জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা:

আঞ্চলিকতার
হাজার দুয়ারীতে অবরুদ্ধ
জাতীয়তাকে
আন্তর্জাতীকতায়
মুক্তি  দেওয়ার --
অতি-জটিল, শ্রমসাধ্য জ্ঞানমুক্তির   প্রকৃয়াকে
অতিক্রমের পথ নিজেকেই খুজে নিতে হবে।

এই শিরোনামার প্রথম অংশ যেখানে শেষ করা হয়েছেঃ
"এখানের জাতীয়তার আন্তর্জাতীক মুক্তির পথকে  পরিমিতির এক এক ধাপে, সাধারন জ্ঞানের পূনঃর্গঠন, বিস্তার, গন-অংশগ্রহনের প্রতিটি ধাপকে সুত্রবদ্ধ করে এগুতে হয়। কোথায়ো ভুল-চুক, উল্লম্ফন ইত্যাদি ঘটলেই
-----  জাতীয়তাকে অতি- উঘ্রতায় ঠেলে নিয়ে যেতে, তাকে ক্রমান্বয়ে আঞ্চলিকতার সংকীর্নধারায় নিক্ষেপ করে, ইতিহাসের স্তব্ধতা এবং দাসত্বকে চিরন্তন করতে গিয়ে,  আন্তর্জাতীকতার উপর আক্রমন শুরু করবে। সেটা শুরু করা হবে, আন্তর্জাতীকতার রক্ষক হিসেবে শ্রমিক শ্রেনীকে নিশ্চল করে দিয়ে।"
IT IS 100% LIE AND THEY ARE LIED
AS IF THEY ARE NATIONAL, AND
WE WHO LEAD DEMOCRACY WITH
APPROACH OF DEMOCRACY ARE
SOMETHING DIFFERENT.
     
In reality those who wish to get the
knowledge fragmented, vision narrowed
down to ares and
in case of Trade union movement, to department
they creates an wall in between
nationalism and internationalism.
OTHERWISE INTERNATIONALISM IS THE
EXTENSION OF NATIONALISM.

এটা শতভাগ মিথ্যা, বরং ওদেরকেই শত বছর ধরে মিথ্যা বোঝানো হয়েছে --
যেন ওরা জাতীয়তাবাদী এবং আমরা যারা
গনতন্ত্রে সাম্যের অভিমুখ দিয়ে চলছি তারা সবাই কোন কিছু আলাদা।

আসলে যারা চেয়েছিলো,
জ্ঞান খন্ড বিখন্ড হয়ে, বৌদ্ধিক  সত্বা
আঞ্চলিকতায় ডুবে থাকুক,
ট্রেড ইউনিয়ন চেতনা কোন ভাবেই
বিভাগের তারকাটা অতিক্রম করে না পারে,
তারাই জাতীয়তাকে আন্তর্জাতীকতায় মুক্তি
পাওয়াটা আটকাতেই, মাঝখানে একটা দেওয়াল তুলে দেওয়ার পরিকল্পনায়
চলছে শতবছর।তারাই শেখাচ্ছে, জ্ঞান সত্য নয়, সত্য নয়কো মহামানবিকতা।
ওরাই ইতিহাসের স্থবিরতার তত্ব হাজির করেছে।
বোঝাচ্ছে ' দাসত্বই চিরন্তন'।
 সেখান থেকেই কোন মহিলা সাংসদ বলে দিচ্ছেন নিজে নিজে "বলাৎকার' নাকি
'ভারতীয় প্রাচীনত্বের অহংকার।

আন্তর্জাতীকতা যে জাতীয়তারই ধারাবাহিক সত্বা হিসেবে নিয়ে যাওয়ার সাম্যবাদী  দুর্বলতা --
কংগ্রেস দল যে  তার শাসনের পুরোটা সময়,
ভেতরের অতি-প্রাচীনপন্থীদের আশির্বাদ পেতে
এক প্রান্তে সোভিয়েত সাহায্য নেওয়া অন্যপ্রান্তে সাম্যের বিরুদ্ধে নিরন্তর আক্রমন ইত্যাদির সুযোগ ব্যবহার করে, আজকের ভারতীয় ফ্যাসিস্ততত্বকে এগিয়ে দিতে সাহায্য করেছে, সে কথাগুলি বুকে গেঁথে নিতে পারলেই,
জাতীয়তাকে আন্তর্জাতীকতায় মুক্তির
ভাবাদর্শ এবং  জ্ঞানগত অভিমুখটি উন্মুক্ত হতে থাকবে।
যদি 'অসম্ভব না হয়'
এটাও আস্তে আস্তে বোঝার প্রয়োজন হবে -
ইউ পি এ এক থেকে, সাম্যবাদীদের তাড়িয়ে দেওয়ার পেছনেও এই প্রাচীনত্ব এবং আমেরিকা মিলিটারীতন্ত্রকে তোষন প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলো। বাকি কিছু আনুসাংগিক।

-----  তারাই যে আজকে 'বুদ্ধিজীবি'
যারা বিগত চার দশক ধরে যে ভেতর ভেতর
দেশের জ্ঞান-ভান্ডারকে খন্ডিত এবং টুকরো টুকরো হতে দিতে, শিক্ষাকে  -
জ্ঞান কিংবা সংস্কৃতিতে রুপান্তরিত হতে না পারার স্বরযন্ত্রকে -
সেই 'স্বরযন্ত্রকে ইতিহাসের স্তব্ধতা এবং
দাসত্বের চিরন্তনতার তথাকথিত সর্বনাসাকে
প্রশ্রয় দিয়ে মেরুদন্ডহীনতার কারন হয়েছে  -
সে কথাটা যারা বুঝেন নাই, তাদের কিছুতেই, আজকের জমানায় প্রকৃত অর্থে ম্যবাদী বলা যাবে না।

কাউকে অপবাদের কারনে নয়, বুদ্ধির আকাশে যে দুর্যোগের ঘনঘটা দেখা দিয়েছে,
সেই শূণ্যতা পূরনে, গনতন্ত্রে সাম্যের  পথযাত্রীদেরকেই যখন নতুন জমানায়,
জাতীয়তাকে আন্তর্জাতীকতায় মুক্তি দিতে
নতুন করে তরোয়াল এবং কলম নিয়ে পথে নামতেই হবে, তখন চিন্তনে, জ্ঞানে, সংস্কৃতির স্বর্ণস্পর্শে মহামানবিকতার পথে হাটি হাটি পা' পা' করে এগিয়ে দিতে হবে পুরো দেশটাকেই।
এই সংগ্রামে ট্রেড ইউনিয়নটাই যেহেতু আজকের বিশ্বে অগ্রগামী রশায়নাগার, সেখানে কোন রকম সুযোগ সন্ধানী ভূমিকা আত্মহত্যারই নামান্তর হতে বাধ্য।

ইতিহাসের স্তব্ধতা এবং দাসত্বকে,  নারীর নারীত্ব হননকেই যে জমানায় প্রাতিষ্ঠানিক মর্য্যাদা  দেওয়া হয়েছে, সেই জমনায়, সাম্যেও ' 'একাই সব করে দেবো''
সেই জমানার অবসান ঘোষনা করতে হবে।
নেতৃ্ত্ব দিতে হবে একসাথে, মাঠে নামতে হবে একসাথে।
রাজনীতিহীনতার রাজনীতির জংগল থেকে
শ্রমিক রাজনীতিটাকে বেড়করে আনার
সুযোগ করে নেওয়ার সংগ্রামকে এগিয়ে দিতে হবে সংগবদ্ধতার একাত্মতায়।
এখানে জ্ঞান ও ভাব, ভাব এবং সংস্কৃতি, তার সাথে ময়দানী সংগ্রামের রশায়নাগাড় হিসেবেই
ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনকে নবরুপে সোজা করে দাড় করানোটাই হবে, এই  মুহূর্তের সর্ব বৃহৎ সংগ্রাম।

এই সংগ্রাম তখনই যয়যুক্ত হতে পারবে,
যখন জাতীয়তাকে আন্তর্জাতীকতায় প্রশারনে,
স্তালিনের সেই কথাটাকে স্মরন রেখে - সব সংগ্রামকেই এক গনশিক্ষার সংগ্রামে এগিয়ে দেওয়ায় গনতন্ত্রের সংগ্রামটিকেই
জ্ঞানসাগরে অবগাহন করা এবং করানোর
সংগ্রামে বদলে দেওয়ার চেষ্টা হবে।

তাই স্তালিন বুঝালেন
----- রেনেশার অগ্রগতির পথ বুর্জোয়ারা বন্ধ করে দিয়েছে।
আমাদের বুঝতে হবে 'জাতীয়তাকে আন্তর্জাতীকতায় মুক্তি পথের অন্বেষনের নামটার নামই, 'রেনেশাঁর মুক্তি পথ। (চলবে)
Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours