অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, পূর্ব বর্ধমান:

(কি শীতল অমানবিকতা)

আমি আমার এই সমস্যা নিয়ে আজ থেকে গত এক বছর ধরে অসহায় হয়ে ঘুরছি পথে পথে। আমি আমাদের রাজ্য প্রশাসন কে জানিয়েছি বারবার। কিন্তু জানানোর পরও আমার মত অসহায় মেয়েকে সাহায্য করেননি। এরপর আমি আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে জানাই।কারণ আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীর কন্যাদের প্রতি ভালো চিন্তা ধারা আছে। "বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও"।এখানে বেটি পড়াও তো দূরের কথা বেটি বাঁচাও এর কোন প্রকার কার্যকলাপের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে কি বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও সাধারন জনগনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য? না প্রচার বাড়ানোর জন্য? আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী তো একটা দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে সাধারণ জনগণের প্রতি। উনার কাছে সবই তো সম্ভব। সব ঘটনায় রাজনীতির ছোঁয়া লাগানো কি উচিত?আমি তো আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী কে চিঠির মাধ্যমে আমার সমস্ত সমস্যার কথা জানিয়েছি।এরপর আমি আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি দপ্তরেও জানিয়েছি কিন্তু সেখান থেকেও কোন প্রকার সাহায্য পায়নি। অথচ আমার জন্মদাতা পিতা জর্জ বেকার সাংসদ হয়ে আছেন আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতির মহাশয় এর মনোনীত।
এবার সাধারন জনগন বলুন আর কোন দপ্তরে আমাকে জানাতে হবে? আমার জীবনের কি কোন মূল্য নেই? একবার আমি হতাশ হয়ে যায় এই ভেবে, আমি কি সত্যিই মানুষের বাচ্চা? সর্বপ্রথম তো রাজ্য প্রশাসনের উচিত আমার পালক বাবাকে খুঁজে বের করা।আমার পালক বাবা সত্যিই যদি আমার নিজের বাবা হয়ে থাকেন তাহলে আত্মগোপন করার কি কারণ আছে?তাহলে কি রাজ্য প্রশাসন নিজের পিঠ বাঁচানোর জন্য আমার পালক বাবার কাছে রহস্য জানতে চাইছেন না ইচ্ছাকৃত? আজ যদি রাজ্য প্রশাসন সহযোগিতা না করেন অপরদিকে কেন্দ্র সরকার সহযোগিতা না করেন তাহলে আমি কোথায় যাবো? আমাদের দেশের এটাই কি গণতন্ত্র??আজ যে ঘটনা আমার সহিত হয়েছে আগামী দিনে তো যে কোন ঘটনা যে কোন সাধারণ জনগণের সহিত ঘটতে পারে। তখন সেই সাধারণ জনগণের অবস্থা ঠিক আমার মতোই হবে। তাই সাধারণ জনগণের ঐক্যবদ্ধতা সর্বপ্রথম প্রয়োজন। হয়তো সাধারণ জনগণের কাছে আমার এই ঘটনা মজা পাওয়ার মতো। কিন্তু আমার এই ঘটনা উপলব্ধ করে সামনের দিনে সাধারণ জনগণকে কিছু বুঝতেই হবে।আমাদের দেশের পরিস্থিতির কথা। আমি তো বুঝতেই পারছি না আমার এই ঘটনাতে এতো বিতর্কের জন্ম নিচ্ছে কেন? একটি ছোট্ট পরীক্ষা ডি এন এ । এই পরীক্ষার মাধ্যমে তো সত্য মিথ্যা যাচাই হয়ে যেতে পারে। হয়ে যাক আমার জন্মদাতা পিতা জর্জ বেকার এর সহিত ও আমার জন্মদাত্রী মা তসলিমা নাসরিনের সহিত ডি এন এ পরীক্ষা। (ক্রমশ)

(প্রতিবেদনের যাবতীয় দায় লেখিকার)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours