অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, পূর্ব বর্ধমান:

(তোমরা নীরব কিন্তু আমি সরব)

বংশ পরিচয়ের দিকেই না হয় একটু ফিরে যাই।
আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো আমার পালক মা গৌরী চক্রবর্তী/ভট্টাচার্য্য, অর্পিতা চক্রবর্তী/বেকার, পালক মামা রঞ্জিত চক্রবর্তী দের বংশ পরিচয়।
সর্বপ্রথম বলে রাখি আমার পালক মা গৌরী দেবী তার মায়েরা সাত বোন। এই সাত বোনের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে দুই বোনের মধ্যে। একটি বোন তার নাম হিরন্ময়ী দেবী। উনার বেনারসে বাড়ি।এই হিরন্ময়ী দেবী আমার পালক বাবা সেজে বসে আছেন যে ব্যক্তিটি নির্মল ভট্টাচার্য্য নামে তার মা। অপর একটি বোন কিরণমালা চক্রবর্তী। এই কিরণবালা চক্রবর্তী আমার পালক মা গৌরী চক্রবর্তীর মা। এক্ষেত্রে আমার পালক মা ও পালক বাবার মধ্যে সম্পর্ক টি দাঁড়ালো দাদা- বোনের।আমাকে লালন পালন করার জন্য দাদা বোনের সম্পর্কটা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে রূপান্তরিত করা হয়েছে পরিকল্পনা অনুযায়ী।ঠিক এই কারণের জন্য আমার পালক বাবা সেজে থাকা ভদ্রলোকটি পরিচয় পত্র নেই বা থাকলেও তা সমাজের সামনে দেখাতে পারেন না। আমার পালক মা গৌরী চক্রবর্তীর মা কিরণমালা চক্রবর্তীর দুই মেয়ে এবং এক ছেলে দ্বিতীয় পক্ষের। দুই মেয়ে ও এক ছেলের পরিচয়টা একটু জানা যাক। যে ছেলেটি আছে তার নাম রঞ্জিত চক্রবর্তী। মেয়ে দুটি প্রথমটি আমার পালক মা গৌরী চক্রবর্তী দ্বিতীয়টি আমার পালক মাসি শংকরী চক্রবর্তী। মাত্র এই তিনজন ধীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও কিরণবালা চক্রবর্তীর ঔরসজাত সন্তান। এটা প্রমাণিত তথ্য অনুযায়ী। অপরদিকে ধীরেন্দ্রনাথ  চক্রবর্তী দুইবার বিবাহ। প্রথম বিবাহ কিরণবালা চক্রবর্তী দ্বিতীয় বিবাহ স্নেহলতা চক্রবর্তী (উমা)। এই স্নেহলতা চক্রবর্তীর ও ধীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ঔরসজাত সন্তান অর্পিতা চক্রবর্তী/বেকার যে বর্তমানে আমার জন্মদাতা পিতা জর্জ বেকার এর স্ত্রী। তাহলে এখানে সম্পর্কটা ঠিক কি দাঁড়ালো! আমার পালক মা গৌরী চক্রবর্তীর বাবার নাম ধীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও অর্পিতা চক্রবর্তীর বাবার নাম ও ধীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
আমার পালক মা ও আমার সৎ মা (অর্পিতা বেকার) দুই বোন!এইবার নিশ্চয়ই গৌরী চক্রবর্তীর ফ্যামিলিতে আমার আসার যোগসূত্র পেয়ে গেছেন! কি কারনে আমাকে লালন পালন করার জন্য গৌরী চক্রবর্তীকে ভার দেওয়া হলো।অর্পিতা বেকার এর পরও যদি মনে করেন আমার সাথে লড়াই করবেন তাহলে অর্পিতা বেকারের এটা হবে জীবনের মূর্খতা। সামনের দিনে আমি আদালতে প্রমাণ করাবোই। সত্য কোনদিন চাপা থাকে না। ঠিক এই কারণের জন্যই অর্পিতা বেকার আমাকে ধমকানি চমকানি দিয়ে চলেছেন। আমার এই ঘটনার শহীদ অর্পিতা বেকারের সমস্ত আত্মীয় জড়িত। অপরদিকে আমার পালক বাবার শহীদ পালক মা গৌরী দেবীর বিবাহটাই বৈধ নয়।তাহলে আমাকে কিভাবে নিজের পরিবারের মেয়ের পরিচয় দিচ্ছেন রঞ্জিত চক্রবর্তী ও সত্যজিৎ চক্রবর্ত্তী। ঠিক এই কারণ গুলির জন্য আমার জন্মদাতা পিতা জর্জ বেকার এর সহিত ও জন্মদাত্রী মা তসলিমা নাসরিনের সহিত আমার ডি এন এ পরীক্ষা করানো হোক। তাহলে তো সত্য মিথ্যা যাচাই হয়ে যাবে। (ক্রমশ)

(প্রতিবেদনের যাবতীয় দায় লেখিকার)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours