অপর্ণা ভট্টাচার্য, লেখিকা ও সমাজকর্মী, আসানসোল:
আবার সংবাদ মাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়া কিছুদিনের জন্য উত্তাল হল। কিছুদিনের জন্য বললাম বলে বিরক্ত হবেন না। ইচ্ছাকৃত শব্দটা প্রয়োগ করলাম। যবে থেকে জ্ঞান হয়েছে তবে থেকেই ধর্ষণ শব্দটা শুনে আসছি। আদি অনন্ত কাল থেকে নারী ধর্ষিতা হয়ে আসছে। কম্পিউটার আবিষ্কাররের পূর্বে নারী নির্যাতন বা ধর্ষণের ঘটনা চেপে দেওয়া হত। এখন সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদ মাধ্যম যত উন্নত হচ্ছে এসব ঘটনা তত চোখের সামনে আসছে। ঠিক এই মুহূর্তে ,যখন আমি লিখছি তখনো হয়ত কোন নারী ধর্ষিতা হচ্ছেন। বিভিন্ন কারন বশতঃ ২৪ ঘন্টায় একটি শহরে কতজন নারী ধর্ষিতা হচ্ছেন তার পরিসংখ্যান দেওয়া হয় না। তাহলে দেখা যাচ্ছে হিসেব মত ২৪ ঘন্টা ও ৩৬৫ দিনই ধর্ষণের বিরুদ্ধে সচেতন মানুষের সরব থাকা উচিত। কিন্তু আমরা তা থাকিনা, যে খবরটা সংবাদ মাধ্যম প্রকাশ করছে তার বিরুদ্ধে আমরা কিছুদিন ক্ষোভে ফেটে পরছি। তারপর আবার
মোমবাতি টৌমবাতি সব তো ক্লিশে হয়ে গেছে।
নারীবাদীদের চোখা চোখা শব্দবাণ ও ধার হারিয়ে ফেলেছে। বিচার ব্যবস্থা? সে তো কোন্ কালে আমাদের কাছে প্রহসনে পরিনত হয়েছে। ধর্ষকরা প্রমাণ করে দিয়েছে ফাঁসি টাসি ওদের কাছে কোন ভয়ের ব্যপার নয়। তাই কি? নাকি ধর্ষণের সময় ধর্ষক এমন কোন মানসিক অবস্থায় পৌঁছে যায় যখন তার কোন হিতাহিত জ্ঞান থাকে না।
গণধর্ষণ --- একাধিক পুরুষ একটাই অভিপ্রায় নিয়ে একত্রিত হচ্ছে। অর্থাৎ একাধিক জন একসাথে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হচ্ছে? কেন? কিভাবে?
একটা কারন হতে পারে --- নেশা। তাছাড়া অন্য কারন অশিক্ষা। আর কি হতে পারে?? কোন রাগ অথবা ঘৃণা উগরে দেওয়া?
সব রকম ভাবেই তো ভাবা উচিত। কাজেই এবার মনোবিদদের উপর দায়িত্ব অর্পণ করা হোক। তাঁরা ধর্ষকদের নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা করে দেখুন , সামাজিক বা পারিবারিক কোন কোন কারনে এরা ধর্ষকে পরিনত হচ্ছে। আর বেশী দেরী নেই, অচিরেই হয়তো আমার আপনার ঘরের মেয়েকে ঘর থেকে টেনে নিয়ে ধর্ষণ করা হবে।
আবার সংবাদ মাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়া কিছুদিনের জন্য উত্তাল হল। কিছুদিনের জন্য বললাম বলে বিরক্ত হবেন না। ইচ্ছাকৃত শব্দটা প্রয়োগ করলাম। যবে থেকে জ্ঞান হয়েছে তবে থেকেই ধর্ষণ শব্দটা শুনে আসছি। আদি অনন্ত কাল থেকে নারী ধর্ষিতা হয়ে আসছে। কম্পিউটার আবিষ্কাররের পূর্বে নারী নির্যাতন বা ধর্ষণের ঘটনা চেপে দেওয়া হত। এখন সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদ মাধ্যম যত উন্নত হচ্ছে এসব ঘটনা তত চোখের সামনে আসছে। ঠিক এই মুহূর্তে ,যখন আমি লিখছি তখনো হয়ত কোন নারী ধর্ষিতা হচ্ছেন। বিভিন্ন কারন বশতঃ ২৪ ঘন্টায় একটি শহরে কতজন নারী ধর্ষিতা হচ্ছেন তার পরিসংখ্যান দেওয়া হয় না। তাহলে দেখা যাচ্ছে হিসেব মত ২৪ ঘন্টা ও ৩৬৫ দিনই ধর্ষণের বিরুদ্ধে সচেতন মানুষের সরব থাকা উচিত। কিন্তু আমরা তা থাকিনা, যে খবরটা সংবাদ মাধ্যম প্রকাশ করছে তার বিরুদ্ধে আমরা কিছুদিন ক্ষোভে ফেটে পরছি। তারপর আবার
মোমবাতি টৌমবাতি সব তো ক্লিশে হয়ে গেছে।
নারীবাদীদের চোখা চোখা শব্দবাণ ও ধার হারিয়ে ফেলেছে। বিচার ব্যবস্থা? সে তো কোন্ কালে আমাদের কাছে প্রহসনে পরিনত হয়েছে। ধর্ষকরা প্রমাণ করে দিয়েছে ফাঁসি টাসি ওদের কাছে কোন ভয়ের ব্যপার নয়। তাই কি? নাকি ধর্ষণের সময় ধর্ষক এমন কোন মানসিক অবস্থায় পৌঁছে যায় যখন তার কোন হিতাহিত জ্ঞান থাকে না।
গণধর্ষণ --- একাধিক পুরুষ একটাই অভিপ্রায় নিয়ে একত্রিত হচ্ছে। অর্থাৎ একাধিক জন একসাথে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হচ্ছে? কেন? কিভাবে?
একটা কারন হতে পারে --- নেশা। তাছাড়া অন্য কারন অশিক্ষা। আর কি হতে পারে?? কোন রাগ অথবা ঘৃণা উগরে দেওয়া?
সব রকম ভাবেই তো ভাবা উচিত। কাজেই এবার মনোবিদদের উপর দায়িত্ব অর্পণ করা হোক। তাঁরা ধর্ষকদের নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা করে দেখুন , সামাজিক বা পারিবারিক কোন কোন কারনে এরা ধর্ষকে পরিনত হচ্ছে। আর বেশী দেরী নেই, অচিরেই হয়তো আমার আপনার ঘরের মেয়েকে ঘর থেকে টেনে নিয়ে ধর্ষণ করা হবে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours