ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুরঃ
দুর্গাপুর মহকুমার দক্ষিন প্রান্তে দামোদর নদের উত্তর তীরে নডিহা গ্রাম! গ্রামের নাম করন সম্পর্কে অনেকের অভিমত দামোদরের তীরে পর বছরের পর বছর চর পড়ে নতুন ডাঙ্গা অর্থাৎ ডিহার সৃষ্টি হয়! আমি মতটি হ'ল, দামোদর বহু পূর্বে ছিল খরস্রোতা নদে নৌকা চলত! সম্ভবতঃ এখানে নতুন নৌকা নির্মিত হ'তো বা এখানে নয়টি নৌকা রাখার ব্যবস্হা ছিল!
দুর্গাপুরের পুর্বতন জমিদার গোপীনাথ চট্টোপাধ্যায় বাঁকুড়ার জগন্নাথপুরের সদ্গোপ জমিদারের সাথে মনোমলিন্য হওয়ায় সেখান থেকে এই নডিহায় এসে বসতিস্হাপন করেন! পরে প্রবল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্হ হ'লে বর্তমান গোপীনাথপুরে বসতি গড়ে তোলেন!
নডিহা দুটি গ্রামের সমষ্ঠি! নডিহা ও আনন্দপুর! নডিহার জমিদার ছিলেন মুখার্জী পরিবার! হাজরা ও মুখোটি এই দুই ব্রাক্ষ্মন পরিবার প্রধান গ্রাম আনন্দপুর!
জনশ্রুতি, প্রায় দু'শ বছর পূর্বে গ্রামে জগদ্ধাত্রী পুজার পত্তন করেন মুখোটি পরিবার! কোন কারনে তাঁদের সাথে হাজরা পরিবারের মতানৈক্য হওয়ায় , হাজরারা জোর করে জগদ্ধাত্রী প্রতিমা তুলে নিয়ে যায় এবং পুজা শুরু করেন! আর একটি মত শোনা যায়, মুখোটি বাড়ীতে জগদ্ধাত্রী পুজোয় গিয়ে হাজরাদের কোন সদস্য অপমানিত হওয়ায় নিজেরাই পুজা শুরু করেন! এই পরিবারের জগদ্ধাত্রী প্রতিমার ডানদিকে থাকেন বিশ্বামিত্র মুনি ও বাম দিকে বিজয়া!
কথিত আছে এই পরিবারের গুরুচরন হাজরা এই জগদ্ধাত্রী পুজার পত্তন করেন! তিনি নিজে খুব ধার্মিক ছিলেন! তাঁর স্ত্রীও ছিলেন প্রতিব্রতা ও ধর্মপরায়না! স্বামীর মৃত্যুতে তিনি সতী হয়েছিলেন!
৩৫ বছর পূর্বে জগদ্ধাত্রী পুজোকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব হওয়ায় পরিবারের সদস্য শচীন্দ্রনাথ হাজরা নিজে মায়ের পুজা শুরু করেন! গ্রামে হাজরাদের দু'টি পুজা হলেও এইটিই মুখ্য হয়ে উঠেছে! বহু সন্তানহীনা সন্তান কামনায়, কেই রোগ মুক্তির জন্য দন্ডি কাটেন! পুজোকে কেন্দ্র করে ভক্তদের ঢল নামে!
কার্ত্তিকী নবমী তিথিতে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর পুজা হয় এবং তিনটি ছাগ বলি হয়!সপ্তমীতে মায়ের ভোগ পরমান্ন,ফল, মিষ্টান্ন! অষ্টমীতে পরমান্ন, খিঁচুড়ি ও নয় রকম ভাজা! নবমীতে ঘি,লেবু,অন্ন, শাক, মুগের ও ছোলার ডাল,নবরত্ন ,নয় রকম ভাজা,মাছ ও মাংস ভাজা! মায়ের সাথে সাথে লক্ষ্মী নারায়নের ভোগ দেওয়া হয়!
পুজোকে কেন্দ্র করে মাতে সারা গ্রাম! হাজরা,পরিবারের পুজোয় একটি বিশেষ বৈশিষ্ঠ নাড়ু তৈরী! পুজোকে কেন্দ্র নাড়ু তৈরীতে সহযোগীতা থাকে গ্রামবাসী প্রায় উৎসবের মেজাজে!
নবমীতে থাকে পংতিভোজের ব্যবস্হা! দশমীতে মায়ের বরনের পর পরিবারের সধবা মেয়ে বৌয়েরা সিঁদুর খেলায় মাতে! প্রতিমা নিরঞ্জনের পর শুরু হয় নরনারায়ন সেবা!
দুর্গাপুর মহকুমার দক্ষিন প্রান্তে দামোদর নদের উত্তর তীরে নডিহা গ্রাম! গ্রামের নাম করন সম্পর্কে অনেকের অভিমত দামোদরের তীরে পর বছরের পর বছর চর পড়ে নতুন ডাঙ্গা অর্থাৎ ডিহার সৃষ্টি হয়! আমি মতটি হ'ল, দামোদর বহু পূর্বে ছিল খরস্রোতা নদে নৌকা চলত! সম্ভবতঃ এখানে নতুন নৌকা নির্মিত হ'তো বা এখানে নয়টি নৌকা রাখার ব্যবস্হা ছিল!
দুর্গাপুরের পুর্বতন জমিদার গোপীনাথ চট্টোপাধ্যায় বাঁকুড়ার জগন্নাথপুরের সদ্গোপ জমিদারের সাথে মনোমলিন্য হওয়ায় সেখান থেকে এই নডিহায় এসে বসতিস্হাপন করেন! পরে প্রবল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্হ হ'লে বর্তমান গোপীনাথপুরে বসতি গড়ে তোলেন!
নডিহা দুটি গ্রামের সমষ্ঠি! নডিহা ও আনন্দপুর! নডিহার জমিদার ছিলেন মুখার্জী পরিবার! হাজরা ও মুখোটি এই দুই ব্রাক্ষ্মন পরিবার প্রধান গ্রাম আনন্দপুর!
কথিত আছে এই পরিবারের গুরুচরন হাজরা এই জগদ্ধাত্রী পুজার পত্তন করেন! তিনি নিজে খুব ধার্মিক ছিলেন! তাঁর স্ত্রীও ছিলেন প্রতিব্রতা ও ধর্মপরায়না! স্বামীর মৃত্যুতে তিনি সতী হয়েছিলেন!
৩৫ বছর পূর্বে জগদ্ধাত্রী পুজোকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব হওয়ায় পরিবারের সদস্য শচীন্দ্রনাথ হাজরা নিজে মায়ের পুজা শুরু করেন! গ্রামে হাজরাদের দু'টি পুজা হলেও এইটিই মুখ্য হয়ে উঠেছে! বহু সন্তানহীনা সন্তান কামনায়, কেই রোগ মুক্তির জন্য দন্ডি কাটেন! পুজোকে কেন্দ্র করে ভক্তদের ঢল নামে!
কার্ত্তিকী নবমী তিথিতে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর পুজা হয় এবং তিনটি ছাগ বলি হয়!সপ্তমীতে মায়ের ভোগ পরমান্ন,ফল, মিষ্টান্ন! অষ্টমীতে পরমান্ন, খিঁচুড়ি ও নয় রকম ভাজা! নবমীতে ঘি,লেবু,অন্ন, শাক, মুগের ও ছোলার ডাল,নবরত্ন ,নয় রকম ভাজা,মাছ ও মাংস ভাজা! মায়ের সাথে সাথে লক্ষ্মী নারায়নের ভোগ দেওয়া হয়!
পুজোকে কেন্দ্র করে মাতে সারা গ্রাম! হাজরা,পরিবারের পুজোয় একটি বিশেষ বৈশিষ্ঠ নাড়ু তৈরী! পুজোকে কেন্দ্র নাড়ু তৈরীতে সহযোগীতা থাকে গ্রামবাসী প্রায় উৎসবের মেজাজে!
নবমীতে থাকে পংতিভোজের ব্যবস্হা! দশমীতে মায়ের বরনের পর পরিবারের সধবা মেয়ে বৌয়েরা সিঁদুর খেলায় মাতে! প্রতিমা নিরঞ্জনের পর শুরু হয় নরনারায়ন সেবা!
Post A Comment:
0 comments so far,add yours