ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
নন্দ চাটুজ্যে কিছুতেই একবগ্গা রূপেন্দ্রকে জব্দ করতে পারছে না! গত রাত্রে ছিনাথ সাহা ' একঘরে 'রূপেনের বাড়ী গিয়ে মায়ের চিকিৎসা করানোয় সমস্ত রাগ তার উপর গিয়ে পড়ল!তাকে ডেকে ধমক দিয়ে জানতে তারা চার ভাই খাটিয়া করে মাঝ রাতে তাদের মা কে নিয়ে কেন একবগ্গার বাড়ী গেছিল? এক বগ্গা সমাজচ্যুত, জাতিচ্যুত জেনেও!
উত্তরে বিনীতভাবে ছিনাথ জানায়, তারা সব জানে! ঢাক ঢোল বাজিয়ে পাঁচ গাঁয়ের মাতব্বররা বিধান দিয়ে কোবরেজ ঠাকুরকে সমাজচ্যুত করেছেন! কিন্তু মায়ের কষ্ট চোখে দেখা যাচ্ছিল না তাই বাধ্য হয়ে তারা গেছিলেন একবগ্গা ঠাকুরের কাছে!
নন্দ আবার প্রশ্ন করে,"শুনলাম পুঁটলী বেঁধে চাল ডাল সবজি ভেট দিয়েছিস?"
" বৈদ্যবিদায় তো দিতেই হবে "বলে ছিনাথ!
নন্দ হুমকী দিয়ে বলে," এখন যদি তোদের চারভাইকে একঘরে করি?"
ছিনাথ চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকায় নন্দর সাহস একটু বেড়ে যায়! সে বলে," তুই স্বীকার করছিস তাই ক্ষমা করে দিচ্ছি তবে ভবিষ্যতে দ্বিতীয়বার এইরকম অধর্ম করলে শাস্তি পেতে হবে! তোদের চার ভাইকে মাত্র এক টাকা জরিমানা করলাম!
ছিনাথের যোগে মদের দোকান, টাকা পয়সা ভালোই আছে! একটাকা জরিমান তার কাছে কিছুই নয়!তবু হাত জোড় করে বলে," তার চেয়ে আমাদের একঘরে করুন!
তাহলে মায়ের চিকিৎসা করাতে আর অসুবিধা হবে না!
নন্দ চমকে যায়! ছিনাথ বলেই চলে,"আমাদের তো আর একঘরে থাকতে হবে না! একে একে ধোপা নাপিত সবাই 'এক ঘরে ' হয়ে যাবে মানে 'এককাট্টা '! মুশকিল হবে আপনাদের তিন জনের মানে তিন সমাজপতি হয়ে যাবেন 'তেঘরে 'চিকিচ্চে বন্ধ! মহা সমস্যায় পড়লেন নন্দ খুড়ো! তার বাতের মালিশটা ফুরিয়ে গেছে...রূপেন্দ্র ছাড়া মালিশ কোথায় পাবেন? (চলবে)
নন্দ চাটুজ্যে কিছুতেই একবগ্গা রূপেন্দ্রকে জব্দ করতে পারছে না! গত রাত্রে ছিনাথ সাহা ' একঘরে 'রূপেনের বাড়ী গিয়ে মায়ের চিকিৎসা করানোয় সমস্ত রাগ তার উপর গিয়ে পড়ল!তাকে ডেকে ধমক দিয়ে জানতে তারা চার ভাই খাটিয়া করে মাঝ রাতে তাদের মা কে নিয়ে কেন একবগ্গার বাড়ী গেছিল? এক বগ্গা সমাজচ্যুত, জাতিচ্যুত জেনেও!
উত্তরে বিনীতভাবে ছিনাথ জানায়, তারা সব জানে! ঢাক ঢোল বাজিয়ে পাঁচ গাঁয়ের মাতব্বররা বিধান দিয়ে কোবরেজ ঠাকুরকে সমাজচ্যুত করেছেন! কিন্তু মায়ের কষ্ট চোখে দেখা যাচ্ছিল না তাই বাধ্য হয়ে তারা গেছিলেন একবগ্গা ঠাকুরের কাছে!
নন্দ আবার প্রশ্ন করে,"শুনলাম পুঁটলী বেঁধে চাল ডাল সবজি ভেট দিয়েছিস?"
" বৈদ্যবিদায় তো দিতেই হবে "বলে ছিনাথ!
নন্দ হুমকী দিয়ে বলে," এখন যদি তোদের চারভাইকে একঘরে করি?"
ছিনাথ চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকায় নন্দর সাহস একটু বেড়ে যায়! সে বলে," তুই স্বীকার করছিস তাই ক্ষমা করে দিচ্ছি তবে ভবিষ্যতে দ্বিতীয়বার এইরকম অধর্ম করলে শাস্তি পেতে হবে! তোদের চার ভাইকে মাত্র এক টাকা জরিমানা করলাম!
ছিনাথের যোগে মদের দোকান, টাকা পয়সা ভালোই আছে! একটাকা জরিমান তার কাছে কিছুই নয়!তবু হাত জোড় করে বলে," তার চেয়ে আমাদের একঘরে করুন!
তাহলে মায়ের চিকিৎসা করাতে আর অসুবিধা হবে না!
নন্দ চমকে যায়! ছিনাথ বলেই চলে,"আমাদের তো আর একঘরে থাকতে হবে না! একে একে ধোপা নাপিত সবাই 'এক ঘরে ' হয়ে যাবে মানে 'এককাট্টা '! মুশকিল হবে আপনাদের তিন জনের মানে তিন সমাজপতি হয়ে যাবেন 'তেঘরে 'চিকিচ্চে বন্ধ! মহা সমস্যায় পড়লেন নন্দ খুড়ো! তার বাতের মালিশটা ফুরিয়ে গেছে...রূপেন্দ্র ছাড়া মালিশ কোথায় পাবেন? (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours