আহসান হাবিব, লেখক, বাংলাদেশ:
মানুষ হিসেবে আপনি কেমন তার প্রকাশ ঘটে আপনার আচরণ এবং কর্মকাণ্ডের উপর। হয়তো আপনি নিজেকে নিজেই খুব ভাল করে চিনে উঠতে পারেন না কিন্তু কেউ যখন আপনাকে দেখিয়ে দেয় আপনার ভেতরের প্রকৃত স্বরুপটি, হয় আপনি মেনে নেন কিংবা ফুঁসে ওঠেন। এটা নির্ভর করছে আপনার সাংস্কৃতিক বোধের উপর।
ফ্রয়েড যখন মনঃসমীক্ষণ নিয়ে গবেষণা করছিলেন, তখন এবিষয়ে একবার মন্তব্য করলেন যে মনঃসমীক্ষণ তাকে বহু মানুষের শত্রু বানিয়ে ফেলছে কারণ মনসমীক্ষনের মধ্য দিয়ে ব্যক্তির অনেক অবচেতনের সত্য বেরিয়ে আসছে যা অনেক সময় ওই ব্যক্তিকে চরম বেকায়দায় ফেলে দেয় । সত্যটা সে হয়তো জানে কিংবা জানে না কিন্তু প্রকাশ হয়ে যাবার ফলে সে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে, তখন মনসমীক্ষকের বিরুদ্ধে সে ফুঁসে ওঠে।
মানুষের চরিত্রে বিশেষত পুরুষের একটা ধর্ষকামী বৈশিষ্ট্য আছে যা অনেক সময় বেরিয়ে পড়ে । আমরা প্রায় দেখি আদরের ছলে আমরা ছোট ছোট বাচ্চাদের মৃদু আঘাত করে থাকি, এটা ধর্ষকামীতার একটা আপাত নির্দোষ লক্ষণ । পথে যেতে যেতে একটা নিরিবিলি শুয়ে থাকা কুকুর কিংবা অন্য কোন প্রাণীকে মানুষ মারতে উদ্যত হয় এবং প্রায় লাত্থি দিয়ে আঘাত করে, এটাও মানুষের ধর্ষকামী বৈশিষ্ট্যের লক্ষণ।
কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে একটা অলিখিত নিয়ম চালু আছে, সেটা হচ্ছে র্যাগিং। সিনিয়ররা জুনিয়রদের উপরে এই অত্যাচার করে। হয়তো গায়ের কাপড় খুলে ফেলল কিংবা শীতের রাতে ঠাণ্ডা জল ঢেলে দিল শরীরে কিংবা এমন আরও অনেক রকম শাস্তিমুলক ব্যবস্থা । এগুলি মানুষের ধর্ষকামী বৈশিষ্ট্যের লক্ষণ।
পথে ঘাটে পরিবহনে এটা একটা কমন ঘটনা যে নারী দেখলেই পুরুষ তাকে শারীরিক কিংবা মানসিকভাবে আঘাত করতে চায় । হয়তো সে নারীটির স্তনে হাত ছুঁয়ে দিল কিংবা নিতম্বে ঠেসে ধরল নিজের লিংকটি। পরিবহনে ধর্ষণের ঘটনা এই দেশে বা পার্শ্ববর্তী দেশে খুব বেশি হয়ে থাকে । এগুলি ধর্ষকামী চরিত্র।
এগুলি কোথা থেকে আসে?
সাধারণত এগুলি যৌন বিকৃতির প্রকাশ । যৌনতা যখন অবদমিত হয়ে পড়ে রাষ্ট্র, ধর্ম, সামাজিক অনুশাসনের ফলে তখন মানুষের অবচেতনে এসব জমা হয় ক্ষোভ হিসেবে । এই ক্ষোভ উপযুক্ত সময় এবং পরিবেশে প্রকাশ হয়ে পড়ে । এখন আপনি যদি কাউকে তার এই বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করে তাকে 'ধর্ষকামী' আখ্যা দেন, সেতো মারমুখী হয়ে উঠবেই।
আপনি কি ধর্ষকামী, ভেবে দেখুন তো ? যদিও নিজেকে ধর্ষকামী ভাবাটা সহজ নয়, কেননা অনেক আপাত সারল্য দিয়ে ভেতরের আদিম ইচ্ছেগুলোকে উপভোগ করার গোপন অভিপ্রায়টি অন্যের সামনে উদোম হয়ে পড়লে মেজাজ শান্ত রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। যথাযথ যৌন শিক্ষাই কেবল মানুষকে ধর্ষকামী হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে বলে আমার মনে হয়।
মানুষ হিসেবে আপনি কেমন তার প্রকাশ ঘটে আপনার আচরণ এবং কর্মকাণ্ডের উপর। হয়তো আপনি নিজেকে নিজেই খুব ভাল করে চিনে উঠতে পারেন না কিন্তু কেউ যখন আপনাকে দেখিয়ে দেয় আপনার ভেতরের প্রকৃত স্বরুপটি, হয় আপনি মেনে নেন কিংবা ফুঁসে ওঠেন। এটা নির্ভর করছে আপনার সাংস্কৃতিক বোধের উপর।
ফ্রয়েড যখন মনঃসমীক্ষণ নিয়ে গবেষণা করছিলেন, তখন এবিষয়ে একবার মন্তব্য করলেন যে মনঃসমীক্ষণ তাকে বহু মানুষের শত্রু বানিয়ে ফেলছে কারণ মনসমীক্ষনের মধ্য দিয়ে ব্যক্তির অনেক অবচেতনের সত্য বেরিয়ে আসছে যা অনেক সময় ওই ব্যক্তিকে চরম বেকায়দায় ফেলে দেয় । সত্যটা সে হয়তো জানে কিংবা জানে না কিন্তু প্রকাশ হয়ে যাবার ফলে সে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে, তখন মনসমীক্ষকের বিরুদ্ধে সে ফুঁসে ওঠে।
মানুষের চরিত্রে বিশেষত পুরুষের একটা ধর্ষকামী বৈশিষ্ট্য আছে যা অনেক সময় বেরিয়ে পড়ে । আমরা প্রায় দেখি আদরের ছলে আমরা ছোট ছোট বাচ্চাদের মৃদু আঘাত করে থাকি, এটা ধর্ষকামীতার একটা আপাত নির্দোষ লক্ষণ । পথে যেতে যেতে একটা নিরিবিলি শুয়ে থাকা কুকুর কিংবা অন্য কোন প্রাণীকে মানুষ মারতে উদ্যত হয় এবং প্রায় লাত্থি দিয়ে আঘাত করে, এটাও মানুষের ধর্ষকামী বৈশিষ্ট্যের লক্ষণ।
কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে একটা অলিখিত নিয়ম চালু আছে, সেটা হচ্ছে র্যাগিং। সিনিয়ররা জুনিয়রদের উপরে এই অত্যাচার করে। হয়তো গায়ের কাপড় খুলে ফেলল কিংবা শীতের রাতে ঠাণ্ডা জল ঢেলে দিল শরীরে কিংবা এমন আরও অনেক রকম শাস্তিমুলক ব্যবস্থা । এগুলি মানুষের ধর্ষকামী বৈশিষ্ট্যের লক্ষণ।
পথে ঘাটে পরিবহনে এটা একটা কমন ঘটনা যে নারী দেখলেই পুরুষ তাকে শারীরিক কিংবা মানসিকভাবে আঘাত করতে চায় । হয়তো সে নারীটির স্তনে হাত ছুঁয়ে দিল কিংবা নিতম্বে ঠেসে ধরল নিজের লিংকটি। পরিবহনে ধর্ষণের ঘটনা এই দেশে বা পার্শ্ববর্তী দেশে খুব বেশি হয়ে থাকে । এগুলি ধর্ষকামী চরিত্র।
এগুলি কোথা থেকে আসে?
সাধারণত এগুলি যৌন বিকৃতির প্রকাশ । যৌনতা যখন অবদমিত হয়ে পড়ে রাষ্ট্র, ধর্ম, সামাজিক অনুশাসনের ফলে তখন মানুষের অবচেতনে এসব জমা হয় ক্ষোভ হিসেবে । এই ক্ষোভ উপযুক্ত সময় এবং পরিবেশে প্রকাশ হয়ে পড়ে । এখন আপনি যদি কাউকে তার এই বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করে তাকে 'ধর্ষকামী' আখ্যা দেন, সেতো মারমুখী হয়ে উঠবেই।
আপনি কি ধর্ষকামী, ভেবে দেখুন তো ? যদিও নিজেকে ধর্ষকামী ভাবাটা সহজ নয়, কেননা অনেক আপাত সারল্য দিয়ে ভেতরের আদিম ইচ্ছেগুলোকে উপভোগ করার গোপন অভিপ্রায়টি অন্যের সামনে উদোম হয়ে পড়লে মেজাজ শান্ত রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। যথাযথ যৌন শিক্ষাই কেবল মানুষকে ধর্ষকামী হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে বলে আমার মনে হয়।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours