দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:
বিশ্ব ভারতীর সাথে তাঁর প্রথম যোগ তো তাঁর নাম। গুরুদেব দিয়েছিলেন যাঁর নাম।
বিশ্ব ভারতীতে তাঁর আনাগোনা, যাতায়াত ছিল অবারিত। কোন পদাসীন না থাকলেও, বিশ্ব ভারতীর সাথে ছিল তাঁর নাড়ির টান জানালেন, কয়েক জন আশ্রমিক। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, তিনি মূলত: বিশ্ব ভারতীতে এসেছেন তুলনামূলক সাহিত্যের আলোচনা সভায়। রবীন্দ্র সপ্তাহেও এসেছিলেন বক্তা হিসেবে। কখনও সখনও নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে এক্সটার্নাল এক্সপার্ট হিসেবে সিলেকশন কমিটিতে থাকার জন্যই বিশ্ব ভারতীতে পা রেখেছেন। তবে শান্তি নিকেতনের সাথে তো তার আত্মিক যোগ ছিল তা বলাই বাহুল্য!
এব্যাপারে বাংলাদেশ ভবনের মুখ্য সমন্বয়ক অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় স্মৃতি চারণ করে বলেন, ২০০৪ সালের আগে নাট্যঘরে তাঁকে দেখেছিলাম। তখন লিপিকা হয় নি। আমি অন্য কলেজে ছাত্র পড়াই। স্কলার হিসেবে নাট্যঘরে রবীন্দ্র সপ্তাহ পালন উপলক্ষে এসেছিলেন। একটা ঘটনা আমার খুব মনে পড়ে। যে কোন কিছু সাবলীল ভাবে শুধু বলতে পারতেন তাই নয়, সুন্দর ভাবে নিজস্বতায় সব কিছু গ্রহণ করতে পারেন। তাঁকে বরণ করে উত্তরীয় মালার মতো করে পরানো হয়েছিল।
সেটাকে কাঁধের পাশ দিয়ে এমন সুন্দর ভাবে পরে নিলেন যে, এই একটা ছোট্ট দৃষ্টি ভঙ্গি অনেক কিছু বুঝিয়ে দিল। খুব সদর্থক মানুষ ছিলেন। ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েও, যে লেখা উনি লিখে গেছেন তা বলার নয়। উনার রম্য রচনা আমার খুব প্রিয়। নটী নবনীতা খুব প্রিয় আমার।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours