নাজমীন মর্তুজা, লেখক ও গবেষক, অ্যাডিলেড, অস্ট্রেলিয়া:
সব কটা জানালা খুলে দাও না.....
ওরা আসবে চুপি চুপি .......
যারা এই দেশটাকে ভালোবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা সবাইকে, বিদেশের মাটিতে এক খন্ড বাংলাদেশ ... আমরা একসাথে বিজয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করেছি আজ। শুভকামনা সকলের জন্য। সকল শহীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা ... এবং বিজয়ী মুক্তি সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা । আমরা তোমাদের ভুলবোনা।
অ্যাডিলেডের একটা পার্কের উঠান্ ছিল বিজয় দিবসের আয়োজন, ছিল দিগন্তজোড়া উচ্ছ্বাস। নানা বয়স, মত আর আদর্শিক জাতপাত , ভাষা, কালচার ভুলে একাকার হয়েছেন তারা। ভর দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন। ছিল রাত অবধি মাতৃভূমির প্রতি গভীর মমত্ববোধ। নিয়ে গাওয়া দেশাত্মবোধক গান নাচ আবৃত্তি।
বিজয়ের অনুষ্ঠানে শুধু বাংলাদেশ, নয় , মধযপাচ্য থেকে ইউক্রেন , সাউথ আফ্রিকা, বিভিন্ন দেশের ঐতিহ্য সংস্কৃতি চর্চার সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবেশনা অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে জমে উঠেছিল প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে বিজয় অনুষ্ঠান । বক্তৃতা, সম্মাননার পাশাপাশি স্থানীয় শিল্পীদের গান, নৃত্য, আবৃত্তি, নজর কাড়ে উপস্থিত দর্শকদের। এর সঙ্গে দেশি খাবার আর দেশি পোশাকের স্টলেও ছিল লক্ষণীয় ভিড়।ছিল ফেইস পেইন্টিং আর লাল সবুজের একখন্ড পতাকার রঙের পোষাক । রমনীর আদরের খোঁপায় সবাই জড়িয়ে এসেছিল আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে ফুলের মালা , আর কপালে টিপ । প্রবাসে বাংলা আর বাঙালির ঐতিহ্য-সংস্কৃতি তুলে ধরার যেমন প্রয়াস ছিল, তেমনি ঐক্যের বন্ধনে নিজেদের বিশেষত আগামী প্রজন্মকে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষিত হয় প্রতিটি কণ্ঠে , মাঠের সবুজ থেকে সূর্যের লাল বাংলাদেশের বুক এতই বিশাল ! গীতিকারের গানকে যেমন শব্দনির্মাতা সুরের মূর্ছনা ঢেলে দেন শিল্পীর কণ্ঠে। যার মূর্ছনায় বিমোহিত হয় শ্রোতা। জাগতিক বিষয়-আশয় ভুলে হেলান দেন গানের পানসিতে। মূল শিল্পীদের গান হয়ত এবার শোনা হলো না , কিন্তু যারা এখানে বসবাসরত গাইলেন গান , সে অপার এক সৌন্দর্যের জমিনে ফলাতে থাকেন শুদ্ধতার ফসল। সে ফসল গানের। সে ফসল প্রাণের। যার টসটসে বীজের ভেতর জন্ম দেয় শুদ্ধতার নতুন চারাগাছ, নতুন প্রজন্মের কাছে নতুন বাংলাদেশ । আলোড়িত করে নাড়িয়ে দিয়ে যায় অশুদ্ধ-অশুচির তাবৎ সংসার।
আশাজাগানিয়া শব্দের ভেতর তাই শুনতে পাই দেশপ্রেম, দেশমাতৃকার প্রতি ভালোবাসা, মুক্তিযুদ্ধ ও প্রত্যয়ের আকাশ ...
মাঠের সবুজ থেকে সূর্যের লাল
বাংলাদেশের বুক এতোই বিশাল
এখানে মানুষ জাগে জীবনের অনুরাগে
পুবের আকাশে আসে নতুন সকাল।
পদ্মা, মেঘনা, রূপসা, সুরমা, তিস্তা, যমুনা,
নদী পাড় সবুজ শাড়ি ঘুরিয়ে পরেছো তো বেশ
ও আমার দেশ ও আমার রূপবতী দেশ।
মাগো বিলের শাপলা আমার সঙ্গে বাংলায় কথা বলে
পাখির ভাষাও তোমারই তো ভাষা
নদীও তোমার ভাষার স্বরেই ‘কল-কল’ বয়ে চলে।
ভোরের সূর্য ‘স্বাগত’ জানিয়ে উজ্জ্বল হয় আর
সাঁঝের বেলায় ‘বিদায় বিদায়’ বলে হয় অবনত।’
প্রতিজ্ঞা আজো করছি তোমাকে ছুঁয়ে
এতোটুকু দাগ লাগে যদি মাগো
রক্তে দেবো তা ধুয়ে
তোমায় মলিন দেখে ভীরু মনে
নয়নের জলে ভাসবো না।”
রফিকউজ্জামানের দেশপ্রেমের গান নতুন একমাত্রায় পৌঁছে দেয় শ্রোতাকে। আর আমাদের কালজয়ী শিল্পীদের কণ্ঠে উজ্জয়নের ডানায় তুলে দেয় নতুন পালক। স্বদেশের প্রতি ভালোবাসা নতুন চেতনার বীজে বুনে দেয় অনাবাদী মনে। নিরাশার বুকে শোনা যায় আশার অনুরণন। আমরাও গাইতে গাইতে ঘরে ফিরলাম। জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু!
সব কটা জানালা খুলে দাও না.....
ওরা আসবে চুপি চুপি .......
যারা এই দেশটাকে ভালোবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা সবাইকে, বিদেশের মাটিতে এক খন্ড বাংলাদেশ ... আমরা একসাথে বিজয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করেছি আজ। শুভকামনা সকলের জন্য। সকল শহীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা ... এবং বিজয়ী মুক্তি সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা । আমরা তোমাদের ভুলবোনা।
অ্যাডিলেডের একটা পার্কের উঠান্ ছিল বিজয় দিবসের আয়োজন, ছিল দিগন্তজোড়া উচ্ছ্বাস। নানা বয়স, মত আর আদর্শিক জাতপাত , ভাষা, কালচার ভুলে একাকার হয়েছেন তারা। ভর দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন। ছিল রাত অবধি মাতৃভূমির প্রতি গভীর মমত্ববোধ। নিয়ে গাওয়া দেশাত্মবোধক গান নাচ আবৃত্তি।
বিজয়ের অনুষ্ঠানে শুধু বাংলাদেশ, নয় , মধযপাচ্য থেকে ইউক্রেন , সাউথ আফ্রিকা, বিভিন্ন দেশের ঐতিহ্য সংস্কৃতি চর্চার সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবেশনা অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে জমে উঠেছিল প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে বিজয় অনুষ্ঠান । বক্তৃতা, সম্মাননার পাশাপাশি স্থানীয় শিল্পীদের গান, নৃত্য, আবৃত্তি, নজর কাড়ে উপস্থিত দর্শকদের। এর সঙ্গে দেশি খাবার আর দেশি পোশাকের স্টলেও ছিল লক্ষণীয় ভিড়।ছিল ফেইস পেইন্টিং আর লাল সবুজের একখন্ড পতাকার রঙের পোষাক । রমনীর আদরের খোঁপায় সবাই জড়িয়ে এসেছিল আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে ফুলের মালা , আর কপালে টিপ । প্রবাসে বাংলা আর বাঙালির ঐতিহ্য-সংস্কৃতি তুলে ধরার যেমন প্রয়াস ছিল, তেমনি ঐক্যের বন্ধনে নিজেদের বিশেষত আগামী প্রজন্মকে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষিত হয় প্রতিটি কণ্ঠে , মাঠের সবুজ থেকে সূর্যের লাল বাংলাদেশের বুক এতই বিশাল ! গীতিকারের গানকে যেমন শব্দনির্মাতা সুরের মূর্ছনা ঢেলে দেন শিল্পীর কণ্ঠে। যার মূর্ছনায় বিমোহিত হয় শ্রোতা। জাগতিক বিষয়-আশয় ভুলে হেলান দেন গানের পানসিতে। মূল শিল্পীদের গান হয়ত এবার শোনা হলো না , কিন্তু যারা এখানে বসবাসরত গাইলেন গান , সে অপার এক সৌন্দর্যের জমিনে ফলাতে থাকেন শুদ্ধতার ফসল। সে ফসল গানের। সে ফসল প্রাণের। যার টসটসে বীজের ভেতর জন্ম দেয় শুদ্ধতার নতুন চারাগাছ, নতুন প্রজন্মের কাছে নতুন বাংলাদেশ । আলোড়িত করে নাড়িয়ে দিয়ে যায় অশুদ্ধ-অশুচির তাবৎ সংসার।
আশাজাগানিয়া শব্দের ভেতর তাই শুনতে পাই দেশপ্রেম, দেশমাতৃকার প্রতি ভালোবাসা, মুক্তিযুদ্ধ ও প্রত্যয়ের আকাশ ...
মাঠের সবুজ থেকে সূর্যের লাল
বাংলাদেশের বুক এতোই বিশাল
এখানে মানুষ জাগে জীবনের অনুরাগে
পুবের আকাশে আসে নতুন সকাল।
পদ্মা, মেঘনা, রূপসা, সুরমা, তিস্তা, যমুনা,
নদী পাড় সবুজ শাড়ি ঘুরিয়ে পরেছো তো বেশ
ও আমার দেশ ও আমার রূপবতী দেশ।
মাগো বিলের শাপলা আমার সঙ্গে বাংলায় কথা বলে
পাখির ভাষাও তোমারই তো ভাষা
নদীও তোমার ভাষার স্বরেই ‘কল-কল’ বয়ে চলে।
ভোরের সূর্য ‘স্বাগত’ জানিয়ে উজ্জ্বল হয় আর
সাঁঝের বেলায় ‘বিদায় বিদায়’ বলে হয় অবনত।’
প্রতিজ্ঞা আজো করছি তোমাকে ছুঁয়ে
এতোটুকু দাগ লাগে যদি মাগো
রক্তে দেবো তা ধুয়ে
তোমায় মলিন দেখে ভীরু মনে
নয়নের জলে ভাসবো না।”
রফিকউজ্জামানের দেশপ্রেমের গান নতুন একমাত্রায় পৌঁছে দেয় শ্রোতাকে। আর আমাদের কালজয়ী শিল্পীদের কণ্ঠে উজ্জয়নের ডানায় তুলে দেয় নতুন পালক। স্বদেশের প্রতি ভালোবাসা নতুন চেতনার বীজে বুনে দেয় অনাবাদী মনে। নিরাশার বুকে শোনা যায় আশার অনুরণন। আমরাও গাইতে গাইতে ঘরে ফিরলাম। জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু!
Post A Comment:
0 comments so far,add yours