অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, পূর্ব বর্ধমান:
(তোমাদের অনুশোচনা হয় না?)
আজ আপনাদের কাছে গৌরী চক্রবর্তীর পরিবার সম্বন্ধে কিছু তথ্য তুলে ধরছি।গৌরী চক্রবর্তীর পিতা ধীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন।বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবাংলার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নোদাখালি থানা রায়পুর গ্রামে বসবাস শুরু করেছিলেন। এবং পরবর্তীকালে রায়পুর গ্রামের স্কুল মাস্টারের পদে কর্মরত ছিলেন।শোনা যায় রঞ্জিত চক্রবর্তী আমার পালক মা গৌরী দেবী দাদা বোনের বিবাহ দেওয়ার আগেই নিজেও বিবাহ করে নেন স্থানীয় সিপিএম নেতার মেয়েকে। যার নাম মঞ্জু মুখার্জি। এরপর থেকেই আমার পালক মা গৌরী দেবী অভিভাবক হারা হলেন।গৌরী দেবীর বাবা ধারণা চক্রবর্তীর পরলোক গমন করার পর থেকেই গৌরিদেবী সাংসারিক অবস্থা হঠাৎ খারাপ হয়ে পড়ে। এরপর গৌরী দেবীর বাবার রায়পুরে যা সম্পত্তি ছিল ও ঘরবাড়ি ছিল তা বিক্রয় করে বেহালা সরশুনার বাসিন্দা হলেন। কিন্তু তাতেও ওই পরিবারের শান্তি ফিরে আসেনি। গৌরী দেবী মা কিরনমালা চক্রবর্তীর ওপর পুত্রবধূরঅত্যাচার দিন দিন বাড়তে থাকে কিন্তু তাতে তার পুত্র রঞ্জিত চক্রবর্তী বাধা দিতেন না। গৌরী দেবীর মা আমার নিজের দিদা না হলেও একপ্রকার নিজের দিদা হয়ে উঠেছিলেন। এবং আমাকে খুব ভালোবাসতেন। আমার আজও মনে পড়ে।
এটাও মনে পড়ে রঞ্জিত চক্রবর্তী ও রঞ্জিত চক্রবর্তী স্ত্রী মঞ্জু চক্রবর্তীর অত্যাচার। আমার খুব মায়া হতো কিন্তু আমি কিছু প্রতিবাদ করতে পারতাম না। তবুও আমি চেষ্টা করতাম প্রতিবাদ করার। রঞ্জিত চক্রবর্তী ও মঞ্জু চক্রবর্তীর একটাই রাগ ছিল আমাকে কেন এত ভালোবাসতেন গৌরী চক্রবর্তীর মা। কারণ আমি তো তাদের পরিবারের মেয়ে না। আরেকটি ছোট্ট শিশুর কি দোষ আছে।আমার এই ধরনের খারাপ অবস্থা হতো না যদি আমার জন্মদাতা পিতা একজন মহিলাকে নিয়ে জীবন অতিবাহিত করতেন। যদি আমার জন্মদাত্রী মা তসলিমা নাসরিন আমাকে এইভাবে জন্ম দিয়ে ছেড়ে দিতেন। আমি আমার পিতৃ ও মাতৃ পরিচয় ফিরে পেতে চায়। তাই তার জন্য ডি এন এ পরীক্ষা করে আমার পিতৃ ও মাতৃ পরিচয় ফিরিয়ে দেওয়া হোক। (ক্রমশ)
(প্রতিবেদনের যাবতীয় দায় লেখিকার)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours