কাজল ভট্টাচার্য, কার্টুনিস্ট ও সিনিয়র জার্নালিস্ট, কলকাতা:
বিকেলে ছিল ছাত্রবিক্ষোভ।
রাত গড়াতেই তা হয়ে গেল রাজনৈতিক বিক্ষোভ।
রবিবার বিকেলের পরেই বিক্ষোভের আগুনে জ্বললো দক্ষিণ দিল্লির অভিজাত এলাকায়।
ছাত্রবিক্ষোভের আড়ালে থেকে দুষ্কৃতি কলকাঠি নেড়েছিলো কিনা, উঠেছে সেই প্রশ্নও।
তবে ঘটনায় পরিষ্কার, রাত বাড়তেই ছাত্রবিক্ষোভকে সরাসরি হাইজ্যাক করে নিয়েছিল মূলত কংগ্রেস। ছাত্রছাত্রীদের কাঁধে বন্দুক রেখে, কংগ্রেস টার্গেট করে মোদি সরকারকে। আপ পার্টিও চেষ্টার কসুর করেনি। সবশেষে ছিল বামপন্থীরাও।
রবিবার বিকেলে ক্যাব, এনআরসি'র প্রতিবাদে পথে নামে জামিয়ার ছাত্রছাত্রীরা। ঠিক তার একটু পরেই শুরু হয় অশান্তি। দক্ষিণ দিল্লির সম্ভ্রান্ত এলাকা বলে পরিচিত নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি এলাকায় প্রথমে আগুন লাগানো হয় এক সরকারি ডিটিসি বাসে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হুড়মুড় করে বাস থেকে নেমে প্রাণে বাঁচেন বাসযাত্রীরা। এরপর আরও তিনটি বাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। দুষ্কৃতিরা আগুন লাগিয়ে দেয় পুলিসের গাড়িতেও। আগুনে জ্বলতে থাকে চারটি দমকলগাড়ি। রেয়াত করা হয়নি সাধারণ মানুষের বাইক, দোকানপাটকেও। গোটা এলাকায় তখন শুধুই আতঙ্ক।
ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে আসে দিল্লি পুলিসের বিশাল বাহিনী। নামানো হয় আধা সামরিক বাহিনীকেও। কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে, লাঠি চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করা হয় উত্তেজিত মিছিলকারীদের। বিক্ষোভকারী ছাত্রদের তাড়া করে পুলিস। পুলিসের অভিযোগ, ছাত্রছাত্রীরা জামিয়া ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে ঢুকে পুলিসকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকে। এরপর পুলিস ক্যাম্পাসে ঢুকে ধরপাকড় চালায়। ইউনিভার্সিটির ভিসি নাজমা আখতারের অভিযোগ, কোনও অনুমতি ছাড়াই পুলিস ক্যাম্পাসে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের ওপর বেধড়ক লাঠি চালায়। ঘটনায় ক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা বলে, "লাইব্রেরিতে বসে যারা পড়াশোনা করছিলো, তাদেরও লাঠিপেটা করে পুলিস।" কোনও ঝুঁকি না নিয়ে পুলিস, ক্যাম্পাস খালি করে দেয়।
জামিয়াছাত্রদের দাবি তারা কোনভাবেই আগুন জ্বালানোর ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। এরপরেই সন্দেহের আঙুল ওঠে ওখলার আপ বিধায়ক আমানতুল্লার দিকে। ছাত্রবিক্ষোভ চলার সময় তাঁকেও ঘটনাস্থলে দেখা গেছিল বলে অভিযোগ। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি ভিডিওতে জানান, অভিযোগ মিথ্যা। তিনি যেখানে ছিলেন, সেখানে কোনও অশান্তি হয়নি।
কমপক্ষে ঘণ্টা দুয়েকের জন্য গোটা এলাকায় চলে গুন্ডারাজ। পুলিস কড়া হাতে তা সামাল দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতেই, নিউ ফ্রেন্ডস কলোনির বাড়ি থেকে বেরোন প্রিয়াঙ্কা গাঁধি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনও উত্তর না দিয়েই, জানালার কাঁচ উঁচিয়ে চলে যান তিনি। তবে এই ঘটনার পর চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই, সোমবার বিকেলে ইন্ডিয়া গেটে দলবল নিয়ে বসে পড়েন প্রিয়াঙ্কা।
কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই ফিরে আসতে থাকে জামিয়ার ছাত্রছাত্রীরা। চল্লিশ পঞ্চাশজন পৌঁছে যায় দিল্লি পুলিস হেড কোয়ার্টারের সামনে। এরপরেই দলে দলে ভিড় জমাতে শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা। যোগ দেয় কংগ্রেস, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলিও। জেএনইউ সমেত অন্যান্য কলেজ ইউনাভার্সিটির পড়ুয়ারাও পুলিসের বিরুদ্ধে 'মুর্দাবাদ', পুলিস থেকে আজাদির শ্লোগান দিতে থাকে। রাত বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়ে চলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও। বাড়তে থাকে পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ। বিক্ষুব্ধরা জানান, টয়লেট থেকে ছাত্রীদের টেনে বার করে নিগ্রহ করে পুলিস। এমনকি মসজিদে আশ্রয় নেওয়া ছাত্রদেরও টেনে হিঁচড়ে বার করে পেটানো হয়। কমপক্ষে দুশোজন ছাত্রছাত্রী পুলিসের হামলায় গুরুতর জখম, বলে দাবি জামিয়া কর্তৃপক্ষের।
ওদিকে ততক্ষণে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য দিয়েছে আপ, মিম। রাত গড়াতেই একে একে ঘটনাস্থলে এসে হাজির হন কংগ্রেসনেতারা। প্রিয়াঙ্কা গাঁধি মুখে কুলুপ এঁটে চলে গেলেও, মুখর হন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। দলের প্রবীণ নেতা সলমন খুর্শিদ বলেন, "ছাত্রদের ওপর পুলিস পাশবিক অত্যাচার চালিয়েছে।" বিজেপির কারসাজিতেই দিল্লি জ্বলছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। "আগামী বছরেই দিল্লিতে ভোট," বলেন আপ দলের প্রবক্তা রাঘব চাঢ্ঢা। "সেই ভোটে জিততেই বিজেপি অশান্তি বাঁধানোর চক্রান্ত করছে।" দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার দাবি, ঘটনার দায় নিতে হবে বিজেপিকেই। তবে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সতর্ক করেছেন, হিংস্থ আন্দোলন চলবে না। বিনা অনুমতিতে জামিয়া ক্যাম্পাসে পুলিসের ঢুকে পড়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাত।
ছাত্রআন্দোলনে আক্রমণের মুখ ছিলো দিল্লি পুলিসের দিকে। রাজনীতির অনুপ্রবেশ হতেই মুখ ঘুরে গেল নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহর দিকে। রবিবার রাতেই সলমন খুর্শিদ জানিয়েছিলেন জামিয়া ছাত্রছাত্রীদের ওপর পুলিসের অত্যাচারের ঘটনায় সুবিচারের জন্য দল আদালতের দ্বারস্থ হবে। এদিকে সোমবার শীর্ষ আদালত স্পষ্ট ভাষায় সতর্ক করেছে, আগে অশান্তি থামান। নইলে শুনানি অর্থহীন। পুলিসের ভূমিকা প্রসঙ্গে আদালতের বক্তব্য, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করতে দেখলে পুলিস তা প্রতিরোধ করবেই। আন্দোলনকারীদের ধরনা নিয়ে আদালতের হুঁশিয়ারি, পথ আটকে ধরনা দিলেই সমস্যার সমাধানে বিশ্বাসী হলে, আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার দরকার নেই। কাল শুনানি শুরু হতে চলেছে।
তবে রাজনৈতিক চাপান উতোরের মধ্যেই কোটি টাকার একটাই প্রশ্ন, ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা?
কারণ জামিয়ার আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা বারবার দাবি করেছে, তারা কোনরকম অশান্তি ছড়ায়নি। বাসপোড়ানো, হামলাবাজির ঘটনার সঙ্গেও তাদের কোনও যোগ নেই। তাহলে রবিবার সন্ধ্যা নামতেই ছাত্র আন্দোলনের ভিড়ে মিশে, ঘণ্টা দুয়েক দক্ষিণ দিল্লির অভিজাত এলাকায় দাপিয়ে বেড়াল কারা?
বিকেলে ছিল ছাত্রবিক্ষোভ।
রাত গড়াতেই তা হয়ে গেল রাজনৈতিক বিক্ষোভ।
রবিবার বিকেলের পরেই বিক্ষোভের আগুনে জ্বললো দক্ষিণ দিল্লির অভিজাত এলাকায়।
ছাত্রবিক্ষোভের আড়ালে থেকে দুষ্কৃতি কলকাঠি নেড়েছিলো কিনা, উঠেছে সেই প্রশ্নও।
তবে ঘটনায় পরিষ্কার, রাত বাড়তেই ছাত্রবিক্ষোভকে সরাসরি হাইজ্যাক করে নিয়েছিল মূলত কংগ্রেস। ছাত্রছাত্রীদের কাঁধে বন্দুক রেখে, কংগ্রেস টার্গেট করে মোদি সরকারকে। আপ পার্টিও চেষ্টার কসুর করেনি। সবশেষে ছিল বামপন্থীরাও।
রবিবার বিকেলে ক্যাব, এনআরসি'র প্রতিবাদে পথে নামে জামিয়ার ছাত্রছাত্রীরা। ঠিক তার একটু পরেই শুরু হয় অশান্তি। দক্ষিণ দিল্লির সম্ভ্রান্ত এলাকা বলে পরিচিত নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি এলাকায় প্রথমে আগুন লাগানো হয় এক সরকারি ডিটিসি বাসে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হুড়মুড় করে বাস থেকে নেমে প্রাণে বাঁচেন বাসযাত্রীরা। এরপর আরও তিনটি বাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। দুষ্কৃতিরা আগুন লাগিয়ে দেয় পুলিসের গাড়িতেও। আগুনে জ্বলতে থাকে চারটি দমকলগাড়ি। রেয়াত করা হয়নি সাধারণ মানুষের বাইক, দোকানপাটকেও। গোটা এলাকায় তখন শুধুই আতঙ্ক।
ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে আসে দিল্লি পুলিসের বিশাল বাহিনী। নামানো হয় আধা সামরিক বাহিনীকেও। কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে, লাঠি চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করা হয় উত্তেজিত মিছিলকারীদের। বিক্ষোভকারী ছাত্রদের তাড়া করে পুলিস। পুলিসের অভিযোগ, ছাত্রছাত্রীরা জামিয়া ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে ঢুকে পুলিসকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকে। এরপর পুলিস ক্যাম্পাসে ঢুকে ধরপাকড় চালায়। ইউনিভার্সিটির ভিসি নাজমা আখতারের অভিযোগ, কোনও অনুমতি ছাড়াই পুলিস ক্যাম্পাসে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের ওপর বেধড়ক লাঠি চালায়। ঘটনায় ক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা বলে, "লাইব্রেরিতে বসে যারা পড়াশোনা করছিলো, তাদেরও লাঠিপেটা করে পুলিস।" কোনও ঝুঁকি না নিয়ে পুলিস, ক্যাম্পাস খালি করে দেয়।
জামিয়াছাত্রদের দাবি তারা কোনভাবেই আগুন জ্বালানোর ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। এরপরেই সন্দেহের আঙুল ওঠে ওখলার আপ বিধায়ক আমানতুল্লার দিকে। ছাত্রবিক্ষোভ চলার সময় তাঁকেও ঘটনাস্থলে দেখা গেছিল বলে অভিযোগ। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি ভিডিওতে জানান, অভিযোগ মিথ্যা। তিনি যেখানে ছিলেন, সেখানে কোনও অশান্তি হয়নি।
কমপক্ষে ঘণ্টা দুয়েকের জন্য গোটা এলাকায় চলে গুন্ডারাজ। পুলিস কড়া হাতে তা সামাল দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতেই, নিউ ফ্রেন্ডস কলোনির বাড়ি থেকে বেরোন প্রিয়াঙ্কা গাঁধি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনও উত্তর না দিয়েই, জানালার কাঁচ উঁচিয়ে চলে যান তিনি। তবে এই ঘটনার পর চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই, সোমবার বিকেলে ইন্ডিয়া গেটে দলবল নিয়ে বসে পড়েন প্রিয়াঙ্কা।
কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই ফিরে আসতে থাকে জামিয়ার ছাত্রছাত্রীরা। চল্লিশ পঞ্চাশজন পৌঁছে যায় দিল্লি পুলিস হেড কোয়ার্টারের সামনে। এরপরেই দলে দলে ভিড় জমাতে শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা। যোগ দেয় কংগ্রেস, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলিও। জেএনইউ সমেত অন্যান্য কলেজ ইউনাভার্সিটির পড়ুয়ারাও পুলিসের বিরুদ্ধে 'মুর্দাবাদ', পুলিস থেকে আজাদির শ্লোগান দিতে থাকে। রাত বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়ে চলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও। বাড়তে থাকে পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ। বিক্ষুব্ধরা জানান, টয়লেট থেকে ছাত্রীদের টেনে বার করে নিগ্রহ করে পুলিস। এমনকি মসজিদে আশ্রয় নেওয়া ছাত্রদেরও টেনে হিঁচড়ে বার করে পেটানো হয়। কমপক্ষে দুশোজন ছাত্রছাত্রী পুলিসের হামলায় গুরুতর জখম, বলে দাবি জামিয়া কর্তৃপক্ষের।
ওদিকে ততক্ষণে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য দিয়েছে আপ, মিম। রাত গড়াতেই একে একে ঘটনাস্থলে এসে হাজির হন কংগ্রেসনেতারা। প্রিয়াঙ্কা গাঁধি মুখে কুলুপ এঁটে চলে গেলেও, মুখর হন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। দলের প্রবীণ নেতা সলমন খুর্শিদ বলেন, "ছাত্রদের ওপর পুলিস পাশবিক অত্যাচার চালিয়েছে।" বিজেপির কারসাজিতেই দিল্লি জ্বলছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। "আগামী বছরেই দিল্লিতে ভোট," বলেন আপ দলের প্রবক্তা রাঘব চাঢ্ঢা। "সেই ভোটে জিততেই বিজেপি অশান্তি বাঁধানোর চক্রান্ত করছে।" দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার দাবি, ঘটনার দায় নিতে হবে বিজেপিকেই। তবে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সতর্ক করেছেন, হিংস্থ আন্দোলন চলবে না। বিনা অনুমতিতে জামিয়া ক্যাম্পাসে পুলিসের ঢুকে পড়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাত।
ছাত্রআন্দোলনে আক্রমণের মুখ ছিলো দিল্লি পুলিসের দিকে। রাজনীতির অনুপ্রবেশ হতেই মুখ ঘুরে গেল নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহর দিকে। রবিবার রাতেই সলমন খুর্শিদ জানিয়েছিলেন জামিয়া ছাত্রছাত্রীদের ওপর পুলিসের অত্যাচারের ঘটনায় সুবিচারের জন্য দল আদালতের দ্বারস্থ হবে। এদিকে সোমবার শীর্ষ আদালত স্পষ্ট ভাষায় সতর্ক করেছে, আগে অশান্তি থামান। নইলে শুনানি অর্থহীন। পুলিসের ভূমিকা প্রসঙ্গে আদালতের বক্তব্য, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করতে দেখলে পুলিস তা প্রতিরোধ করবেই। আন্দোলনকারীদের ধরনা নিয়ে আদালতের হুঁশিয়ারি, পথ আটকে ধরনা দিলেই সমস্যার সমাধানে বিশ্বাসী হলে, আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার দরকার নেই। কাল শুনানি শুরু হতে চলেছে।
তবে রাজনৈতিক চাপান উতোরের মধ্যেই কোটি টাকার একটাই প্রশ্ন, ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা?
কারণ জামিয়ার আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা বারবার দাবি করেছে, তারা কোনরকম অশান্তি ছড়ায়নি। বাসপোড়ানো, হামলাবাজির ঘটনার সঙ্গেও তাদের কোনও যোগ নেই। তাহলে রবিবার সন্ধ্যা নামতেই ছাত্র আন্দোলনের ভিড়ে মিশে, ঘণ্টা দুয়েক দক্ষিণ দিল্লির অভিজাত এলাকায় দাপিয়ে বেড়াল কারা?
Post A Comment:
0 comments so far,add yours