ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য্য ফিচার রাইটার দুর্গাপুরঃ
শুভ বিবাহের পরদিন দুপুরের আগেই বর কনে যাত্রা করল তিজলহাটির উদ্দেশ্যে! রূপেন্দ্র হটীকে শুভ প্রসন্নের গৃহত্যাগের বিষয়টি জানাননি!বিদায় বেলায় কান্নাকাটি,প্রনাম, আর্শীবাদের পালা মিটলে হটী পালকীতে বসল! উলুও শঙ্খধ্বনির মধ্যদিয়ে বরযাত্রীরা এগিয়ে গেলে গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ ধরে!
পালকি চলছে..কাঁহারদের হুমনা হুমনা আওয়াজের সাথে তাল মিলিয়ে!
সেকালের রেওয়াজ ছিল বালিকাবধূর প্রথম শ্বশুরালয়ে যাওয়ার সময় সাথে একজন দাসী যেত! হটীর সাথে যাচ্ছে গাঙ্গুলীবাড়ীর বহুদিনের দাসী কানাইয়ের মা!
অষ্টমঙ্গলা পর্য্যন্ত যে সাতদিন সাত রাত বালিকা বধূ শ্বশুর বাড়ীতে থাকবে তার সাথে সর্বক্ষন থাকবে কানাইয়ের মা! সেকালে এটাই রীতি ছিল! ফুলশয্যা হতো ছ' সাত বছর পর! দ্বিরাগমনে বধু শ্বশুরালয়ে যাওয়ার পর!
পালকি চলছে দুলকি চালে...হূমব্রো..হূমব্রো...হটী ভাবছে শুভর কথা! শুভর আচরনে খুব আঘাত পেয়েছে হটী! এই শুভ দিনে সে একবার হাসি মুখে তার সামনে দাঁড়াতে পারল না!পরাজিত সেনপতির মতো মুখ লুকিয়ে রইলো! কিসের পরাজয়?তার মঞ্জু তো স্বয়ম্বরা হওয়ার সুযোগই পায়নি, পেলে কি এমনটা ঘটত? হয়তো শুভর অনুপস্হির একটা যুক্তি আছে! কিন্তু জ্যেঠিমা,পুটুপিসি, জ্যাঠামশাই? কেউ এসে আর্শীবাদ পর্য্যন্ত করলেন না!
পালকির পর্দার ফাঁক দিয়ে অশ্বারোহী সৌম্যসুন্দরকে দেখা যাচ্ছে! যেন যুদ্ধ জয় করে ফিরছে! মানুষটার রুচিবোধ হটীকে মুগ্ধ করেছে! তাঁকে পুষ্পান্ন দেওয়া হয়েছিল! কিন্তু সেই কাঁসার থালার এক তৃতীংশ খেলেও বাকী অংশ সে স্পর্শ করেনি কারন হটী কখনো উচ্ছিষ্ট খায়নি সেটা সে জানে! তাছাড়া উচ্ছিষ্ট গ্রহন সে মনে প্রানে ঘৃনা করে!
সাতদিন শ্বশুরালয়ে ছিল হটী! সবাই তাকে খুব আদর যত্ন করেছে! এক বাক্যে পাড়া প্রতিবেশী স্বীকার করেছে," এমন ঘর আলো করা বৌ তারা জীবনে দেখেনি!"
সকলেই তার প্রসংশায় পঞ্চমুখ!
(চলবে)
শুভ বিবাহের পরদিন দুপুরের আগেই বর কনে যাত্রা করল তিজলহাটির উদ্দেশ্যে! রূপেন্দ্র হটীকে শুভ প্রসন্নের গৃহত্যাগের বিষয়টি জানাননি!বিদায় বেলায় কান্নাকাটি,প্রনাম, আর্শীবাদের পালা মিটলে হটী পালকীতে বসল! উলুও শঙ্খধ্বনির মধ্যদিয়ে বরযাত্রীরা এগিয়ে গেলে গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ ধরে!
পালকি চলছে..কাঁহারদের হুমনা হুমনা আওয়াজের সাথে তাল মিলিয়ে!
সেকালের রেওয়াজ ছিল বালিকাবধূর প্রথম শ্বশুরালয়ে যাওয়ার সময় সাথে একজন দাসী যেত! হটীর সাথে যাচ্ছে গাঙ্গুলীবাড়ীর বহুদিনের দাসী কানাইয়ের মা!
অষ্টমঙ্গলা পর্য্যন্ত যে সাতদিন সাত রাত বালিকা বধূ শ্বশুর বাড়ীতে থাকবে তার সাথে সর্বক্ষন থাকবে কানাইয়ের মা! সেকালে এটাই রীতি ছিল! ফুলশয্যা হতো ছ' সাত বছর পর! দ্বিরাগমনে বধু শ্বশুরালয়ে যাওয়ার পর!
পালকি চলছে দুলকি চালে...হূমব্রো..হূমব্রো...হটী ভাবছে শুভর কথা! শুভর আচরনে খুব আঘাত পেয়েছে হটী! এই শুভ দিনে সে একবার হাসি মুখে তার সামনে দাঁড়াতে পারল না!পরাজিত সেনপতির মতো মুখ লুকিয়ে রইলো! কিসের পরাজয়?তার মঞ্জু তো স্বয়ম্বরা হওয়ার সুযোগই পায়নি, পেলে কি এমনটা ঘটত? হয়তো শুভর অনুপস্হির একটা যুক্তি আছে! কিন্তু জ্যেঠিমা,পুটুপিসি, জ্যাঠামশাই? কেউ এসে আর্শীবাদ পর্য্যন্ত করলেন না!
সাতদিন শ্বশুরালয়ে ছিল হটী! সবাই তাকে খুব আদর যত্ন করেছে! এক বাক্যে পাড়া প্রতিবেশী স্বীকার করেছে," এমন ঘর আলো করা বৌ তারা জীবনে দেখেনি!"
সকলেই তার প্রসংশায় পঞ্চমুখ!
(চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours