গৌতম দাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, রাজ্য আবগারি দফতর ও লেখক, কলকাতা:

'ভূত'....
এই ছোট্ট শব্দটা শুনলেই শিরদাঁড়া বেয়ে কেমন যেনো ঠান্ডা স্রোত নেমে আসে! হাত-পা অবশ হয়ে যায়! মনে হয় সত্যিই কেউ একটা হয়তো পিছনে দাঁড়িয়ে আছে, কিম্বা  ঘাড়টা এই বুঝি কেউ মটকে দিল!  ভূত থাকুক আর নাই থাকুক এ এক অদ্ভুত ব্যাপার ভূতের ভয়টা কিন্তু আছেই!  যারা ভূতে বিশ্বাস করেন তাদের যদি প্রশ্ন করা হয়, ভূতদের দেখতে কেমন!  তাদের কটা মাথা! কটা হাত! কটা পা! কিম্বা যদি প্রশ্ন করি আপনি নিজের চোখে ভূত দেখেছেন!  কখনোই ঠিকঠাক উত্তর পাওয়া যায় না অথচ এই ভূত নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কিন্তু কৌতূহলের শেষ নেই।  মনে যতোই ভয় থাকুক ভুতের গল্প শুনতে বা ভুতের সিনেমা দেখতে ভালবাসেন না এমন মানুষ কিন্তু খুঁজে পাওয়া মুশকিল।  অন্ধকারে জমিয়ে ভূতের গল্প শুনতে যেমন দারুণ ভাল লাগে আবার তেমনই অন্ধকারে হঠাৎ করে যদি কোনো ছায়া নড়ে উঠতে দেখি বুকের ভেতরটা ছ্যাঁৎ করে ওঠে বৈকি!  লোডশেডিং এ  কাঁপা কাঁপা মোমবাতির আলোতে যদি একটা হাড় হিম করা ভূতের গল্প শোনা যায়, আর সেই রাতটা যদি হয় ‘ভূত চতুর্দশী’ তাহলে তো কথাই নেই....! প্রচলিত গল্প বা ধ্যানধারণা মতে বিভিন্ন ধরণের বাংলা ভূতের নাম শোনা যায়, যেমন ব্রহ্মদত্তি, মামদো, শাকচুন্নি, ডাইনি, পেত্নি, আলেয়া, স্কন্ধকাটা ইত্যাদি, নাম শুনলেও কিন্তু তাদের সামনাসামনি দেখার ইচ্ছা রয়েছে বা তাদের স্বচক্ষে দেখেছে এমন মানুষ কিন্তু খুঁজে পাওয়া দুস্কর!   আমাদের বিশ্বাস অবিশ্বাসে ভূত দিব্যি বেঁচে আছে!  এই ভুত-তত্ত্ব নিয়ে মানুষ মাথা ঘামিয়ে চলছে সভ্যতার আদিকাল থেকে শুরু করে আজও পর্যন্ত।  মৃত্যুর পরে আত্মার আদৌ কোনো অস্তিত্ব থাকে কি থাকে না,  এই বিষয় নিয়ে দর্শনশাস্ত্র যতটা না ভেবেছে, তার থেকেও অনেক গুণ বেশি  ভেবেছেন ভৌতিক গল্পের রচয়িতারা।  বলা যেতেই পারে বহু বিশিষ্ট এবং নামজাদা সাহিত্যিকরাও এই তালিকায় আছেন, তারা আদৌ ভূতে বিশ্বাস করুন না করুন,  কিন্তু জমিয়ে মজার হোক, বা হাড় হিম করা হোক, নানান  সব ভূতের গল্প লিখে গেছেন,  আর এই সব গল্প  পাঠকরাও গোগ্রাসে গিলেছে তাদের বিশ্বাস-অবিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়েই!  তাই তো 'ভূতের গল্প' যুগের পরে যুগ ধরে বেস্ট সেলার!   কিন্তু গল্পের শেষে সেই একই প্রশ্ন সবার মনে 'ভূত কি সত্যিই আছে' !  যুক্তিবাদী বা বিজ্ঞান মনস্করা সর্বদাই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ভূতের অস্তিত্ব সম্পর্কে, তাদের পরিস্কার বক্তব্য "ভূত যে আছে তার প্রমাণ কোথায়?"  আবার ভূত-বাদীরা পাল্টা বলছেন, "ভূত যে নেই তার ই বা প্রমাণ কই!"  এইভাবেই তর্ক-বিতর্ক, যুক্তি পালটা যুক্তিতে মনুষ্য সমাজ কিন্তু সরগরম এখনও!
পরীক্ষাগারে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দিয়ে ভূতের অস্তিত্ব বা অস্তিত্বহীনতা প্রমাণের গুরুদায়িত্ব নিয়ে এগিয়েও এসেছেন অনেকেই, তেমনই একজন হলেন,  বিশ্বখ্যাত পদার্থবিদ ব্রায়ান কক্স, এই ইংরেজ পরমাণু বিজ্ঞানী টেলিভিশনে বিজ্ঞানী এবং যুক্তিবাদী হিসেবে আবার তুমুল জনপ্রিয়। সম্প্রতি এই কক্স পরিস্কার জানিয়েছেন, ভূতের কোনো অস্তিত্ব নেই!  যদি আদৌ ভূতের কোনো অস্তিত্ব থাকত তা হলে বিশ্বের সবথেকে বড় বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় তা নির্ঘাত ধরা পড়তই!  কী ছিল এইসব পরীক্ষা নিরীক্ষা যা থেকে ব্রায়ান কক্স নিশ্চিত হলেন 'ভূতের অস্তিত্ব নেই'! ... কক্স জানিয়েছেন, "মানুষের মৃত্যুর পরে তার আত্মা কোথায় যায়, তা নিয়ে সভ্যতার উন্মেষ কাল থেকেই মানুষ অনুসন্ধান চালিয়ে গেছে,  তেমন কোনও ‘যাওয়ার জায়গা’ অর্থাৎ মৃত্যুর পর আত্ম যেখানে গিয়ে থাকে বা থাকতে পারে !  আদৌ যদি তাই হয়, তাহলে নিশ্চিতভাবে বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র সার্ন এর 'লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার' এ ধরা পড়ে যেতো" এই লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার আসলে একটি বৃহত্তম আণবিক বিশ্লেষক যন্ত্র, এই যন্ত্র চৌম্বক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মহাজগতে উপস্থিত সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম মৌলিক বস্তুসমূহকে বুঝতে সাহায্য করে।  এই বিশ্লেষণ থেকে আমাদের চারপাশে দৃশ্যমাণ জগতের প্রতিটি দৃশ্য বা অদৃশ্য এলিমেন্টকেই জানা বা বোঝা যায়। লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার যে কোনও এনার্জিকেও বিশ্লেষণ করতে সক্ষম।  ব্রায়ান কক্স এর মতে, ভূত যদি আদৌ থাকত,  তবে তারা অবশ্যই এনার্জি দিয়েই গঠিত হত! কারণ আত্মা বা অশরীরী মানে যাদের শরীরই নেই, তাই তারা কোনও পদার্থ দিয়ে গঠিত হতে পারে না!  এটা আর নতুন করে প্রমাণের প্রয়োজন নেই। থার্মোডাইনামিকস এর দ্বিতীয় সূত্র অনুযায়ী এনার্জি উত্তাপে লোপ পায়,  যদি ভূতেরা এই সূত্রকে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো নতুন কোনো কৌশল আয়ত্ত করে থেকে থাকে তাহলে অবশ্য কিছু বলার নেই!  যদি ধরে নেওয়া যায় তেমনটা হয়নি, তাহলে তো লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার ভূতেদের বা অশরীরীদের খোঁজ এতদিনে পেয়েই যেত!  যাইহোক ভবিষ্যতের হাতেই না হয় ভূতের ভবিষ্যত পুরোপুরি ছেড়ে দিলাম!  তেঁনারাই বরঞ্চ প্রমাণ করুন তেঁনাদের অস্তিত্ব!...                           
এবার একটু বাজর গরম করা বা ভয় তৈরী করা এই মুহূর্তের দারুণ একটি গা ছমছমে ভূতের গল্প বলবো,  হ্যাঁ আমি অবশ্যই এটাকে গল্প ই বলবো,  তবে এটা কিন্তু বেশ আকর্ষণীয় আর ভয় পাওয়ানো ভূতের গল্প, এই গল্পটার অবস্থান আবার আমাদের এই পশ্চিমবঙ্গের ই একটা সুন্দর হিল স্টেশনকে কেন্দ্র করে,  বাজারে এখন প্রতিদিন রমরমিয়ে বেরচ্ছে এই গল্পের নতুন নতুন আপডেট!
শিলিগুড়ি থেকে সড়ক পথে মাটিগাড়া বা পাঙ্খাবাড়ি হয়ে কমবেশি এক ঘণ্টা সময়েই পৌছে যাওয়া যায় কার্শিয়াং, সারাবছর রঙিন ফুলে সাজানো অপূর্ব ছোট্ট এক পাহাড়ি শহর কার্শিয়াং। অনেকেই আদর করে বলে, 'ল্যান্ড অব অর্কিডস' , দার্জিলিঙ যাওয়ার পথে চোখে পড়বেই পাহাড়ের কোলে চা-বাগানের মাঝে এই মন মাতানো সুন্দর হিল স্টেশন কার্শিয়াং, প্রকৃতির রূপের ডালি সাজিয়ে কার্শিয়াং সর্বদাই যেন অপেক্ষায় থাকে পর্যটকদের জন্য।  ঘিঞ্জি হয়ে ওঠা মুল শহরকে পাশ কাটিয়ে, ওপরে দিকে একটু উঠে শহরের বাইরে গেলেই পৌছে যাওয়া যায় 'ডাও হিল', শান্ত জঙ্গল আর থমকে যাওয়া নির্জনতার মাঝে আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তা চলে গেছে অলস প্রকৃতির কিনার ঘেঁষে, আছে ব্রিটিশ আমলের কিছু পুরোনো পরিত্যক্ত বাড়ী-ঘর, দু একটা মিশনারি-স্কুল, প্রাচীন চার্চ আর পাহাড়ের গায়ে অযত্নে ফুটে থাকা অর্কিড,  মাঝে মাঝে চার-পাঁচটা বাড়ী, ও তার ছোটছোটো ফুলের টব সাজানো একটুকরো বারান্দা,  আর আছে ব্রিটিশদের কবরখানার হারিয়ে যাওয়া কিছু স্মৃতি চিহ্ন, পথচলতি ট্যুরিস্টরা হয়তো এসবের খবরই রাখেননা!  আজও শোনা যায় এই গোটা এলাকাটা প্রতিদিন সন্ধ্যের পর কুয়াশার চাদরের মতো ঢেকে দেয় অজানা মায়াবী রহস্যময়তা !!   তখন এই অঞ্চলের কিছু কিছু নির্দিষ্ট যায়গায় নাকি নেমে আসে অতৃপ্ত অশরীরী আত্মারা! শুরু হয়ে যায় তাদের abnormal বা Paranormal activity !!  রাতের অন্ধকারে এমনকি দিনের আলোতেও , যে কোনো সময়েই এখানকার শুনশান রাস্তাঘাটে নাকি ঘুরে বেড়ান তেঁনারা কখনও নিঃশব্দে কখনও সশেব্দ !  বিশ্বাস অবিশ্বাসের সব সীমানা ছাড়িয়ে ঘটতে থাকে নাকি হাড় হিম করা সব ভৌতিক কাণ্ডকারখানা!  স্থানীয় মানুষজনের চোখে মাঝেমধ্যে আচমকাই নাকি ধরা পড়ে এইসব গা-ছমছমে অবিশ্বাস্য অলৌকিক ঘটনা! সুন্দরী কার্শিয়াং এর এইসব জায়গাকে তাই আরও যেন  রহস্যময় করে তুলেছে আজকাল জনশ্রুতির অদ্ভুতুড়ে সব রক্ত হিম হয়ে যাওয়া ঘটনা, যাকে বলার চেষ্টা করা হচ্ছে,  'Paranormal Activity'... এমনকি এই যায়গাকে কেন্দ্র করে নাকি বিদেশের মতো চালু হয়েছে 'Ghost Tourism' ... অনেকের মতে পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই ভারত ও বিদেশেও এই জনশ্রুতি ছড়িয়ে পড়েছে, তাই এই যায়গা কে "Most Haunted please of India" বলতেও ছাড়ছে না social media,  উঠে আসছে নিত্য নতুন ভূতের গল্প!!  ডাও হিলের মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক-সৌন্দর্য পর্যটকদের যুগ যুগ ধরে আকর্ষণ করে চলেছে আর কার্শিয়াং এর এই মায়াবী সুন্দর প্রকৃতির মধ্যেই অবস্থান ডাও হিলের। দার্জিলিং এর খুব কাছের এই হিল-স্টেশনে শোনা যায় এমন সব ঘটনা নাকি ঘটে গেছে, যা দেখা দুরে থাক শুনলেও অনেক সাহসী লোকজনের ভয় লাগতে বাধ্য! ডাও হিল থেকে ফরেস্ট অফিস পর্যন্ত যে নির্জন রাস্তাটা এঁকে বেঁকে চলে গেছে গেছে তার  নাম হয়ে গেছে 'ডেথ রোড' বা মৃত্যু সড়ক,  যদিও স্থানীয় বেশিরভাগ মানুষের অবশ্য এই নতুন নাম জানা নেই!  যাইহোক এই রাস্তার নাম কেন এমন ভয়ানক হলো সঠিক জানা না গেলেও, লোকশ্রুতি যে এই রাস্তাটুকু দিনে রাতে সব সময়ই নাকি চলাফেরা করা জন্য ভয়ংকর!  এই রাস্তা সম্পর্কে নানান অলৌকিক গল্প কানে আসে, এই রাস্তায় যদিও প্রায় সব সময়ই স্থানীয় মানুষজন চলাচল করে  আর বিশেষ করে বহু কাঠুরে যারা শুকনো কাঠ-পাতা কুড়িয়ে দিনের শেষে এই পথ ধরেই ঘরে ফেরে, যাদের মাঝে মধ্যেই আবার একটু সন্ধ্যে হয়ে যায় কাঠ নিয়ে বাড়ী ফিরতে, জঙ্গলে মোড়া এই রাস্তাতেই নাকি তাদের চোখে পড়েছে এমন অনেক রক্ত হিম হয়ে যাওয়া দৃশ্য, অনেকবার নানান ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন নাকি তারা!  ডাও হিলের এই ডেথ রোড দিয়ে চলার সময়ে অনেক কাঠুরেই কখনও কখনও দেখতে পেয়েছেন এক মুণ্ডহীন বাচ্চা ছেলেকে!  সে রাস্তার মধ্যে দিয়ে ধীরে ধীরে চলতে চলতেই হঠাৎই অদৃশ্য হয়ে যায় কুয়াশার মধ্যে!  শুধু দু-এক বার নয়, একাধিকবার একাধিক মানুষ এই দৃশ্য দেখেছেন বলে দাবী করেছেন!  আবার কখনো দেখা গেছে এক এক ধুসর কেশী শীর্ণকায়া মহিলাকে! কার্শিয়াং এর এই অঞ্চলে অনেকেই  জঙ্গলের ধারের এই রাস্তার নাকি দেখেছেন ওই ছায়া মূর্ত্তিকে পরিস্কার!  কিন্তু আবার পরক্ষণেই আবার সেই শীর্ণকায়া মহিলা কোথায় যে হারিয়ে যায় তার আর খোঁজ পাওয়া যায় না! অদ্ভুত ব্যাপার এই ঘটনা দিনের পর দিন নাকি ঘটেই চলেছে ! ডাও হিলের জঙ্গলের কাছেই রয়েছে একটি একশো বছরেরও বেশী পুরনো মিশনারি বয়েজ স্কুল, সেখানে ছুটির দিনেও নাকি প্রায়ই সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার পায়ের শব্দ শোনা যায়! এমনকি শীত-কালীন ছুটির সময়ও শীতের রাতে কুয়াশার চাদর ভেদ করে ওই স্কুল থেকে নাকি কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে ! মাঝে মাঝে নাকি শোনা যায় অস্ফুট চিৎকারও! শোনা যায় সিঁড়ি ওঠা নামার স্পষ্ট জুতোর শব্দ!  এসবের মধ্যে সবথেকে চাঞ্চল্যকর এবং অন্যতম ঘটনা হল কয়েক বছর আগে এই ডাও হিল এর ই ওই যায়গায় হঠাৎ কয়েক জন স্থানীয় মানুষ নাকি কয়েকটি মুণ্ডবিহীন ধড় দেখতে পায়!  কিন্তু পরে আবার অদ্ভুত ভাবে সেই মুণ্ডবিহীন ধড় গুলো চোখের সামনেই অদৃশ্য হয়ে যায়!  এমনও ঘটনা ঘটেছে এখানে, বহু মানুষ ওইসব দৃশ্য দেখে পুরোপুরি পাগল হয়ে গেছে , অনেকেই নাকি আত্মহত্যা করেছে পাগল হয়ে গিয়ে! ভয় পেয়ে পাহাড় থেকে ঝাঁপ দিয়ে আহতের সংখ্যাও নাকি নেহাত কম নয়!  কি ভয়ানক অবস্থা চাঁদে মানুষ চলে যাচ্ছে আর পৃথিবীতে এখনও ভূতেরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে!                                              কি যাবেন নাকি ভূত দেখতে,  ডাও হিল থেকে ফরেস্ট অফিস পর্যন্ত ডেথ রোডে এই কুয়াশা মোড়া   শীতের রাত্রে একটু হাঁটতে !!!  কিম্বা শীতের রাতে আগুন জ্বেলে  Campfire এ জমিয়ে ভূতের গল্প করতে!!  আমি তো যাচ্ছি, আপনারাও আসতে পারেন, কপাল ভালো থাকলে দু-এক ভূত বোতলবন্দি করে নিয়েও আসতে পারি!  সাহস করে যদি সঙ্গে যেতে চান তাহলে যোগাযোগ করুন !!  আপনাকে নিশ্চিন্তে কার্শিয়াং এর ডাও হিল ঘুরিয়ে ভূত দেখিয়ে ....... তারপর যদি ঠিকঠাক মত ফিরে আসতে পারি !! তবে দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারছি না guarantee দিয়ে ভূত দেখাতে পারবো।
শুধু নয় সব যুক্তিবাদী মানুষরাই বলেন ভূতের আদৌ কোনো অস্তিত্ব নেই, এসব নেহাৎ ই কাল্পনিক গল্প!  যেমন মরুভূমিতে যে মরীচিকা দেখার মতো ভূতও এক রকমের চোখের বিভ্রম। এই ধরনের বিভ্রমকে তাই বলা যেতেই পারে মতিভ্রম!  ইংরেজিতে যাকে বলে হ্যালুসিনেশন।
প্রিয় পাঠক ও বন্ধুরা তাই জমিয়ে ভূতের গল্প পড়ুন আর শুনুন, আনন্দ নিন, ব্যাস্ এই পর্যন্তই, কিন্তু ভূতে বিশ্বাস করে ভূতের ভয় পাওয়ার দরকার নেই!


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours