মোঃ মাসুদ হাসান, ফিচার রাইটার, রঘুনাথগঞ্জ:

রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিতে বার্ষিক দৌড়ঝাঁপ প্রতিযোগিতা বাবদ চক্রপ্রতি রাজ্যের বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে 100000/-টাকা। সেই টাকা থেকে প্রতিটি পঞ্চায়েতকে 10000/-টাকা দেওয়ার শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকা থাকলেও তা কার্যতঃ দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন চক্রের স্কুল পরিদর্শকদের বেশির ভাগ অংশ। আর বাস্তবও সেকথায় বলে। কারণ বেশিরভাগ চক্রই দশ বা ততোধিক পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত। আর বেশিরভাগ পঞ্চায়েতেই রয়েছে দশের অধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়।
চক্ৰস্তরীয় খেলার পূর্বেই প্রতিটি পঞ্চায়েতে আলাদা করে হয় এই প্রতিযোগিতা। ফলে সরকারি নির্দেশ মেনে সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা শুধুমাত্র পঞ্চায়েতকে দিতে গেলেই একলক্ষের অধিক টাকা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে চক্রস্তরীয় খেলা সম্ভব নয়। তাই এই একলক্ষ টাকায় কিভাবে প্রতিটি পঞ্চায়েতস্তরীয় ও চক্রস্তরীয় প্রতিযোগিতা করা সম্ভব সে প্রশ্নের সদুত্তর এখনও মেলেনি। তাই বেশিরভাগ চক্রেই  আবার সেই শেষ ভরসা প্রাথমিক শিক্ষকদের চাঁদা।
মুর্শিদাবাদ জেলার বহু চক্র থেকে প্রাথমিক শিক্ষকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বলে জানা যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান তাদের চক্রের স্কুল পরিদর্শক স্কুল প্রতি 2700/- টাকা চাঁদা চেয়েছেন অলিখিতভাবে এবং তা দিতে বাধ্যও করেছেন শিক্ষকদের।
রাজ্যের অনেক চক্রে শিক্ষাদপ্তরের বরাদ্দ পুরোটাকায় খরচ হবে বলে জানিয়েছেন। সেক্ষেত্রে কিভাবে পঞ্চায়েত লেভেলের খেলা সম্পন্ন হবে এই নিয়ে প্রশ্ন শিক্ষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে। কোনো কোনো চক্রে শিক্ষকরা চাঁদা না দেওয়ার ব্যাপারে অনড় থাকলেও রীতিমতো হুমকি দিতে শুরু করেছেন  অনেক স্কুল পরিদর্শক।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য রাজের বেশিরভাগ শিক্ষক অপেক্ষা করে আছেন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে। শিক্ষকেরা আশাবাদী মানবিক সরকার শিশুদের স্বাস্থ্য চর্চার কথা চিন্তা করে আগামী বছর হয়তো পঞ্চায়েত প্রতি 25000/-টাকা করে বরাদ্দ  বাড়াতে পারেন। এই আশায় বুক বাঁধছেন রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষকগণ।


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours