মুসবা তিন্নি, ফিচার রাইটার, বাংলাদেশ:

মানুষ খুব অদ্ভুত এক প্রাণী, একজন মানুষকে তার বাইরের চেহারা দেখে কখনোই বিচার করা উচিত নয়, কারণ অনেক সময় সাদাসিধে ভদ্র চেহারার মাঝে লুকিয়ে থাকতে পার হিংস্র হায়েনার মতো ভয়ংকর রূপ।
আজ এমনই এক হিংস্র হায়েনার কথা জানাবো। যে ইতোমধ্যে অনেক অসহায় মেয়ের সাথে ধর্ষণের মতো নিম্নমানের কাজ করেও গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

নাম শোয়েব রহমান, বাংলাদেশের নারায়নগঞ্জে তার বাড়ি। বর্তমানে একটি ব্যাংকে চাকুরীরত রয়েছে। তার চেহারায় এবং পোশাকে তাকে দেখতে যতটা ভদ্রলোক মনে হবে বাস্তবে সে ততটাই নিকৃষ্ট এবং বিকৃত রুচির একজন ব্যাক্তি। নিজের পরিপাটি পোশাকের ঝলকে এবং মিষ্টি কথায় সে মেয়েদের মন জয় করে ফেলতে পারে সহজেই। প্রথমে একজন পথ হারানো কিংবা বিপদগ্রস্থ মেয়েকে সে খুবই আন্তরিক ভাবে সাহায্য করে তারপর ধীরে ধীরে বন্ধু হয়ে যায়।  তার পরোপকারী মানসিকতা সেই সাথে অতি ভদ্র আচরণের কারণে সহজেই বিশ্বাস করাতে পারে অপর একজনকে। আর এই সুযোটাই সে ব্যবহার করে। মেয়েটির ভালো বন্ধু হওয়ার পর চলতে থাকে নানা আবদার এখানে ওখানে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া বিভিন্ন রকম উপহার দেয়া এক সময় প্রেমের প্রস্তাব এবং পরিশেষে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এভাবে ধর্ষণ চলতেই থাকে, এক পর্যায়ে মেয়েটি যখন বিয়ের জন্য তাড়া দেয় তখন সে বিয়ে না করেই পালিয়ে যায়। মেয়েটি হয়ে পরে অসহায়।
আর এমন ঘটনা সে একজন মেয়ের সাথে নয়, বহু মেয়ের সাথে ঘটিয়েছে। এমনকি বাংলাদেশের বাইরে বিদেশ থেকে অাগত নারীদের সাথেও সে একই ভাবে বাংলাদেশ ঘুরিয়ে দেখানোর নাম করে তাদের একান্তে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে।

তার এমন বিকৃত মানসিকতা এবং এসমস্ত অপকর্মের জন্য ঢাকার সোনারগাঁও, রামপুরা, বনানী, মিরপুর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ সহ বেশকিছু থানায় অভিযোগ ও মামলা করা হয়েছে, তাবে জানা গেছে ওপর মহলের কোনো এক চক্রের সহায়তায় এবং থানাগুলোতে অর্থ  প্রদান করে সে নিজেকে বাঁচিয়ে চলেছে।

আচ্ছা বলুন তো, শাস্তির বদলে ধর্ষক যদি মোটা অঙ্কের টাকা ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেন, তাতে কি আপনি রাজি হবেন?


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours