তনুশ্রী সেনগুপ্ত, ফিচার রাইটার, আসানসোল:

আর মাত্র কয়েক মিনিট পেরোলেই রাত 12 টা, স্বর্গ থেকে নেমে আসবে ঐশ্বরিক দূত আর তাঁর ঝুলি ভরা ইচ্ছে পুরণ এর উপহার, এই উপহার তিনি ছড়িয়ে দেবেন পৃথিবীবাসীকে, দিয়ে যাবেন আগত নতুন বছরের আনন্দ । কেক কেটে পালিত হবে সেই দেব সন্তানের জন্ম মুহুর্ত্য। চারিদিকে গির্জায় গির্জায় ধ্বনিত হবে তাঁর আগমণ এর বার্তা। 
25 শে ডিসেম্বর এর এই আনন্দ মুখর দিনে আমরাও প্রতি বছরই প্রায় কোথাও বেড়াতে যাই, আনন্দ কে দ্বিগুণ অক্সিজেন এ সমৃদ্ধ করি । এ বছরের তেমন কোনো বিশেষ ভাবনা নেই, কাছাকাছি কোনো পার্কে যাবো এমনটাই ঠিক করেছি। তবে গতো বছরে বেনারস গেছিলাম । সেখানে গঙ্গার ঘাটে এসে  আমার ছোটো ছেলের খুব আনন্দ হয়,ও দেখে সেখানে অনেক অনেক স্যান্টা ঘুরে বেড়াচ্ছে ,আর তাই ওর ধারণা ওদের ঐ ঝুলিতেও প্রচুর উপহার আছে।
তবে এই স্যান্টার পোশাক একটু আলাদা লাল জামা, প্যান্ট, টুপি বা লাল জুতো নয় । বিস্ময় নিয়ে সটান প্রশ্ন .....তুমি লাল জামা, প্যান্ট, টুপি আর জুতো পরো নি কেনো? বাবা জি কে হিন্দী তে ট্রান্স্লেট করে দিতেই তিনি উত্তর দেন "হাম শিব বাবা কা স্যান্টা হ্যায়, ইস্লিয়ে উনকা জ্যায়সা হি পোশাক প্যহেনা হ্যয় ", ছেলে তো হ্যাঁ করে তাকিয়ে শুনে কিছু বলতেই যাবে ওমনি বাবাজি ঝুলি থেকে খানিক খড়ি মাটি নিয়ে উড়িয়ে দেয় আর আমার ছেলের কপাল সাদা করে দেয় । তার পর এক পা তুলে পোজ দিয়ে বলে ফোটো লো ফোটো । আমার বর ও অমনি খিচিক করে বেশ চার পাঁচটা ফটো তুলে নেয় ।ব্যাস যেই নাটক শেষ ঠিক তখনই "ঝোলার থেকে বেরোল হাত /হাত বলে কিছু পয়সা রাখ "।  বেশ কিছু পয়সা নিয়ে তবেই বাবাজি ছাড় দেন । ছোটো ছেলে সারা রাস্তা শুধু একটা কথাই বলে স্কুলের সান্টা তো ওদের উপহার দেয় কিন্তু এই স্যান্টা বাবার কাছে টাকা নীলো কেনো? নিষ্পাপ শিশু মন কে এটাই বোঝানো হয় শিবের স্যান্টা তো ভিখারী বেশে তাই তাঁকে দান করতে হয়।
পরের দিন ওর জীবনের স্যান্টা সেজে ওর বাবা ওর মাথার কাছে একটা উপহার রেখে দেয়,ঘুম থেকে উঠে যা দেখে ও খুব খুশি হয় ।আজ ও ওর বাবা ওর মাথার পাশে কিছু রেখে দেবে,আনন্দের স্যান্টা সেজে।
2020 সকলের আনন্দময় হোক স্যান্টার কাছে আমি এই উপহার টাই চাই।


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours