রূপেন্দ্র তিজলহাটি থেকে ফিরে কন্যাকে সবিস্তারে জানালেন! ঘোষাল মশাইয়ের বরপন নিয়ে কৌতুক,সৌম্যসুন্দরের বিচিত্র শর্ত ! হটি বাবার মুখে সে সব কথা শুনে খিল খিল করে হেসে ওঠে!
রূপেন্দ্র কন্যাকে জিজ্ঞাসা করলেন," আর কিছু জানতে চাস মা?"
"হ্যাঁ বাবা, ওদের বাড়ীর কড়ির মাঝে এমন অদ্ভুত নাম রাখার কারনটা জানতে ইচ্ছা করে!"
" এ কেমন কথা মামনি?এককড়ি, পাঁচকড়ি, সাতকড়ি নামগুলোতে তোর কোন আপত্তি নেই ' সৌম্যসুন্দর'নামটাতেই আপত্তি?" বললেন রূপেন্দ্র !
হটি হাসতে হাসতে বলল " না আপত্তি নয়, তবে কেমন থাপছাড়া!"
রূপেন্দ্র কন্যার সাথে রসিকতা করে বলল,"মনে হয় কড়িতে টান পড়েছিল!"হঠাৎ বাইরে থেকে রূপেন্দ্রকে কেউ ডাকল "..রূ-পে-ন ,রূপেন বাড়ীতে আছো?"
কে তারাদা? বলে রূপেন দরজা খুলে দেখেন বাইরে উদভ্রান্তের মতো দাঁড়িয়ে আছেন তারাপ্রসন্ন!
রূপেন্দ্র জিজ্ঞাসা করলেন " কি হ'লো তারাদা?"
" শুভ এসেছিল?"...উদ্ভিগ্ন তারাপ্রসন্ন জিজ্ঞাসা করলেন!
"না সে তো আসেনি "..রূপেন্দ্র জানলেন!
সেখানে হটি এসে উপস্হিত হয়ে বলল," একবার এক মুষ্ঠি বাবার আশ্রমে খবর নিন শুভদা প্রায়ই ওখানে যায় "!
হটি বিলক্ষন বুঝতে পারলো! শুভ এটা করছে বিরহ যন্ত্রনা থেকে!
বেশ কিছুক্ষন পরে পাইক খবর দিল শুভ ফিরে এসেছে!
রুপেন্দ্র পাইককে জিজ্ঞাসা করল " কোথায় গিয়েছিল?"
" মুঝে ন মালুম বাবাঠাকুর " পাইক জানাল!
রূপেন্দ্র হটীকে বলল, " কারোকে না জানিয়ে কোথায় গেছিল শুভাপ্রসন্ন? খবরটা নিয়ে আসি !"
হটি সাথে যেতে চাইলে, তা এখন অশোভন হবে বলে বারন করল রূপেন্দ্র !
পরে জানা গেল শুভাপ্রসন্ন রূপনগরে গিয়েছিল প্রেমদাস বাবাজীর আশ্রমের ধ্বংসস্তুপ দেখতে! কেন এমন অদ্ভুত শখ...সে কারো কাছে প্রকাশ করল না!
(চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours