ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুরঃ
পাল রাজাদের শাসনকাল থেকে প্রায় সাত'শ বছর ' গোপরাজা দের ' অধীন ছিল বঙ্গের একাংশ দক্ষিন রাঢ়! গোপরাজরা ছিল গোয়ালা সম্প্রদায়ভুক্ত! এই সম্প্রদায় দুটি ভাগে বিভক্ত হয়!গোপেদের একটি অংশ কৃষিকাজ' জীবিকারূপে গ্রহন করায় তারা 'সদগোপ 'এবং যারা 'পশুপালন' জীবিকা হিসাবে গ্রহন করলো তারা গোয়ালা জাতি নামে সমাজে পরিচিতি পেল!
গোপভুমের প্রথম রাজা ভল্লুপাদ! মানকরের সন্নিকটে ভাল্কীতে তাঁর রাজধানী ছিল! দক্ষিন রাঢ়ে অনেকগুলি ছোট বড় রাজ্য ছিল! প্রায় সকলেই গোপ বংশজাত রাজ ছিলেন! তাই এই বৃহৎ এলাকাটি 'গোপভূম ' নামে পরিচিত !
এই গোপভূমে যেমন ' শিব ঠাকুর ' -এর পূজার আধিক্য আছে, তেমনই শক্তির আরাধনার জন্যও খ্যাত!
এই গোপভুমে প্রায় সর্বত্র শক্তির আরাধনা হয়! আশ্বিনী শুক্লা সপ্তমী থেকে দশমী মা দুর্গার আর কার্ত্তিকী অমাবশ্যায় মা কালীর! দুর্গার অপর রূপ মা জগদ্ধাত্রী যিনি উপনিষদে উমা হৈমবতী নামে পরিচিতা এই দেবীর পুজা বঙ্গ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কার্ত্তিকী নবমী তিথিতে হলেও গোপভূমে পারিবারিক পুজা খুবই কম গ্রামে দেখা মেলে!
পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা ব্লকের জঙ্গল মহলে রাজকুসুম একটি জঙ্গল পরিবেষ্টিত গ্রাম! গ্রামটি অতি প্রাচীন! এই গ্রামের গাঙ্গুলী পরিবার বহু বছর পূর্বে সুদুর বাংলা দেশ থেকে ভাগ্যান্বেষনে এই গ্রামে এসে স্হায়ীভাবে বসবাস শুরু করে!
এই বংশের সুপন্ডিত শ্রীনাথ গাঙ্গুলী প্রায় দু'শ বছর আগে স্বপ্নাদেশে নিজ গৃহে মা জগদ্ধাত্রী পুজার পত্তন করেন!
গাঙ্গুলী পরিবারের জগদ্ধাত্রীর একপাশে থাকেন মিশ্বামিত্র অন্য পাশে দুর্বাশা মুনি! মধ্যে হস্তীর উপর দন্ডায়মান সিংহের উপর উপিবষ্ঠা চতুর্ভুজা মা জগদ্ধাত্রী!
কার্ত্তিকী শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে দেবীর পুজা হয়! মঙ্গল ঘট আনার পর প্রথম সপ্তমীর পুজায় দেবীর ভোগ দেওয়া হয় ফল মিষ্টান্ন! সপ্তমীতে একটি ছাগ বলি দেওয়া হয়! এরপরই শুরু হয় অষ্টমীর পুজা! মায়ের পঞ্চব্যাঞ্জন সহ অন্ন খিঁচুড়ী! এরপর একটি ছাগ বলি হয়! শুরু হয় নবমীর পুজা ! নবমীতে মায়ের ভোগ, লুচি, পায়েস ও মন্ডা! নবমীতেও ছাগ বলি হয়!
পুজা শেষে থাকে পংতি ভোজের ব্যবস্হা! গ্রামের একমাত্র পুজোকে কেন্দ্র করে মাতে সারা গ্রাম!
পাল রাজাদের শাসনকাল থেকে প্রায় সাত'শ বছর ' গোপরাজা দের ' অধীন ছিল বঙ্গের একাংশ দক্ষিন রাঢ়! গোপরাজরা ছিল গোয়ালা সম্প্রদায়ভুক্ত! এই সম্প্রদায় দুটি ভাগে বিভক্ত হয়!গোপেদের একটি অংশ কৃষিকাজ' জীবিকারূপে গ্রহন করায় তারা 'সদগোপ 'এবং যারা 'পশুপালন' জীবিকা হিসাবে গ্রহন করলো তারা গোয়ালা জাতি নামে সমাজে পরিচিতি পেল!
গোপভুমের প্রথম রাজা ভল্লুপাদ! মানকরের সন্নিকটে ভাল্কীতে তাঁর রাজধানী ছিল! দক্ষিন রাঢ়ে অনেকগুলি ছোট বড় রাজ্য ছিল! প্রায় সকলেই গোপ বংশজাত রাজ ছিলেন! তাই এই বৃহৎ এলাকাটি 'গোপভূম ' নামে পরিচিত !
এই গোপভূমে যেমন ' শিব ঠাকুর ' -এর পূজার আধিক্য আছে, তেমনই শক্তির আরাধনার জন্যও খ্যাত!
এই গোপভুমে প্রায় সর্বত্র শক্তির আরাধনা হয়! আশ্বিনী শুক্লা সপ্তমী থেকে দশমী মা দুর্গার আর কার্ত্তিকী অমাবশ্যায় মা কালীর! দুর্গার অপর রূপ মা জগদ্ধাত্রী যিনি উপনিষদে উমা হৈমবতী নামে পরিচিতা এই দেবীর পুজা বঙ্গ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কার্ত্তিকী নবমী তিথিতে হলেও গোপভূমে পারিবারিক পুজা খুবই কম গ্রামে দেখা মেলে!
পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা ব্লকের জঙ্গল মহলে রাজকুসুম একটি জঙ্গল পরিবেষ্টিত গ্রাম! গ্রামটি অতি প্রাচীন! এই গ্রামের গাঙ্গুলী পরিবার বহু বছর পূর্বে সুদুর বাংলা দেশ থেকে ভাগ্যান্বেষনে এই গ্রামে এসে স্হায়ীভাবে বসবাস শুরু করে!
এই বংশের সুপন্ডিত শ্রীনাথ গাঙ্গুলী প্রায় দু'শ বছর আগে স্বপ্নাদেশে নিজ গৃহে মা জগদ্ধাত্রী পুজার পত্তন করেন!
গাঙ্গুলী পরিবারের জগদ্ধাত্রীর একপাশে থাকেন মিশ্বামিত্র অন্য পাশে দুর্বাশা মুনি! মধ্যে হস্তীর উপর দন্ডায়মান সিংহের উপর উপিবষ্ঠা চতুর্ভুজা মা জগদ্ধাত্রী!
কার্ত্তিকী শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে দেবীর পুজা হয়! মঙ্গল ঘট আনার পর প্রথম সপ্তমীর পুজায় দেবীর ভোগ দেওয়া হয় ফল মিষ্টান্ন! সপ্তমীতে একটি ছাগ বলি দেওয়া হয়! এরপরই শুরু হয় অষ্টমীর পুজা! মায়ের পঞ্চব্যাঞ্জন সহ অন্ন খিঁচুড়ী! এরপর একটি ছাগ বলি হয়! শুরু হয় নবমীর পুজা ! নবমীতে মায়ের ভোগ, লুচি, পায়েস ও মন্ডা! নবমীতেও ছাগ বলি হয়!
পুজা শেষে থাকে পংতি ভোজের ব্যবস্হা! গ্রামের একমাত্র পুজোকে কেন্দ্র করে মাতে সারা গ্রাম!
Post A Comment:
0 comments so far,add yours