দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:
ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন করে দেখালো রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা! শুধু তাই নয়, রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ। সেদিক থেকে ফের সাফল্যের নতুন পালক রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের মুকুটে!
জানা গেছে, ব্যাথার ওষুধে কিছু কাজ না হওয়ায় গলব্লাডারের ব্যাথা অনুমান করেন চিকিৎসক। তাই পাথরের অস্ত্রোপচার করার আগে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে গিয়ে যুবকের দেহে এই বিরল ঘটনার সন্ধান পায় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। একজন রোগীর দেহে পুরো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তারা স্বাভাবিক স্থানে না থাকলে চিকিৎসা শাস্ত্রের পরিভাষায় তাকে বলে “সাইটাস ইনভার্সাস টোটালিস”।
ইকো করতে গিয়ে দেখা যায় এই রোগীর হার্ট বাম দিকের জায়গায় ডান দিকে। এক্সরে করতে গিয়ে দেখা যায় ডান দিকের ফুসফুসটা বাম দিকে। আল্ট্রা সোনোগ্রাফি করার সময় দেখলাম স্প্লিনটা বাম দিকের জায়গায় ডান দিকে। লিভার ডান দিকে থাকার কথা বাম দিকে। গলব্লাডার ডান দিকে থাকার কথা বাম দিকে। এপেন্ডিক্স ডান দিকে থাকার কথা বাম দিকে।
পুরোটাই উলটো দিকে। এধরনের ঘটনা খুবই বিরল। এর আগে কোলকাতা মেডিক্যাল কলেজে দুটি ঘটনা এবং বীরভূমে এই প্রথম অপারেশন হল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী কুড়ি হাজারে একটি। এই রোগীর অস্ত্রোপচার অত্যন্ত দক্ষতার সাথে অর্থাৎ ডান হাতের জায়গায়, বাম হাত এবং বাম হাতের জায়গায় ডান হাত দিয়ে এই অপারেশন করা হয়ে থাকে। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ সেটা করতে পেরেছে। পঁইতাল্লিশ মিনিট থেকে এক ঘন্টা ধরে এই অপারেশনের পর এব্যাপারে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় শল্য চিকিৎসক ডঃ সৌরভ মাজি বলেন, “ডান হাতের জায়গায় যেমন বাম হাতে দাড়ি কাটা অসম্ভব, তেমনি এই অপারেশনের ক্ষেত্রে একই অসুবিধা। এই অপারেশন প্রক্রিয়া খুব জটিল এবং ঝুঁকিপূর্ণ। আউটডারে এই রোগী যখন দেখাতে আসে তখন গ্যাসের ব্যথা ভাবি। না সারায়, ইউ এস জি করতে বলি। তারপর বুঝতে পারি। একমাস ধরে প্রস্তুতি নেওয়ার পর এই অপারেশন করা হয়”। সেদিক থেকে রামপুরহাট মেডিক্যাল হাসপাতালের চিকিৎসায় এক যুগান্তকারী সাফল্য দেখল এলাকার মানুষ। দুই চিকিৎসক এবং নার্সদের ঘণ্টাখানেকের পরিশ্রমে এই সফল অস্ত্রোপচার সম্ভব হয়েছে।
এলাকাসূত্রে জানা গিয়েছে, রোগীর নাম মিজানুর রহমান। বয়স ২৭ বছর। দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট মিজানুর। বাড়ি মুরারই থানার সন্তোষপুর গ্রামে। পেশায় পাথর ব্যবসায়ী। যুবকের বাবা তোফাজ্জুল হোসেন বলেন, “বছরখানেক আগে থেকে ছেলের পেটে ব্যথা। প্রথমে রামপুরহাট শহরে বেশ কয়েকজন চিকিৎসককে দেখিয়েছিলাম। তারা পেটের ছবি করতে বলেছিলেন। কিন্তু তা না করে এরপর ব্যাঙ্গালোরের মনিপাল হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানে তারা ছবি করে জানায় ছেলের পেটে পাথর। অস্ত্রোপচার করতে হবে। আমি সেখানেই অস্ত্রোপচার করতে রাজি হয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে তিনবার ঘুরিয়েছিল। অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ঠিক জায়গায় নেই বলেছিল। তাই সেখান থেকে পালিয়ে এসে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে দেখায়। চিকিৎসক সৌরভ মাজি দেখার পর অস্ত্রোপচার করতে রাজি হন। তিনিই জানান একটি টিম তৈরি করে অস্ত্রোপচার করতে হবে। কারণ ছেলের শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সব উল্টো ভাবে রয়েছে। চিকিৎসকের আশ্বাসে সম্মতি জানায়। তারপর আমার ছেলের প্রাণ বাঁচলো”। বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসক সৌরভ মাজি এবং অমিতাভ দত্ত ওই বিরল যুবকের শরীরে জটিল অস্ত্রপচার করলেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন এনেস্থেসিয়া চিকিৎসক অরূপ ঘোষ, অমিত হাজরা ও মনিশঙ্কর নাথ।
ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন করে দেখালো রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা! শুধু তাই নয়, রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ। সেদিক থেকে ফের সাফল্যের নতুন পালক রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের মুকুটে!
জানা গেছে, ব্যাথার ওষুধে কিছু কাজ না হওয়ায় গলব্লাডারের ব্যাথা অনুমান করেন চিকিৎসক। তাই পাথরের অস্ত্রোপচার করার আগে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে গিয়ে যুবকের দেহে এই বিরল ঘটনার সন্ধান পায় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। একজন রোগীর দেহে পুরো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তারা স্বাভাবিক স্থানে না থাকলে চিকিৎসা শাস্ত্রের পরিভাষায় তাকে বলে “সাইটাস ইনভার্সাস টোটালিস”।
ইকো করতে গিয়ে দেখা যায় এই রোগীর হার্ট বাম দিকের জায়গায় ডান দিকে। এক্সরে করতে গিয়ে দেখা যায় ডান দিকের ফুসফুসটা বাম দিকে। আল্ট্রা সোনোগ্রাফি করার সময় দেখলাম স্প্লিনটা বাম দিকের জায়গায় ডান দিকে। লিভার ডান দিকে থাকার কথা বাম দিকে। গলব্লাডার ডান দিকে থাকার কথা বাম দিকে। এপেন্ডিক্স ডান দিকে থাকার কথা বাম দিকে।
এলাকাসূত্রে জানা গিয়েছে, রোগীর নাম মিজানুর রহমান। বয়স ২৭ বছর। দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট মিজানুর। বাড়ি মুরারই থানার সন্তোষপুর গ্রামে। পেশায় পাথর ব্যবসায়ী। যুবকের বাবা তোফাজ্জুল হোসেন বলেন, “বছরখানেক আগে থেকে ছেলের পেটে ব্যথা। প্রথমে রামপুরহাট শহরে বেশ কয়েকজন চিকিৎসককে দেখিয়েছিলাম। তারা পেটের ছবি করতে বলেছিলেন। কিন্তু তা না করে এরপর ব্যাঙ্গালোরের মনিপাল হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানে তারা ছবি করে জানায় ছেলের পেটে পাথর। অস্ত্রোপচার করতে হবে। আমি সেখানেই অস্ত্রোপচার করতে রাজি হয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে তিনবার ঘুরিয়েছিল। অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ঠিক জায়গায় নেই বলেছিল। তাই সেখান থেকে পালিয়ে এসে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে দেখায়। চিকিৎসক সৌরভ মাজি দেখার পর অস্ত্রোপচার করতে রাজি হন। তিনিই জানান একটি টিম তৈরি করে অস্ত্রোপচার করতে হবে। কারণ ছেলের শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সব উল্টো ভাবে রয়েছে। চিকিৎসকের আশ্বাসে সম্মতি জানায়। তারপর আমার ছেলের প্রাণ বাঁচলো”। বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসক সৌরভ মাজি এবং অমিতাভ দত্ত ওই বিরল যুবকের শরীরে জটিল অস্ত্রপচার করলেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন এনেস্থেসিয়া চিকিৎসক অরূপ ঘোষ, অমিত হাজরা ও মনিশঙ্কর নাথ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours