আহসান হাবিব, লেখক, বাংলাদেশ:
লোকে রূপ নিয়ে কত কি বলে! রূপ ছাপিয়ে তারা ভাল মানুষের মত গুণের কথা বলে! আমি তাদের সংগে একদম নেই। তোমরা যা বল তাই বল, আমি কিন্তু রুপের পাগল । আমি প্রথমে গোলাপের রুপ দেখে পাগল হয়েছি, তারপর তার সৌরভ নাকে এসে বিঁধলে মুগ্ধ হয়েছি । দুইয়ে মিলে গোলাপ আমার কাছে প্রিয় । এমন সৌরভ অনেক ফুলের আছে এমনকি তার চেয়েও সুন্দর কিন্তু রূপ ভাল নয় বলে তেমন আকর্ষণ সে করতে পারে না । জবা দেখে আজো আমি মুগ্ধ হই কিন্তু তার সৌরভ নাই বলে দূরে ফেলে ফেলে দিইনি । রুপ তার অপূর্ব বলে তার দিকে তাকিয়ে থাকি, বিস্মিত হই তার রুপ দেখে । ঠিক তেমনি তোমাকে যেদিন প্রথম দেখলাম, কিছুই না জেনে পাগল হয়েছিলাম, তারপর ধীরে ধীরে একটু একটু করে জেনে সেই পাগলামি অসাধারণ এক মুগ্ধতায় ভরে উঠেছিল । তোমার রুপ দেখে প্রেমে পড়ি এবং ভেতরের সৌরভে আমি মুগ্ধ হই। আজ প্রেম ভেঙে গেছে কিন্তু তোমার প্রতি আমার অনুরাগ একটুও কমেনি, কারণ তোমার রুপ আমার কাছে আজো মুগ্ধতা জাগিয়ে রাখে।
প্রেমের প্রধান শর্ত রুপ, তারপর অন্যকিছু । রুপ যদি আকর্ষণ না করে তাহলে তার অন্যকিছু জানার আগ্রহই জাগবে না । কারণ প্রেম বুঝে শুনে বিচার করে পড়ার বিষয় নয় । সেই প্রেমই শ্রেষ্ঠ যে প্রেম দেখা মাত্র জেগে ওঠে, কোন কিছু না জেনেই । প্রেমে যে দুই পক্ষ একই সময়ে পড়বে তা কিন্তু নয়, প্রথমে একজন পড়বে, তারপর অন্যজন । দুজন জদি একি সময়ে পড়ে, তাহলে তো কথাই নেই ! প্রেমে পড়ার পর যদি দেখা যায় তার বিশেষ কোন গুণ নেই, ক্ষতি নেই, গুণ আহরণের জিনিস, চেষ্টা করলে তা যে কেউ অর্জন করতে পারে । কিন্তু রূপ ? কেউ ইচ্ছা করলেই রূপ অর্জন করতে পারবে না । তবে নিজেকে শারীরিক চেষ্টার মধ্য দিয়ে নিজেকে সুস্থ এবং ফিট রাখতে পারবে, সেটার সৌন্দর্য আলাদা । গোলাপ কিংবা কৃষ্ণচূড়া চেষ্টা করে সুন্দর নয়, তারা আপনাতেই সুন্দর । আমি সেই সৌন্দর্যের কথা বলছি যা আপনা আপনি আবির্ভূত অর্থাৎ স্বয়ম্ভু । কেউ ইচ্ছা করলে ডায়ানা কিংবা মাধুরী হতে পারবে না কিন্তু জনগণের প্রিয় হয়ে ওঠা সম্ভব দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে এবং অভিনয় সম্ভব সাধনা করে । এসব পরের কথা, আমি বলছি প্রেমে পড়ার মুহূর্তের কথা । অনেকেই প্রেমে পড়ে অনেকদিন একসাথে চলতে চলতে, তার মানে আগে বন্ধুত্ব, পরে সেটা প্রেমে রুপান্তর । এইসব প্রেম অনেক শর্ত দিয়ে তৈরি- রূপ এড়িয়ে তখন গুণ এসে হাজির হয় মানে প্রেমের জন্য সে কতটা যোগ্যতাসম্পন্ন, এটা যাচাইয়ের বিষয় হয়ে দাঁড়ায় । যদি শর্ত পূরণ হয়, তাহলে প্রেমে পড়া, নইলে না । এই প্রেমের মধ্যে কোন সৌন্দর্য নাই, বানানো প্রেম । কিন্তু প্রেম হচ্ছে হঠাৎ, আলোর ঝলকানির মত, দেখামাত্র দখল করে ফেলবে, বদলে যাবে মুহূর্তেই । সে তৎক্ষণাৎ অন্য মানুষ হয়ে যাবে, তার ভেতর অস্থির, চঞ্চল হয়ে উঠবে । তার হরমোনের মাত্রার ফেরফের ঘটে যাবে, সেই হরমোন তাকে অস্বাভাবিক বানিয়ে ফেলবে । সে তখন আর কোন যুক্তিশীল মানুষ থাকবে না, হয়ে উঠবে বাঁধনহারা এক প্রায় অযৌক্তিক মানুষ । নিজের প্রতি সে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলবে । সে ভাববে যা হয় হোক । প্রেম মানে তাই কোনকিছু না জেনে একটা অনাগত অজানা ভ্রমণে বেরিয়ে পড়া । একটা নতুন দেশে পৌঁছে যাওয়া, তারপর সবকিছু দেখতে দেখতে যাওয়া । না দেখা জিনিস দেখতে যে রোমাঞ্চ, দেখা জিনিসের সেই রোমাঞ্চ কি সম্ভব ? দেখেশুনে প্রেম করলে বড়জোর ঘর বাঁধা যায় কিন্তু সেটা ঠিক প্রেম নয় । প্রেম যদি একটা গন্তব্য না জানা নদী হয়, জেনেশুনে প্রেম করা হচ্ছে একটা পুকুর, এপার ওপার সহজেই দেখা যায় । কে না জানে নদীর সৌন্দর্য পুকুরের চেয়ে হাজারগুণ বেশি।
আমি তাই রুপের জয়গান গাই, প্রেমের গানে রুপের জয় গাই । প্রেম মানেই রুপের প্রতি আকর্ষণ । লোকে অনেকেই এটাকে মোহ বলবে, আমি বলবো এটা মোহ নয়, এটাই প্রেম । মোহ হচ্ছে প্রেম বহির্ভূত একটা স্থুল আবেগ, সে জানে সে আকর্ষণ অনুভব করছে না, দেখাচ্ছে, ভান করছে । একবার কাছে পেলেই ভেঙে যাবে । প্রেম কোনকিছুতেই ভাঙবে না, প্রেম একবার জাগ্রত হলে তা জীবনের শেষদিন পর্যন্ত জ্বলন্ত থাকে । প্রেমের শিখা তাই অনির্বাণ । সম্পর্ক ভেঙে গেলেও শিখা জ্বলতে থাকবে । কারণ রুপের যে আকর্ষণ তা অদম্য, গুণ বদলে বদলে যায় । রূপও বদলায়, কিন্তু প্রেমের স্পর্শে তা হয়ে ওঠে আরও সুন্দর, মনোহর । প্রথম দেখার অনির্বচনীয় স্মৃতি হৃদয়ের গোপনে জাগ্রত থাকে অহর্নিশি।
আমি যেদিন থেকে তোমার রুপে মুগ্ধ হয়েছি, সেদিন থেকেই প্রেমে পড়েছি । সময় পেরিয়েছে, রূপের বিকিরণ আরও বেড়েছে, অথচ বয়স বেড়েছে । হয়তো অনেককিছু বদলে গেছে, কিন্তু তোমার রুপকে করেছে আরও আকর্ষণীয় । এর সংগে যুক্ত হয়েছে বিবিধ গুণ । এই গুণ রুপকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে, হয়ে উঠেছ অদ্বিতিয়া । কখনো কখনো তোমার দৃষ্টিভঙ্গি নেতিবাচক ঠেকেছে, কিন্তু তাতেও আমার আকর্ষণ কমেনি বরং বেড়েছে কারণ মানুষ তো শুধু ইতিবাচক নয় । অবিমিশ্র সুন্দর কিছু নেই কিন্তু রূপ অবিমিশ্র আমি যখন তা দেখে পাগল হয়ে উঠছি । সেই রুপের কোন তুলনা নেই । তবে রুপের ধারণা এক একজনের কাছে এক এক রকম।
রূপ আছে বলেই প্রেম আছে, প্রেম আছে বলে রূপ নয় । প্রেম মানবিক রূপ সৃষ্টি করতে পারে না, পারে শিল্প সৃষ্টি করতে, রূপ পারে প্রেমকে জাগ্রত করতে । রূপ হচ্ছে একটি বস্তুগত অবয়ব, প্রেম সেখান থেকে বিচ্ছুরিত অনুভব । আমি তাই রুপের অনুরাগী, গুণ পরে । প্রেমে রূপই প্রথম, রূপই শেষ । রূপ সৃজন করে কবিতা, সংগীত, চিত্রমালা। রূপের সৌন্দর্য জাগিয়ে রাখে, সকল আকর্ষণের কেন্দ্রে রূপ। রূপ নেই কিছু নেই। জয়তু রূপ।
লোকে রূপ নিয়ে কত কি বলে! রূপ ছাপিয়ে তারা ভাল মানুষের মত গুণের কথা বলে! আমি তাদের সংগে একদম নেই। তোমরা যা বল তাই বল, আমি কিন্তু রুপের পাগল । আমি প্রথমে গোলাপের রুপ দেখে পাগল হয়েছি, তারপর তার সৌরভ নাকে এসে বিঁধলে মুগ্ধ হয়েছি । দুইয়ে মিলে গোলাপ আমার কাছে প্রিয় । এমন সৌরভ অনেক ফুলের আছে এমনকি তার চেয়েও সুন্দর কিন্তু রূপ ভাল নয় বলে তেমন আকর্ষণ সে করতে পারে না । জবা দেখে আজো আমি মুগ্ধ হই কিন্তু তার সৌরভ নাই বলে দূরে ফেলে ফেলে দিইনি । রুপ তার অপূর্ব বলে তার দিকে তাকিয়ে থাকি, বিস্মিত হই তার রুপ দেখে । ঠিক তেমনি তোমাকে যেদিন প্রথম দেখলাম, কিছুই না জেনে পাগল হয়েছিলাম, তারপর ধীরে ধীরে একটু একটু করে জেনে সেই পাগলামি অসাধারণ এক মুগ্ধতায় ভরে উঠেছিল । তোমার রুপ দেখে প্রেমে পড়ি এবং ভেতরের সৌরভে আমি মুগ্ধ হই। আজ প্রেম ভেঙে গেছে কিন্তু তোমার প্রতি আমার অনুরাগ একটুও কমেনি, কারণ তোমার রুপ আমার কাছে আজো মুগ্ধতা জাগিয়ে রাখে।
প্রেমের প্রধান শর্ত রুপ, তারপর অন্যকিছু । রুপ যদি আকর্ষণ না করে তাহলে তার অন্যকিছু জানার আগ্রহই জাগবে না । কারণ প্রেম বুঝে শুনে বিচার করে পড়ার বিষয় নয় । সেই প্রেমই শ্রেষ্ঠ যে প্রেম দেখা মাত্র জেগে ওঠে, কোন কিছু না জেনেই । প্রেমে যে দুই পক্ষ একই সময়ে পড়বে তা কিন্তু নয়, প্রথমে একজন পড়বে, তারপর অন্যজন । দুজন জদি একি সময়ে পড়ে, তাহলে তো কথাই নেই ! প্রেমে পড়ার পর যদি দেখা যায় তার বিশেষ কোন গুণ নেই, ক্ষতি নেই, গুণ আহরণের জিনিস, চেষ্টা করলে তা যে কেউ অর্জন করতে পারে । কিন্তু রূপ ? কেউ ইচ্ছা করলেই রূপ অর্জন করতে পারবে না । তবে নিজেকে শারীরিক চেষ্টার মধ্য দিয়ে নিজেকে সুস্থ এবং ফিট রাখতে পারবে, সেটার সৌন্দর্য আলাদা । গোলাপ কিংবা কৃষ্ণচূড়া চেষ্টা করে সুন্দর নয়, তারা আপনাতেই সুন্দর । আমি সেই সৌন্দর্যের কথা বলছি যা আপনা আপনি আবির্ভূত অর্থাৎ স্বয়ম্ভু । কেউ ইচ্ছা করলে ডায়ানা কিংবা মাধুরী হতে পারবে না কিন্তু জনগণের প্রিয় হয়ে ওঠা সম্ভব দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে এবং অভিনয় সম্ভব সাধনা করে । এসব পরের কথা, আমি বলছি প্রেমে পড়ার মুহূর্তের কথা । অনেকেই প্রেমে পড়ে অনেকদিন একসাথে চলতে চলতে, তার মানে আগে বন্ধুত্ব, পরে সেটা প্রেমে রুপান্তর । এইসব প্রেম অনেক শর্ত দিয়ে তৈরি- রূপ এড়িয়ে তখন গুণ এসে হাজির হয় মানে প্রেমের জন্য সে কতটা যোগ্যতাসম্পন্ন, এটা যাচাইয়ের বিষয় হয়ে দাঁড়ায় । যদি শর্ত পূরণ হয়, তাহলে প্রেমে পড়া, নইলে না । এই প্রেমের মধ্যে কোন সৌন্দর্য নাই, বানানো প্রেম । কিন্তু প্রেম হচ্ছে হঠাৎ, আলোর ঝলকানির মত, দেখামাত্র দখল করে ফেলবে, বদলে যাবে মুহূর্তেই । সে তৎক্ষণাৎ অন্য মানুষ হয়ে যাবে, তার ভেতর অস্থির, চঞ্চল হয়ে উঠবে । তার হরমোনের মাত্রার ফেরফের ঘটে যাবে, সেই হরমোন তাকে অস্বাভাবিক বানিয়ে ফেলবে । সে তখন আর কোন যুক্তিশীল মানুষ থাকবে না, হয়ে উঠবে বাঁধনহারা এক প্রায় অযৌক্তিক মানুষ । নিজের প্রতি সে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলবে । সে ভাববে যা হয় হোক । প্রেম মানে তাই কোনকিছু না জেনে একটা অনাগত অজানা ভ্রমণে বেরিয়ে পড়া । একটা নতুন দেশে পৌঁছে যাওয়া, তারপর সবকিছু দেখতে দেখতে যাওয়া । না দেখা জিনিস দেখতে যে রোমাঞ্চ, দেখা জিনিসের সেই রোমাঞ্চ কি সম্ভব ? দেখেশুনে প্রেম করলে বড়জোর ঘর বাঁধা যায় কিন্তু সেটা ঠিক প্রেম নয় । প্রেম যদি একটা গন্তব্য না জানা নদী হয়, জেনেশুনে প্রেম করা হচ্ছে একটা পুকুর, এপার ওপার সহজেই দেখা যায় । কে না জানে নদীর সৌন্দর্য পুকুরের চেয়ে হাজারগুণ বেশি।
আমি তাই রুপের জয়গান গাই, প্রেমের গানে রুপের জয় গাই । প্রেম মানেই রুপের প্রতি আকর্ষণ । লোকে অনেকেই এটাকে মোহ বলবে, আমি বলবো এটা মোহ নয়, এটাই প্রেম । মোহ হচ্ছে প্রেম বহির্ভূত একটা স্থুল আবেগ, সে জানে সে আকর্ষণ অনুভব করছে না, দেখাচ্ছে, ভান করছে । একবার কাছে পেলেই ভেঙে যাবে । প্রেম কোনকিছুতেই ভাঙবে না, প্রেম একবার জাগ্রত হলে তা জীবনের শেষদিন পর্যন্ত জ্বলন্ত থাকে । প্রেমের শিখা তাই অনির্বাণ । সম্পর্ক ভেঙে গেলেও শিখা জ্বলতে থাকবে । কারণ রুপের যে আকর্ষণ তা অদম্য, গুণ বদলে বদলে যায় । রূপও বদলায়, কিন্তু প্রেমের স্পর্শে তা হয়ে ওঠে আরও সুন্দর, মনোহর । প্রথম দেখার অনির্বচনীয় স্মৃতি হৃদয়ের গোপনে জাগ্রত থাকে অহর্নিশি।
আমি যেদিন থেকে তোমার রুপে মুগ্ধ হয়েছি, সেদিন থেকেই প্রেমে পড়েছি । সময় পেরিয়েছে, রূপের বিকিরণ আরও বেড়েছে, অথচ বয়স বেড়েছে । হয়তো অনেককিছু বদলে গেছে, কিন্তু তোমার রুপকে করেছে আরও আকর্ষণীয় । এর সংগে যুক্ত হয়েছে বিবিধ গুণ । এই গুণ রুপকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে, হয়ে উঠেছ অদ্বিতিয়া । কখনো কখনো তোমার দৃষ্টিভঙ্গি নেতিবাচক ঠেকেছে, কিন্তু তাতেও আমার আকর্ষণ কমেনি বরং বেড়েছে কারণ মানুষ তো শুধু ইতিবাচক নয় । অবিমিশ্র সুন্দর কিছু নেই কিন্তু রূপ অবিমিশ্র আমি যখন তা দেখে পাগল হয়ে উঠছি । সেই রুপের কোন তুলনা নেই । তবে রুপের ধারণা এক একজনের কাছে এক এক রকম।
রূপ আছে বলেই প্রেম আছে, প্রেম আছে বলে রূপ নয় । প্রেম মানবিক রূপ সৃষ্টি করতে পারে না, পারে শিল্প সৃষ্টি করতে, রূপ পারে প্রেমকে জাগ্রত করতে । রূপ হচ্ছে একটি বস্তুগত অবয়ব, প্রেম সেখান থেকে বিচ্ছুরিত অনুভব । আমি তাই রুপের অনুরাগী, গুণ পরে । প্রেমে রূপই প্রথম, রূপই শেষ । রূপ সৃজন করে কবিতা, সংগীত, চিত্রমালা। রূপের সৌন্দর্য জাগিয়ে রাখে, সকল আকর্ষণের কেন্দ্রে রূপ। রূপ নেই কিছু নেই। জয়তু রূপ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours