শ্বেতা ঘোষ, ফিচার রাইটার, নৈহাটি, উত্তর ২৪ পরগনা:

শীত পরা মানেই বড়দিনের উৎসব। তেমনি দুর্গাপুর সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের বার্ষিক দিবস অনুষ্ঠান মানেই এক নতুনত্বের উৎসবের ছোঁয়া। স্কুলে নতুনত্ব উৎসবের ছোঁয়া মানে? সাধারণত বিভিন্ন স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় বাছাই করা শিল্প পারদর্শী ছাত্র ছাত্রীদের সহযোগে। কিন্ত এখানেই অভিনবত্বের স্পর্শ ছুঁয়ে গেল আয়োজক স্কুলকে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এই বার্ষিক দিবস অনুষ্ঠানে স্কুলের সমস্ত ছাত্রই অংশ নেয় মুন্সীয়ানার সঙ্গে। অর্থাৎ দ্বীদিবস অনুষ্ঠানে প্রায় বাইশশো ছাত্র মঞ্চে পরিবেশন করে রকমারি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এহেন অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে স্কুলের প্রিন্সিপাল ফাদার জিমি কিপুরাম বলেন, "আমাদের স্কুলের প্রায় বাইশশো ছাত্রের প্রত্যেকে এই সুন্দর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরেছে নিজস্ব অভিনবত্বে।"
উক্ত স্কুলের শিক্ষক সন্দীপ গুহ রায় মন্তব্য করেন, দুই দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র বাইশো ছাত্র অংশ নেয়নি সঙ্গে দর্শক আসনে উপস্থিত ছিলেন প্রত্যেক ছাত্রের অভিভাবকবৃন্দ। অনুষ্ঠান সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে দুশো সিনিয়র ছাত্রকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। গর্বের সঙ্গে দাবি করা যায় আমাদের অনুষ্ঠান সার্বিক ভাবে সফল হয়েছে।
স্কুলের ছাত্র উপাসক সাহা গ্রুপ ড্যান্স উপস্থাপন করে। তার বক্তব্য, আমি নৃত্যানুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে খুব খুশি। একই সঙ্গে ভীষণ ভালো লেগেছে এই কারণে যে আমার সহপাঠীরা সবাই মিলে  নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরেছে হাতে হাত মিলিয়ে।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার দিনভর অনুষ্ঠিত এই স্কুল উৎসবে নাটক আবৃত্তি গান নাচের একাধিক ধারা পরিবেশিত হয়েছিল। সেখানে বিভিন্ন অতিথিবৃন্দ তাঁদের বক্তব্য দিতে গিয়ে ছাত্রদের উদ্দেশ্য বলেন, "অধ্যায়নেয় মাধ্যমের মানুষ মানবিকতার শিক্ষা গ্রহণ করে। আর সাংস্কৃতিক আবহ মানবতার স্ফূরণ ঘটায় বহুমুখী আঙ্গিকে।"
দুর্গাপুরের এই স্কুলের এই বার্ষিক দিবস অনুষ্ঠানের নাম "এক্সুবারেন্স"। স্কুলের কৃতি ছাত্রদের পুরস্কৃত করা হয়, সঙ্গে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় শংসাপত্র।
আয়োজক স্কুলের দুই  শিক্ষিকা পম্পা রায় (সাংস্কৃতিক বিষয়ক কর্তা) ও পুষ্পা সিং (শিক্ষা বিষয়ক কর্তা) জানান, আমরা দুই মাস যাবৎ নিয়মিত স্কুলে সমস্ত ছাত্রদের নিয়ে রিহার্সাল দিয়েছি। এই অনুষ্ঠান শুধুমাত্র একটা নিছক সাংস্কৃতিক ইভেন্ট নয়, এহেন উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে আমরা স্কুলের সব ছাত্রদের মধ্যে তাদের নিজস্ব আত্মপ্রত্যয় প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছি। সেই প্রচেষ্টায় আমরা ষোল আনা সফল।


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours