাচ্ছে! কোন উপায় কি নেই ভাইসাব ?
রূপেন্দ্র বললেন, " একটি উপায় আছে আপনি কাল সকালে পালকী করে তাকে এখানে নিয়ে আসুন! আমার কন্যা হটীকে আমি চিকিৎসা বিদ্যার অনেকটা শিখিয়েছি! আমার নির্দ্দেশ মতো সে চিকিৎসা করবে! প্রয়োজনে অস্ত্রোপচারও!"
হাজী সাহেব জানতে চাইলেন! এখানে সে থাকবে কোথায়? তাঁর আরোগ্য নিকেতনে বির্ধমীদের জন্য দুটি এখন জাতিচ্যুত পৃথক শয্যা ছিল সেটিও নেই! পঞ্চায়েত সে সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে!
রূপেন্দ্র বলেন," আপনি সম্ভবতঃ জানেন না! সেই আরোগ্য নিকেতনে প্রবেশের অধিকার থেকে পঞ্চায়েত আমাকেও বঞ্চিত করেছে!আমি এখন জাতিচ্যুত! আপনি বহিনজীকে নিয়ে আসুন সে আমার বাড়ীতেই থাকবে আমার ভাবিজীর সাথে!
হাজি সাহেব সন্মত হয়ে ফিরে যাওয়ার সময় আদাব জানিয়ে বলে গেলেন " খোদা আপনার মঙ্গল করবেন!" (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours