অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, পূর্ব বর্ধমান:

(তোমরাই আমার বাবা মা)

আমার এই ঘটনায় কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সেই প্রশ্নগুলি আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো...
১) আমার জন্মদাতা পিতা জর্জ বেকার এর সহিত আমার পালক মা গৌরী চক্রবর্তী সম্পর্ক কি?
২) আমার পিতা জর্জ বেকার আমাকে লালন পালন করার জন্য গৌরী চক্রবর্তীকে কেন দিলেন? গৌরী চক্রবর্তীকে লালন পালন করতে না দিয়ে অন্য পরিবারেও তো দিতে পারতেন লালন-পালন করার জন্য।
৩) আমি গৌরী চক্রবর্তীর পরিবারে পৌছালাম কি করে? যে পরিবারের একজন সদস্য আমার জন্মদাতা পিতা জর্জ বেকার এর বর্তমান স্ত্রী অর্পিতা চক্রবর্তী/বেকার!!
৪) আমরা সাধারণত জানি একটি মানুষের একটি জন্ম সার্টিফিকেট হয়। তাহলে আমার দুটি জন্ম সার্টিফিকেট কেন?
৫)কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনে একই ব্যক্তির দুটি জন্ম সার্টিফিকেট চোখে ধুলো দিয়ে তৈরি হলো কিভাবে?
৬) আমার দুটি জন্ম সার্টিফিকেট কে বা কোন ব্যক্তি তৈরি করলেন?
৭)প্রথম জন্ম সার্টিফিকেটে কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশন থেকে যে অফিসার তৈরি করলেন তার চোখে কেন পড়েনি যেদিন আমার জন্ম হয় সেই দিনই কি করে জন্ম সার্টিফিকেট তৈরি হয়ে যায়? এটা কি‌ কোন ভাবে কোন প্রকারে সম্ভব?
৮) প্রথম জন্ম সার্টিফিকেট অনুযায়ী আমার পোলিও কার্ডের নামের মিল নেই কেন?প্রথম জন্ম সার্টিফিকেটে আমার নাম অঙ্কিতা ভট্টাচার্য অপরদিকে আমার পোলিও কার্ডে আমার নাম অর্পিতা ভট্টাচার্য!!
৯) প্রথম জন্ম সার্টিফিকেটথাকার পরও কি প্রয়োজন হয়ে পড়ল দ্বিতীয় জন্ম সার্টিফিকেট তৈরি করার?
১০)দ্বিতীয় জন্ম সার্টিফিকেট অনুযায়ী যে ডাক্তার বাবুর কাছে আমার জন্ম হয়েছে সেই ডাক্তারবাবুর রেজিস্ট্রেশন নাম্বারের সহিত ডাক্তারবাবুর নামের মিল পাওয়া যাচ্ছে না কেন?
১১) কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনেরনিয়ম অনুযায়ী যদি কোন বাচ্চার জন্ম বাড়িতে হয় তাহলে বাচ্চা হবার পর যে ডাক্তার বাবু ট্রিটমেন্ট করে তার মেডিকেল সার্টিফিকেট এবং সেই সার্টিফিকেট অনুযায়ী স্থানীয় আদালত থেকে যে মহিলার বাচ্চা হচ্ছে তার একটি এফিডেভিট তৈরি করে কলকাতা মিউনিসিপল কর্পোরেশন থেকে জন্ম সার্টিফিকেট তৈরি করা যায়। আমার ক্ষেত্রে ঠিক এমনটি হয়েছে। এখানে গৌরী চক্রবর্তী/ভট্টাচার্য্য আমার পালোমা সত্য কে সত্যই রেখে গেছেন। যেমন আমার পালক মা গৌরী চক্রবর্তী/ভট্টাচার্য্য নিজের বয়স লুকিয়ে এফিডেভিট করেছেন! গৌরী চক্রবর্তী/ভট্টাচার্য্য এ এফিডেভিট এ উল্লেখ করেছেন ইংরাজীর 1999 সালে ঘড়ি চক্রবর্তীর বয়স দেখিয়েছেন মাত্র ৩৭ বছর কিন্তু গৌরী চক্রবর্তীর জন্ম সাল ইংরেজির1953। এখানে দেখা যাচ্ছে 1953 সালে গৌরী চক্রবর্তীর যদি জন্ম হয়ে থাকে তাহলে গৌরী চক্রবর্তীর বয়স হিসেবে 1999 সালে উনার বয়স হয় 46 বছর। আপনারাই বলুন ইংরেজির 1999 সালে আমাদের মেডিকেল সাইন্স কি এতই উন্নত ছিল যে 46 বছর বয়স্কা মহিলার বাচ্চা হয়ে গেল।
১২) আমার পোলিও কার্ডে আমার নাম অর্পিতা তাহলে কি অনুসারে আমার নাম অর্পিতা হলো? এবং আমার পিতা জর্জ বেকার এর বর্তমান স্ত্রীর নাম  অর্পিতা! তাহলে কি আমার আরও একটি জন্ম সার্টিফিকেট আছে????? (ক্রমশ)

(প্রতিবেদনের যাবতীয় দায় লেখিকার)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

1 comments so far,Add yours

  1. ব্যাপারটা কেমন গোলমেলে লাগছে।

    ReplyDelete