সাজিয়া আক্তার, ফিচার রাইটার, বাংলাদেশ:

শীতকালে পাহাড়ের চারপাশের গ্রামগুলো সাদা কুয়াশাচ্ছন্ন থাকলেও সকাল হলেই জীবিকার প্রয়োজনে বের হতে হয় রুটি-রুজির সন্ধানে। এ দুর্গম এলাকায় একমাত্র যানবাহন মোটরসাইকেল। কোন ছোট কিংবা বড় গাড়ি সেখানে যেতে পারে না। তাই দুর্গম পথকে পুঁজি করে মোটরসাইকেল চালানোকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন তারা।

এভাবে উপজেলার প্রায় ৯শ’ বেকার কর্মসংস্থান হিসেবে বেছে নিয়েছেন মোটরসাইকেল চালানোকে। শুধু যুবক নয়, কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্করাও আছেন এ পেশায়। ভাড়া একটু বেশি হলেও কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে যাত্রীরা বিকল্প যান হিসেবে মোটরসাইকেলে চড়তে পছন্দ করেন। দিন বা রাত যেকোনো সময়ে সাড়া দেন তারা। দুর্গম পাহাড়ি যেসব এলাকায় গাড়ি যেতে পারে না; সেসব এলাকায়ও জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াত করতে পারছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, এসব রাস্তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও দুর্গম। অনেক সময় অসুস্থ ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে চাইলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তখন ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল ভোগান্তি দূর করে। তবে চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলে দুর্ঘটনা কমে যেত। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে সমিতি গঠন করেছেন চালকরা। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিভিন্ন সড়কে রাখা হয়েছে লাইনম্যান।
লামা বাজার মিশনঘাট, পূর্বপাড়া, মেরাখোলা সড়কের মোটরসাইকেল সমিতির সভাপতি ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে মোটরসাইকেল স্ট্যান্ড আছে। যার মধ্যে উপজেলা সদরে রয়েছে ৩টি স্ট্যান্ড। এখান থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভাড়ায় যাত্রী বহন করা হয়। তবে গরিব-অসহায় মানুষকে আমরা বিভিন্নভাবে আর্থিক সহায়তা করে থাকি।’

লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘বেকার না থেকে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তবে যারা মোটরসাইকেল চালান; তাদের পরিচয়পত্র, প্রশিক্ষণ ও নির্দিষ্ট পোশাক থাকা প্রয়োজন।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেন, ‘পাহাড়ি এলাকায় জরুরি প্রয়োজনে মোটরসাইকেলের বিকল্প নেই। এতে বেকারত্বও কমছে। সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চালকদের দুই দিনের ট্রাফিক নিয়ম-কানুন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।’


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours