কাজল ভট্টাচার্য, সিনিয়র জার্নালিস্ট, কলকাতা:

কী চান?
ফাটাফাটি গার্লফ্রেন্ড। বেশ ইচ্ছে মতো আদর- টাদর করবেন। চটকাবেন। চাইলেই শুয়ে পড়বে। তারপর দিনেরাতে যতবার ইচ্ছে ! কখনও ইচ্ছে- টিচ্ছে করলে ঠোঁটে, ভরাট বুকে একটু দাঁতের দাগ এঁকে দেবেন।
তবু মুখে রা কাড়বে না।
বছরের পর বছর ধরে সেই প্রথম দিনের মতোই। এতটুকুও টসকাবে না যৌবন। মাত্রাছাড়া ভালবাসা হয়ে যায় তো হোক না। "আহ ছাড়ো !" বলে কখনও বুকের থেকে হাত সরিয়ে দেবে না। গ্যারান্টি। গোটাটাই চলবে আপনার মর্জিমতো। আপনার মেজাজে। তার কাজ আপনাকে শুধুই তৃপ্ত করা। যেমনভাবে চাইবেন, ঠিক তেমন ভাবেই পাবেন। অনেকটা ওই হারেমের যৌনদাসীর মতোই। হরিপদ কেরাণিও এবার নিজেকে শাহানশাহ বলে ভাবতে পারেন।
চাই নাকি এরকম হট সেক্স পার্টনার?
আপনার যৌনতায় সমর্পিত।
চিরযৌবনা যৌনসঙ্গী।
তাহলে এবার একটা সেক্স ডল কিনে ফেলুন। স্বাদ পান পুরুষের যৌনমুক্তির।

নাক কুঁচকাবেন না মশাই। ডলের সঙ্গে 'পিরিতে মজা'র ঘটনা নতুন কিছু নয়। যেমন পড়েছিলেন ওস্তাদ শিল্পী পিগম্যালিয়ন।
তখনও যিশু খ্রিষ্ট জন্ম নেননি। তারও আট বছর আগের কথা। ওস্তাদ ভাস্কর পিগম্যালিয়ন। তিনি এক আনিন্দ্যসুন্দর নারী বানিয়ে ফেললেন হাতির দাঁতের। সেই নারীমূর্তি থেকে আর চোখ সরে না শিল্পীর। আদর করে সেই নারীর নাম দিলেন 'জিলেট'। তার সঙ্গেই বসে বসে গল্প করা। রোজ স্নান করানো। যত্ন করে গা মুছে দেওয়া। তাকে নিয়েই খেতে বসা। এমনকি শুতে হলেও জিলেটি। জিলেটির প্রেমে হাবুডুবু খেতে লাগলেন পিগম্যালিয়ন। স্রষ্টা সৃষ্টির এই প্রেম দেখে চুপ থাকতে পারলেন না সুন্দরের দেবী ভিনাস। তিনি প্রাণদান করলেন জিলেটিকে। 'মেটাফোরমেসেস' মহাকাব্যে পিগম্যালিয়নের গল্প শুনিয়েছিলেন ওভিড।
ব্রহ্মা সরস্বতীর কেসটা তো আরও ভয়ঙ্কর। পুরাণমতে, সরস্বতীর সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং ব্রহ্মা। সেই অর্থে তাঁদের সম্পর্ক পিতা- পুত্রীর। কিন্তু নিজের সৃষ্টির রূপের আগুনে জ্বলে মরেছিন খোদ সৃষ্টিকর্তাই। ঘোর অনিচ্ছা সত্ত্বেও সরস্বতী বাধ্য হয়েছিলেন ব্রহ্মার যৌনক্ষুধা পরিতৃপ্ত করতে।

সবার ভাগ্য অবশ্য পিগম্যালিয়নের মতো সুপ্রসন্ন নাই হতে পারে। তবে আপনি চাইলে আপনার মনমতো সুন্দরীর শরীরটা কিনে নিতেই পারেন। আর ভিনাস না হোক, প্রযুক্তির কল্যাণে আপনার সুন্দরীর শরীরে খানিকটা কৃত্রিম প্রাণ সঞ্চার করা যেতেই পারে।

কন্ডোম কেনার ঝামেলা নেই। কনট্রাসেপটিভও নিষ্প্রয়োজন। আবার কোনও রোগভোগেরও ভয় নেই। এই যৌনরোগের আশঙ্কা থেকে সেনা জওয়ানদের বাঁচাতেই নাৎসি বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল সুন্দর সুন্দর সব পুতুল। সেক্স ডল। তবে তারও আগে ওই ডলের দরকার পড়েছিলো ডাচ নাবিকদের। দিনের পর দিন, রাতের পরে রাত সমুদ্রের অথৈ জলে ভেসে বেড়াত তারা। সহকর্মীরা থাকলেও রাতের বিছানায় শরীর মন দুয়ের অসহ্য ছটফটানি। যৌনতার জ্বালায় বিছানা ছেড়ে মাঝরাতে জাহাজের ডেকে ছুটে যাওয়া। একপেট সমুদ্রের হিমশীতল হাওয়া খেয়ে শরীর জুড়ানোর বৃথা চেষ্টা। কিন্তু মনের আগুনই বা নেভে কই?
কাপড়চোপড় দিয়ে তৈরি হলো মানবসভ্যতার প্রথম সেক্স ডল। সপ্তদশ শতাব্দির আবিষ্কার। ওই পুতুলের সঙ্গেই শরীর শরীর খেলা। যৌনতা। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো। তাই বা কম কিসে? ডাচ বণিকদের বানানো ওই পুতুলই বেশ মনে ধরলো জাপানিদের। দরদাম করে ডাচ বণিকরাও  জাপানিদের কাছে বেচে দিলো তাদের সেক্সি পুতুল সুন্দরীদের। সেক্স ডলের যৌবনে হাবুডুবু খেয়ে, জাপানিরা আদর করে তাদের নাম দিলো 'ডাচ ওয়াইভস'।

এরকম এক ডলের সঙ্গে রোমান্স করেই তার প্রাক্তনীকে ভুলতে চেয়েছিলো এক অস্ট্রো- হাঙ্গেরিয়ান শিল্পী। নাম, অস্কার কোকোশ্চকা। প্রেম করতে গিয়ে আহাম্মক হয়ে গেছিলেন। তবু শয়নে স্বপনে শুধুই প্রাক্তনি আলমা মেহলার। কল্পনার জগতে তাকে ধরে রাখতেই অস্কার এক পুতুল বানিয়ে ফেললেন। যতটা সম্ভব ডিটেলে কাজ করলেন সেই পুতুলে। প্রাক্তনি নেই তো কী? সহবাস চললো তার আদলে গড়া সেই ডলের সঙ্গেই। আর ঠিক এভাবেই ১৯১৬ সালে জন্ম নিয়েছিলো খোদ শিল্পীর হাতে গড়া সুন্দরী সেক্স ডল। যৌনতা সেদিন হেঁটেছিলো ভালবাসার হাত ধরে।

মানুষ নিয়ে ডারউইনের বিবর্তনবাদের মতো সেক্স ডলও হেঁটেছিলো বিবর্তনের রাস্তায়। কথায় বলে প্রয়োজনই আবিষ্কারের জননী। সাল ১৯৩০। সেনা জওয়ানদের চাঙ্গা রাখতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফের হাত পড়লো সেক্স ডলে। জার্মানের নাৎসি বাহিনী তৈরি করে ফেললো বেশ চোখেপড়ার মতো ডল। ডল তৈরির মালমশলাও গেলো বদলে। ডাচেরা সেক্স ডল বানাতো কাপড়চোপড় দিয়ে। জার্মানিরা কাপড়চোপড়ের বদলে ব্যবহার করলো ভিনাইল আর সিলিকন। আকারেও বড় হলো সেক্স ডল। দশ এগারো বছর কাটতে না কাটতেই ১৯৪১ নাগাদ, বেশ আধুনিক চেহারার ডল বানিয়ে ফেললো নাৎসিরা। ভরাট সুগঠিত ঈষত কঠোর স্তন। আরামদায়ী যৌনাঙ্গ।

এবার সাধারণ লোকের নজর পড়লো যৌনতায় ঠাসা সেক্স ডলের দিকে। আর পড়বেই বা না কেন? গার্লফ্রেন্ড হোক অথবা স্ত্রী। পুরুষের মনে রং ধরলেই যে সে সাড়া দেবে এমনটা নয়। বাস্তবে অনেক সময় তা অসম্ভবও। এদিকে জোরজার করতে খেলেই মুখ ঝামটা। "অসভ্য। শরীর ছাড়া কিছুই বোঝে না। হ্যাংলা।" এমনকি কেস খেতেও হতে পারে। ওদিকে আমাদের মতো দেশে পরকীয়ার মতো আইনে, নারীর যৌন স্বাধীনতার অধিকার এক আকাশ। সুতরাং বিকল্পের খোঁজ হবেই।

এই ঘটনা নজর এড়ালো না মুনাফাখোরদের। ১৯৬০ থেকেই বাজারে চলে এলো সেক্স ডল। রীতিমতো ঘটা করে পর্ণো ম্যাগাজিনে বিজ্ঞাপন ছাপা হলো নানা সংস্থার তৈরি করা ডলসের। চাহিদা বাড়লো হু- হু করে। এবার আর সেক্স ডল নিষ্প্রাণ থাকলো না। যন্ত্রমানব বা রোবোট টেকনলোজি ব্যবহার করে চেষ্টা হলো ডলে প্রাণসঞ্চারের। '৩৬ সি'  নামের সেক্স রোবট বাজারে আনলো এক ব্রিটিশ কোম্পানি 'সেক্স অবজেক্টস লিমিটেড'। তাতে লাগানো হলো মাইক্রোপ্রসেসর, ভয়েস সিনথেসাইজার।

গোটা ব্যাপারটা এক প্রতিযোগিতার জায়গার পৌঁছে গেল ১৯৯০ এর পর থেকেই। বছর দুয়েকের মধ্যেই জোয়ার এলো সেক্স ডল শিল্পে। কে কতো নিখুঁত ডল বানাতে পারে। সেই জোয়ার আরও উসকে দিলো ইন্টারনেটের আগমন। ততদিনে আমেরিকার মতো পৃথিবীর অনেক দেশেই তৈরি হচ্ছে সেক্স ডল। ওই সময়েই হঠাত করেই তাক লাগিয়ে দিলেন উনত্রিশ বছরের ম্যাট ম্যাকমুলেন। সালটা ছিলো ১৯৯৬। পিভিসি কঙ্কালের ওপর সিলিকনের মাংস লাগিয়ে বানানো হলো সেক্স ডলের আধুনিক সংস্করণ। জাপানি সংস্থা 'ফরেস্ট ডলস' নানা দেশে খুলে বসলো চল্লিশটা  সেক্স ডলের কাউন্টার।
জমজমাট সেক্স ডলের বাজার। শিল্পী সাহিত্যিকরাও আর মুখ ঘুরিয়ে থাকতে পারলেন না। একেবারে নতুন এক প্রবণতার জন্ম হলো পুরুষ যৌনতায়। গল্প কবিতাতে জায়গা করে নিলো নিষ্প্রাণ যৌনসঙ্গী। সাল ২০০৭। রিলিজ করলো 'লারস অ্যান্ড দ্য রিয়্যাল গার্ল প্রিমিয়ার্স'। সেক্স ডলের সঙ্গে নায়কের প্রেমের রোমান্টিক গল্প। মুভির স্ক্রিনপ্লে লেখার দৌলতে ন্যান্সি অলিভারের নাম মনোনীত হয়েছিলো অস্কারের জন্য।

কী বলবেন নীতিবাগিশরা? উচ্ছনে গেলো সমাজটা। এ কেমন প্রেম? যেখানে মন নেই, শুধুই শরীর ! সঙ্গত কথা।
এবার উল্টোটাও ভাবুন। যেখানে শরীর আছে, মন নেই।
নিঃসঙ্গ সেই পুরুষের কথা। বা সেই পুরুষ, যার শরীরের বয়স হয়েছে, কিন্তু মনটা তখনও তরতাজা। শিল্পী অস্কার কোকোশ্চোকা, পিগম্যালিয়ন বা সমুদ্রের বুকে ভেসে চলা বনিকের কথা। মৃত্যুর মুখোমুখী দাঁড়িয়ে লড়াই করা সেই সেনা জওয়ানের কথা। এদের সবারই পেটের খিদে মিটলেও, তলপেটের খিদে মেটে না। এদের জন্য কী বিধান দেবেন নীতিবাগিশ অথবা সমাজবিদরা ? আরে মশাই মনের ভক্তি প্রদর্শনের জন্যও তো একটা শরীররূপী মূর্তি লাগে। আর আদিম ক্ষুধা মেটানো ব্যাপারটা প্লেটোনিক হতে পারে নাকি ? সেক্স ডলের পাশে দাঁড়ানো মানুষগুলির দাবিও তাই, এই নিষ্প্রাণ নির্দোষ ডলগুলি যদি কিছু মানুষের দুনিয়াটা রঙিন করে তুলতে পারে, তো কার বাড়া ভাতে ছাই পড়বে ?

সেক্স ডলের সঙ্গে সোহাগ করার রীতি ছিলো একাদশ, দ্বাদশ শতাব্দিতেও। তাও আবার ধর্মস্থলে। ইংলিশ আর আইরিশ চার্চের পাশেই গড়া হতো মার্বেলের নারীমূর্তি। নগ্ন উপচে পড়া যৌবনের সম্ভার। ওই শিলাসুন্দরীদের বলা হতো শিলা-না-গিগস। প্রবাদ ছিলো, ওই নগ্নিকাদের আদরে ভরিয়ে দিলেই রেহাই মিলবে অশুভ শক্তির কোপ থেকে। পাশাপাশি সক্ষম হওয়া যাবে অন্যের ক্ষতে প্রলেপ লাগাতে। কিন্তু সে কিসের ক্ষত? শরীরের, মনের যৌনক্ষত নাতো !

আরও আরও নিখুঁত সেক্স ডল চাই। যার যৌবন হার মানাবে মানবীকেও। ডলের বুকে এমপি3 প্লেয়ার লাগালো জাপান। তবে দুনিয়ার নিয়ম মেনে বিলাসের এই নয়া রাস্তাটাও খোলা ছিলো শুধুই সম্পদশালীদের জন্য। সেক্স ডলের সঙ্গে সেক্স করা তো দূরের কথা, তার গায়ে হাত ছোঁয়ানোরও সাধ্য ছিলো না মধ্যবিত্তের। যেমন সেক্স ডল, তেমনি তার আকাশছোঁয়া দাম। এতদিন সবকিছু চুপটি করে দেখে চলেছিলো চীন। এবার সে নড়েচড়ে বসলো। ২০১০ নাগাদ বাজারে এলো চায়না মেড সেক্স ডল। নাম, 'ডিএস ডল'। ঝপ করে খানিকটা দাম পড়ৃ গেলো সেক্স ডলের। সেক্স ডলের যৌনতার স্বাদ চাখতে পারলেন অপেক্ষাকৃত কম পয়সার মানুষরাও।

পুরুষদের যৌনখিদে আছে, আর মহিলাদের নেই, এমনটা তো নয়। এই কথা মাথায় রেখেই এগিয়েছিল জার্মানরা। ২০০৯ এর মধ্যেই মহিলাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল পুরুষের সেক্স ডল। 'অ্যানড্রয়েড- সেক্স ডল'। অবিকল পুরুষের মতোই তার যৌনাঙ্গের উত্থান পতন। এমনকি বীর্যপাতেও সক্ষম।

বিবর্তন থেমে থাকে না। তা সে প্রকৃতিতে হোক বা প্রযুক্তিতে। মামলা মোকদ্দমার পাঁচিলও টপকাতে হয়েছে সেক্স ডলকে। ইতিমধ্যেই বসেছিল ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস অফ লভ অ্যান্ড সেক্স। আগামী পঁচিশ বছরের মধ্যেই মানুষের চেনা যৌন- জীবনের ছবিটা বদলে যাবে। পুরুষের বিছানায় গেড়ে বসতে চলেছে সেক্স ডলের উন্নততর সংস্করণ 'রোবোডল' বা সেক্স রোবটস। কংগ্রেসের ভবিষ্যদ্বাণী, মানুষ রোবোডলের সম্পর্ক দাঁড়াবে 'মোস্ট রোমান্টিক'।

চোখের আড়ালে চলছে প্রস্তুতি। রক্তমাংসের নারীদের চ্যালেঞ্জ জানাতে তৈরি হয়ে নিচ্ছে সেক্স ডলরা। প্রযুক্তিবিদদের কাছ থেকে শিখে নিচ্ছে মানবীর হাঁটাচলা। আদব কায়দা। নাগরের ডাকে যৌনতায় সাড়া দেওয়ার ফ্যানটাসি। নিছক যৌনতায় আর আটকা পড়ে থাকতে চাইছেন না রসিক প্রযুক্তিবিদরাও। সেক্সের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে চাইছেন রোমান্স। বারো আনা চোদ্দ আনাতে আশ মেটে না। সম্ভোগের ষোল আনা মজাই চাই।
আপাতত মোট চার সংস্থা 'সেক্স রোবটস' বানানোর কাজ চালাচ্ছে। অচিরেই তা বাড়বে। ক্যালিফোর্নিয়ার এক সংস্থা ইতিমধ্যেই এমন রোবট সুন্দরী বানিয়ে ফেলেছে যে কথা বলে। চোখের পাতা ফেলে, হাসে। আর সঙ্গমের কাজটাও করে অতি উৎসাহে। সৃষ্টিকর্তারা তাকে ডাকেন 'হার্মোনি' নামে।

গোটা আয়োজনটাই বড্ড একপেশে। মেল ওরিয়েন্টেড। পুরুষের পছন্দ অপছন্দই একমাত্র বিবেচ্য, সবকিছু দেখেশুনে কপালে চোখ সমাজবিদদের। ইতিমধ্যেই তাঁরা ভাবতে শুরু করেছেন, কৃত্রিম মেধার 'রোবোসেক্স ডল' সমাজের মূলস্রোতের সমান্তরালে হাঁটা শুরু করলে,  দাম্পত্যের যৌনতার পরিণতি কী দাঁড়াবে?

যৌনতায় প্রযুক্তির প্রভাব বিশেষজ্ঞ ডক্টর ট্রুডি বার্বার মুচকি হাসি হেসে বলেছেন, "তখন হয়তো স্বামী- স্ত্রীর যৌনমিলন হবে কোনও বিশেষ উপলক্ষ্যে। বার্থ ডে, ম্যারেজ অ্যানিভার্সারির মতোই যাপন হবে 'রিয়েল লাইফ সেক্সনাইট'।"
এতদিন যাঁরা শুধুই 'মন মন' করেছেন, এবার হয়তো সময় এসছে মনকে ছেড়ে শরীরের কথা নিয়েও ভাবার। যৌনতার মাটিতে পা রাখার। মন- শরীরের যুগলবন্দিই যে শেষকথা তা স্বীকার করার।

তবু কপালে ভাঁজ পড়ে আমার। এই আধুনিক প্রযুক্তির কাছে দাসখত লিখে বসছি নাতো আমরা? আজ মোবাইল, ইন্টারনেট ছাড়া চোখেমুখে অন্ধকার দেখি আমরা। বিছানায় পাশাপাশি শুয়েও পিঠে পিঠ। হারিয়ে যাই নেট- দুনিয়ায়, ঠিক তেমনই আদরের 'সেক্স ডল' নিয়েই সংসার গুছিয়ে বসবে নাতো আদমের উত্তরসূরীরা? ইভেরা তখন সুখ খুঁজে নিতে চাইছে ভাইব্রেটারের চরম উত্তেজনায়।


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours