আহসান হাবিব, লেখক, বাংলাদেশ:
সময়ের খেয়ার পরপারে আরও একটি পুরুষ দিবস সবেমাত্র অতিক্রান্ত। তারই ভাবনার আবেশে এমন একটি দিবস আছে পুরুষদের জন্য, জেনে বেশ লাগছে। নারী দিবসে আমরা পুরুষগণ নানা মতামত পেশ করি, আশা করি তারাও তাদের মত প্রকাশ করবে, নারী-পুরুষ একে অপরকে বুঝে উঠবে।
আমার পুরুষ ভাবনাঃ
আমি 'পুরুষ' ভাবতেই ভাল লাগে আমার। এটা আমার প্রাকৃতিক আইডেন্টিটি। আমার সামাজিক আইডেন্টিটি আমি 'মানুষ'। আমি মানুষ হিসেবে যখন আমার দিকে তাকাই- একজন পুরুষকে দেখি, খুব ভাল লাগে তাকে দেখতে । আমি প্রকৃতিকে কুর্নিশ করি।
আমি প্রকৃতির অভিপ্রায়ে প্রজননে অংশ নিই। আমার বিপরীত লিংগ 'নারী' তখন আমার কাছে শ্রেষ্ঠ আরাধ্য মনে হয়। আমি সুখে ভাসতে থাকি, আমি প্রকৃত প্রেমিক হয়ে উঠি। নারী তখন আমার কাছে প্রকৃতির আইডেন্টিটি ছাপিয়ে মানবিক হয়ে উঠে। সামাজিক ভাবে তখন তাকে আর নারী মনে হয় না, মনে হয় আমার অবিচ্ছেদ্য অংশ -'মানুষ'।
আমি যখন পুরুষ তখন কি ভাল লাগে আমার? আমার গঠন, আমার ডিজাইন এবং সবচেয়ে ভাললাগে এর পেছনের নাটের গুরুটিকে। কে সে? না, সে কোন প্রাণী নয়, বস্তু - একটি হরমোন, নাম তার 'টেস্টোসটেরন'! এই হরমোনই আমাকে পুরুষ করে তোলে। বিপরীত লিংগের প্রতি যত আকর্ষণ এবং প্রকৃতির অভিপ্রায়ে সক্রিয় অংশগ্রহণে ঠেলে দেয়, এই হরমোনই সেসব করে।এই হরমোন শুধু লিবিডোর জন্য দায়ী নয়, আরো অনেক কাজ করে। শরীরের সেরা অংশ এর মাংসপেশীর গঠন, অস্থির গঠন এবং লোমের আচ্ছাদন তৈরী করে। অবশ্য সামান্য পরিমাণে নারী হরমোনও আমার দেহে আছে যা আমাকে সামান্য নারীর চরিত্রও দান করে। আমি এইদিক থেকে শুধু অবিমিশ্র পুরুষ নই, নারীও।
দ্বন্দ্ব ছাড়া কোন প্রগতি নেই- এই চরম সত্যিটা প্রকৃতির চেয়ে কেউ ভাল বোঝে না, কেননা এটা টিকেই আছে এই দ্বন্দ্বের পারস্পরিক ক্রিয়ায়। দ্বন্দ্বের দুই অংশের আমি একটি- পুরুষ - অন্য অংশ -নারী, দুই এ মিলে পূর্ণ হয়ে উঠি। আমি একা অপূর্ণ, পূর্ণ হই নারীর সংগে মিলে।
পুরুষ হিসেবে আমার তাই আলাদা গৌরব নেই। গৌরব বোধ করি তখন যখন আমি নারীতে লীন হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করি। আমি তাই পুরুষতন্ত্রকে ঘৃণা করি, কেননা এটা নারীকে অধস্তন করার পাঁয়তারা করে এবং অন্যায়ে লিপ্ত হয়।
আমি পুরুষ, কেননা আমার প্রিয় সঙ্গী নারী, যেখানে নারী নেই, সেখানে পুরুষ নেই। এই পৃথিবী সুন্দর হোক নারী-পুরুষের যুথবদ্ধ কর্মকাণ্ডে...
সময়ের খেয়ার পরপারে আরও একটি পুরুষ দিবস সবেমাত্র অতিক্রান্ত। তারই ভাবনার আবেশে এমন একটি দিবস আছে পুরুষদের জন্য, জেনে বেশ লাগছে। নারী দিবসে আমরা পুরুষগণ নানা মতামত পেশ করি, আশা করি তারাও তাদের মত প্রকাশ করবে, নারী-পুরুষ একে অপরকে বুঝে উঠবে।
আমার পুরুষ ভাবনাঃ
আমি 'পুরুষ' ভাবতেই ভাল লাগে আমার। এটা আমার প্রাকৃতিক আইডেন্টিটি। আমার সামাজিক আইডেন্টিটি আমি 'মানুষ'। আমি মানুষ হিসেবে যখন আমার দিকে তাকাই- একজন পুরুষকে দেখি, খুব ভাল লাগে তাকে দেখতে । আমি প্রকৃতিকে কুর্নিশ করি।
আমি প্রকৃতির অভিপ্রায়ে প্রজননে অংশ নিই। আমার বিপরীত লিংগ 'নারী' তখন আমার কাছে শ্রেষ্ঠ আরাধ্য মনে হয়। আমি সুখে ভাসতে থাকি, আমি প্রকৃত প্রেমিক হয়ে উঠি। নারী তখন আমার কাছে প্রকৃতির আইডেন্টিটি ছাপিয়ে মানবিক হয়ে উঠে। সামাজিক ভাবে তখন তাকে আর নারী মনে হয় না, মনে হয় আমার অবিচ্ছেদ্য অংশ -'মানুষ'।
আমি যখন পুরুষ তখন কি ভাল লাগে আমার? আমার গঠন, আমার ডিজাইন এবং সবচেয়ে ভাললাগে এর পেছনের নাটের গুরুটিকে। কে সে? না, সে কোন প্রাণী নয়, বস্তু - একটি হরমোন, নাম তার 'টেস্টোসটেরন'! এই হরমোনই আমাকে পুরুষ করে তোলে। বিপরীত লিংগের প্রতি যত আকর্ষণ এবং প্রকৃতির অভিপ্রায়ে সক্রিয় অংশগ্রহণে ঠেলে দেয়, এই হরমোনই সেসব করে।এই হরমোন শুধু লিবিডোর জন্য দায়ী নয়, আরো অনেক কাজ করে। শরীরের সেরা অংশ এর মাংসপেশীর গঠন, অস্থির গঠন এবং লোমের আচ্ছাদন তৈরী করে। অবশ্য সামান্য পরিমাণে নারী হরমোনও আমার দেহে আছে যা আমাকে সামান্য নারীর চরিত্রও দান করে। আমি এইদিক থেকে শুধু অবিমিশ্র পুরুষ নই, নারীও।
দ্বন্দ্ব ছাড়া কোন প্রগতি নেই- এই চরম সত্যিটা প্রকৃতির চেয়ে কেউ ভাল বোঝে না, কেননা এটা টিকেই আছে এই দ্বন্দ্বের পারস্পরিক ক্রিয়ায়। দ্বন্দ্বের দুই অংশের আমি একটি- পুরুষ - অন্য অংশ -নারী, দুই এ মিলে পূর্ণ হয়ে উঠি। আমি একা অপূর্ণ, পূর্ণ হই নারীর সংগে মিলে।
পুরুষ হিসেবে আমার তাই আলাদা গৌরব নেই। গৌরব বোধ করি তখন যখন আমি নারীতে লীন হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করি। আমি তাই পুরুষতন্ত্রকে ঘৃণা করি, কেননা এটা নারীকে অধস্তন করার পাঁয়তারা করে এবং অন্যায়ে লিপ্ত হয়।
আমি পুরুষ, কেননা আমার প্রিয় সঙ্গী নারী, যেখানে নারী নেই, সেখানে পুরুষ নেই। এই পৃথিবী সুন্দর হোক নারী-পুরুষের যুথবদ্ধ কর্মকাণ্ডে...
Post A Comment:
0 comments so far,add yours