জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা:

বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের নির্বাচনে জে এন ইউ এর পর প্রেসিডেন্সি এবং দক্ষিন ও উত্তরের যেসব খবর আসছে, তা থেকে স্পষ্ট, রাজনীতির বামমুখীনতার সাথে এককালে যাদের সম্পর্ক ছিলো, তারা যে ফিরে আসছে সেটা স্পষ্ট হচ্ছে।
এর সাথে এমন ইঙ্গিতো পাওয়া যাচ্ছে, সম্ভবতঃ দলিত বলে যারা পরিচিত তাদের শিক্ষিত অংশের ছাত্র-ছাত্রীরাও এদিকে আসতে শুরু করেছেন। এটা এখন নিশ্চিত , যদি পেটাপিটি করে নির্বাচন ভন্ডুল করে দেওয়া হয়,
কলেজ স্তরে নির্বাচনগুলি, এই অভিমুখ ধরে চলবে।

সতর্কতা নেওয়াও প্রবলভাবে  গুরুত্বপূর্ণঃ
সম্ভাবনার দিক যদি এই হয়, যে জনগনের যে অংশে এখনো শিশুশুলভ সরলতা বিদ্যমান এবং মোটামুটি বিজ্ঞানের সাথে সমাজ বিজ্ঞানের অন্তসম্পর্কটা চিহ্নিত করতে সক্ষম, তারা , বিজেপীর
যুদ্ধের হারে-রারে-রা থেকে পুরো বেরুতে না পারলেও, এদের আদিভৌতি, লাইন থেকে ক্রমেই সন্ত্রস্ত হচ্ছে। এই আদিভৌতিকাবাদকেই আমরা মেটাফিজিক্স বলে চিনেছি
----  এমন টি ভাবার কারন নেই, যেন কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেও, ব্যবস্থা হিসেবে,ভারতীয় ফ্যাসিস্ত এবং বিশ্ব একচেটে পূঁজির যুগলবন্দিতে ' গায়েব হয়ে যাওয়া অর্থনীতির পরিনামে, দেশের সমাজ ও সংস্কৃতিতে যে সব বিপর্য্যয়াকারী প্রতিকৃয়া চলছে সে সবের কার্য্যকারন সম্পর্কগুলি সম্পর্কে কোন  ধারনার কাছাকাছি পৌছুতে পেরেছে।

এখানেই গনতন্ত্রের সাম্যবাদী অভিমুখের বিপুল দায় হবে , সংস্কারোত্তর কালে যে সব ধারনা  অর্থনীতির যে সব ধারনা, অর্থনীতির সাথে সামাজিক সম্পর্কগুলিকে বিচারে সক্ষম ছিলো, সে সব ধারনাকে প্রানপনে সামনে এনে, বিগত তিন দশকে অর্থনীতির আপোষের কারনে, আজ যে কীভাবে সমাজের  মধ্যমবর্গীয় অংশ কিভাবে
----- এক ভয়ংকর, বৌদ্ধিক স্থবিরতায় আচ্ছন্ন হয়ে, নিজেই ক্রমে আমেরিকান মিলিটারী তন্ত্রের সেই অন্ধ, ইতিহাসের পরিসমাপ্তি এবং দাসত্বের তত্বের অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে গেছেন
----- সেই স্তবিরতা  নিশ্চল করে দিয়েও বর্তমানে অল্প বয়সিদের মধ্যে যে পরিবর্তনকামীতার লক্ষনগুলি নতুনভাবে ফিরে আসছে , তাকে একটি নিশ্চিত পথে ঠেলে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন হবে।

সাধারনভাবে ইতিহাসের সাধারন  নিয়ম যেহেতু, তাকে ক্রমাগত এগিয়ে দেওয়ার জন্য, অর্থনীতিকে তার সমবন্ঠনের নীতির পথে ক্রমাগত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং  সেই এগিয়ে দেওয়ার কারনে, অর্থনীতির সাবলিল অভিমুখে বাধাগুলি অপসারন করেই ইতিহাসের গতিকে নিশ্চিত রাখা
----- প্রথমে বুঝতে হবে, এই নিশ্চিতির  বিপরিত দিকটাই, ধর্মীয় এবং পুঁজির অতিকেন্দ্রিকতার দুটি ফ্যাসিস্ত প্রকৃয়ার ককটেল করেই, ভারতে,
উল্লেখিত মিলিটারী তন্ত্রের, স্থবিরতার ধারাকে এ দেশে সেই  নব্বই দশক সময় থেকেই, একটা অভিন্ন অভিমুখ ধরে এগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

মধ্যমবর্গীয় স্থবিরতার মুলকারনটাই এখানে।এই অভিমুখের একপ্রান্ত দর্শনের বিকৃ্তি অর্থাত ' ইতিহাসের পরিসমাপ্তি'  এবং অন্যপ্রান্তে ' দাসত্বের' আর্থ-সামাজিক নীতি এবং নীতিতে, ৩৫ কোটির অর্থনীতিকেই যে 'রাজ সিংহাসনে'  বসানো হয়েছে, সে সব কথা বার বার উল্লেখ করেছি।
---- আর ৩৫ কোটির অর্থটাই হোল 'মধ্য বিত্তের গরিব অংশটুকুকে বাদ দিয়ে, অন্যপুরোটা। লক্ষনীয়, এই সংখ্যাটি, সমগ্র ইউরোপের জনসংখ্যার কাছাকাছি কিংবা কিঞ্চিত বেশী হবে এবং সেটাকেই, মিলিটারী তন্ত্র অর্থনীতির নিয়মে 'প্রকৃ্ত ভারত' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সে কারনেই এরা একপ্রান্তে, যেমন চিহ্নিত রাজাদের (চিন্তার দিক থেকে মধ্যমবর্গ) অন্য প্রান্তে 'দাসদের' জন্য একেবারে পৃ্থক দুটি আর্থসামাজিক ব্যবস্থাকে নির্মান করে ফেলেছেন।
-----   অসংখ্যবার উল্লেখ করেছি, দাসত্বের ব্রেকেটে রয়েছেন - পশ্চাতপদ বর্ণের  মানুষ, বিশেষতঃ দলিত, আদিবাসি, গরিব মুসলিম - যাদের অধিকাংশ ইতিহাসের দিক থেকে নিম্নবর্ণের অত্যাচারিত রুপান্তরিত অংশ, বিপুল হারে মহিলারা।
প্রশ্ন উঠবে, এই দাসত্বের তালিকায় কি মধ্যম বর্গের অংশ নেই? নিশ্চিত রয়েছে এবং সেখানেও একটা ডাইনামিজম কাজকরছে। ইতিহাস অবলুপ্তির  অর্থ যেহেতু, একই যায়গায় দাড়িয়ে 'লেফট রাইট' করা এবং তার সামাজিক অর্থ যেহেতু 'মৃত্যু' সেখানে
------ নিয়ম অনুযায়ীই যদি চক্রবৃ্দ্ধির নিয়মে, দাসের সংখ্যা বৃ্দ্ধি না হয়, তবে 'ইতিহাসের স্তবিরতা বা ইতিহাসের পরিসমাপ্তির নীতি কার্য্যকরি থাকবে না। কতুটুকু সফল হবে অথবা কোন বিপ্লব এসে ইতিহাসের স্তবিরতাকে ভেংগে দেবে কিংবা মহামারি, সেটা আলাদা কথা;। কিন্তু মিলিটারীতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী, 'রাজার' সংখ্যাবৃদ্ধি চলবে না, জন্মচকের যে সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে তাদের 'দাসত্বের' মিছিলে যোগ দিতে হবে।
সেই অর্থে, গরিব মধ্যবিত্তদের ক্রমান্বয়ের আংকিক নিয়মে 'দাসত্বের বন্ধনীতে নেমে আসতে হবেই। সাম্প্রতিক কালে 'স্তবির' ইতিহাসে যে অর্থনৈ্তিক সংকট দেখা দিয়েছে, খতিয়ে দেকলে দেখা যাবে, 'দাসত্ব মজুরির' নিম্নমুখীনতা যখন তার তলানিতে তখন
---- চাকরি চ্যুতি, মুল্য বৃদ্ধি, ব্যঙ্কের সঞ্চিত কিঞ্চিৎ অর্থ হটাৎ করেই ফাঁকা হয়ে যাওয়া এবং সর্বোপরি কৃ্ষিজনি কৃ্ষক সমেত ফরে এবং করপোরেট পুজির হাতে চলে যাওয়া  ইত্যাদির কারন হুড়হূড় করে নিম্নমধ্যবিত্তরা ঝাকে ঝাকে 'দাসত্বের' পর্য্যায়ে নেমে আসছেন। খবর রাখলেই দেখা যাবে, অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার সারাজীবনের সঞ্চয়কে বাড়ীঘর নির্মানে খাটিয়েছিলেন, উপযুক্ত মেরামতির ক্ষমতা হারিয়ে বাড়ীঘর, ফরেদের হাতে বিলি করে দিতে বাধ্য হয়ে, সারা পরিবারকে পথে  নামিয়েছেন।
যে সব রাজনীতিক বাবু, সাম্যবাদী আন্দোলনের নেতা, একটি অন্তসম্পর্ক তাদের কাছেও অস্পষ্ট। এই যে নারীত্বের মর্য্যাদার বিষয়টিকে সমাজে ক্রমেই ডাল-ভাতের মতো করে দেওয়া হয়েছে তার একটা প্রধান কারন মহিলাদের অসাহায়তাকে
------  'দাসত্বের' তালিকায় মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েদের সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটানোর সংস্কৃতিকে জোরদার করা হচ্ছে মধ্যবিত্তদেরকেই ইতিহাসের দিকে স্তবির করে দিয়ে।

যোগান বাড়ানো আকাংখ্যাই এই গুরুতর প্রশ্নেও, মধ্যবিত্ত সমাজকে নিশ্চল করে দেওয়া ব্যবস্থার জরুরী প্রয়োজনীয় হয়ে দাড়িয়েছে।
---- দাসের তালিকায় নারীদের সংখ্যা যে ক্রমাগত বাড়ছে। এই সংখ্যা দ্রুত হার কৃষি থেকে শিল্পের খনি অঞ্চল এবং এমন কি সারভিস সেক্টারের বিপুল এলাকার নারীয় অসহায়ত্বের সুযোগ নেওয়া হচ্ছিল। এখানে মধ্যবিত্ত্বের মেয়েরা যেমনভাবে ঢুকতে শুরু করেছে, দাসের বাজারে পুরুষ মধ্যবিত্ত উচ্চবর্নও আকৃষ্ট হচ্ছে।
---- এখন ক্যাপিট্যাল গুডস শিল্প ক্রমশ গুটিয়ে ফেলার দিকে এগুতে থাকায়, আমদানী নির্ভরতাকে টিকিয়ে রাখতে এমনিতেই, সরকারি টাকায় শিক্ষিত করে, প্রযুক্তি কেরানীর শ্রম রপ্তানী, ভেতরে রেখে এবং বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে বিপুলভাবে রপ্তানী হচ্ছিলো। এখন সরকারী মদতে ঠিকাদারদের মাধ্যমে বিপুল হারে যে 'মহিলা' রপ্তানী হচ্ছে, তাতে নিম্ন মধ্যম বর্গ আকৃ্ষট।

এইভাবে, ইতিহাস স্তব্ধতার ভেতর দিয়ে 'দাস' সমাজ নির্মানের যে মরিয়া চেষ্টা মনমোহন-নরসিমহা রাও এর হাত ধরে শুরু হয়েছিলো, সেটা ধর্মবাদি ফ্যাসিস্ত এবং বিশ্বপুজি ফ্যাসিস্তদের হাত ধরে উদোম গতিতে এগিয়ে চলেছে।
----- মধ্যমবর্গীয় স্থবিরতা এই সুত্র ধরেই সমাজকে এগিয়ে যাওয়ার সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে। এই স্থবিরতার অর্থ, চিন্তার স্থবিরতা। চিন্তার স্তবিরতার কারনেই
------ একপ্রান্তে সাধারন  বিদ্যালয় ব্যবস্থাকে কারখানা বানিয়ে ফেলেছে, উচ্চবর্গ ছেলে-মেয়েদের জন্য পৃথক বিদ্যালয় ব্যবস্থা নির্মিত হয়েছে। মধ্যম  বর্গ নিজের চিন্তার স্তবিরতা মুক্তির কথা না ভেবে, উচ্চ বর্গের আকাংখ্যার সাথে প্রতিযোগীতা করতে গিয়ে সর্বসান্ত হচ্ছেন।
-----  পুরো মধ্যমবর্গের ছেলেমেয়েদের, মোবাইল দিয়ে চিন্তার প্রশ্নে কারারুদ্ধ করে ফেলেছে। তাদের জন্য নিদৃষ্ট বিদ্যালয় ব্যবস্থাকে কারখানায় রুপান্তরীত করা হয়েছে। এক এক ক্লাসে অনেক সময় ৮০ জন।
চিন্তার এই স্তবিরতাই সাহিত্য এবং সংস্কৃতিতে স্তবিরতা নিয়ে এসেছে। চিন্তার বৃত্ত রেখা সংখ্যবৃত্ত্বের উপর থেকে নিচে নেমে গেলেও, কখনো উপর উঠে আসার সুযোগ করে নিতে পারছে না। পরিনামে কালান্তরের পথে  কোন সাহিত্য নির্মান হচ্ছে।
উল্লুক আর গাধাদের, চরিত্র নির্মানের রোল-মডেল বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এক একজন মন্ত্রীর যা ভাষন আসছে আজকাল, অতীতে ঘটলে মানূশ শোনার পর গঙ্গা স্নান করতো। এখন,  এদের পেছনে ছুটোছুটি করাই প্রবৃত্তি দাড়িয়ে গেছে।
----- আজ গড় মধ্যমবর্গীয় চিন্তার গতি, আকাশের সীমা রেখায় পৌছুনোর পূর্বেই, দাসত্বের সংস্কৃতির মধ্যাকর্ষনের জালে জড়িয়ে যাচ্ছে।

এসব সুত্রেই -
জে  এন ইউ,উত্তর ও দক্ষিন ভারতের ইউনিভারসিটি/কলেজগুলির ছাত্র ইউনিয়ন নির্বাচনের ফলাফলের, পাশাপাশি
-----ইতিহাসের সমাপ্তি ও দাসত্বে নব্বই দশক থেকে রাজসিক আয়োজন,     চুড়ান্ত অর্থনৈ্তিক ব্যাভিচারিতায় মধ্যমবর্গীয় চিন্তার স্থবিরতা এবং তার সাথে
----   প্রত্যাবর্তনে পূর্বে উল্লেখিত, সংস্কার উত্তর কালে যে আর্থ-সামাজিক সম্পর্কের উপর দাঁড়িয়ে, যে বিরোধী রাজনীতির ধারা গড়ে উঠেছিলো, সেখানে দাড়ীয়ে নবশিক্ষার  সংগঠিত  আয়োজনে
----   সংগঠিত শিল্প শ্রমিকদের পথে নেমে আসার বিষয়গুলি, সাম্যবাদি আন্দোলনকে  এক বিন্দুতে নিয়ে এসে ভাবতে শুরু করতে হবে।

প্রথমে শেষের দুটি বিষয়ে দু'চারটি কথা বলে, নিয়ে প্রথমের সর্তে নেমে এসে লেখাটি শেষ করবো।
সে কথাটা বুঝে নিয়েই, সংগঠিত শিল্পকে আজকের সামাজিক দাবীতে পঠে নামতে হবেই। অন্যথায়, এটা নিশ্চিত, মধ্যমবর্গীয় স্থবিরতার চাপের মুখে, সে নিজেই 'দাসত্বের' মধ্যাকর্ষনে বাধা পরতে বাধ্য।সাধারনের  বিদ্যালয় ব্যবস্থায়, ভাবজগত নির্মানের সব ভিত্তি নির্মুল হয়ে যাওয়ায়, এই কাজটাকে পথে নামিয়ে এনে, মধ্যম বর্গীয় স্তবিরতা ভাংগতে গনশিক্ষাকে আর্থ-সামাজিক ধারায় নিয়ে আসার সংগঠনগত উদ্যোগ তাদের নিতেই হবে।
নব্বই  উত্তর কালের আর্থ-সামাজি ভাবনার প্রত্যাবর্তন ঘটানোর দাবীতেই, কিছুদিন পূর্বে দুর্গাপুরের ইউনিয়ন একটা নজির রেখেছেন। একটি সেমিনারে, সেই অর্থনীতিতে , যিনি জে এন ইউ এর দীর্ঘকালের অধ্যাপক ছিলেন এমন একজন, শ্রী প্রভাত পট্টনায়েককে নিয়ে এসেছিলেন। -------তার ভাষনের অভিমুখকে সামনের রেখে 'সত্তোর দশকের ঝিলিক' শিরোনামায়, একটি প্রবন্ধ লিখেছিলাম ফেস বুকে। সেই সুত্রকে টেনে বলবো, সংগঠিত শিল্পের শ্রমিক হিসেবে এখানে থামলেই চলবে না।এসব আলোচনার নির্যাসকে নিয়ে, আর্থ-সামাজিক সম্পর্ককে ঘিরে, সামাজিক সম্পর্কগুলির বর্তমান পরিস্থিতিকে গনশিক্ষার আলাপ-আলোচনা এবং বিতর্কে নামিয়ে আনার উদ্যোগকে সমকালিন ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনে মূল অভিমুখের অংশ হিসেবে গ্রহন করতে হবে।

সব শেষে প্রথম বিষয়টিকে সামনে এনে,
দুটি কথা বলে লেখাটি শেষ করা যাক।
----- কিছুদিন পূর্বে একই ইউনিয়নে জে এন এর নব নির্বাচিত  ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শ্রীমতি ঐষি ঘোষকে সম্বর্ধানা দেওয়াকে, ঘিরে  যে কথা মনে উঠে এসেছিলো, সেটি বলে দিলেই সম্ভবত, ছাত্র-ছাত্রীদের সাম্প্রতিক বিজয়গুলির সম্ভাবনা  এবং কিছু করনীয় বাধ্যবাধকতাকে উল্লেখ করা যেতে পারে। প্রসংগত বলে রাখি, শ্রীমতি ঐষি দুর্গাপুরের মেয়ে। সরল বলতে যা বোঝা যায় তার থকেও সরল এবং তেজস্ব। প্রকৃ্ত অর্থে একজন বিদ্রোহী।
তবে বুঝতে হবে, বিদ্রোহী হলেই যে সবাই বিপ্লবী বলা যাবে না। মনে হয়েছে, যেন সংকটের আবর্ত থেকে ছিটকে বেড়িয়ে আসা এক গতিমান রশ্মি, আকাশের সীমা পেরিয়ে সূর্য্যে বিলীন  হতে বদ্ধ পরিকর। প্রশ্ন এখানেই,
----- প্রান্তসীমা অতিক্রমনের পূর্বেই এই সম্ভবাবনা, মধ্যমবর্গীয় স্থবিরতার
মধ্যাকর্ষনের জালে আটক হয়ে পড়বে না তো।
এই প্রশ্নটা তুলেই,
জবাব হিসেবে সেই ছবিটার দিকে দৃষ্টি টানবো, যখন শ্রমিক নেতৃত্বে ২০ লক্ষ শ্রমিক ছাত্র চিলির রাজধানী সান্তিয়াগো অবরোধ করে রেখে সরকারটাকেই বদলে দিয়েছিলো। আজ আবার অনুরুপ  একটা ছবি এসেছে  বলভিয়ার রাজধানী থেকে।
সাথে সাথে স্মরন করাবো, সেই বিক্ষাত লোক সংগীতের কলিটির দিকেঃ
----- "আল্লা মেঘ দে, পানি দে' সংগীতে বৃষ্টি ডেকে না আনলেও 'বরুন দেবতায়' মানুষের একাত্মতাকে সংগত করে। তাই শুরুটা করতে হবে, যেমনভাবে দুর্গাপুরের  ইউনিয়ন শুরু করতে চেষ্টা করছে। (ক্রমশ)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours