দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:

নানুর থানার পাপুরি গ্রাম। সেখানে সংখ্যালঘু হিন্দু। তিনশো থেকে চারশো হিন্দু। আর চার হাজার মুসলিম। হিন্দুদের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। কিন্তু মনের বাসনা দুর্গাপুজো করার। রাজসিক দুর্গা পূজা করা কি চাট্টি খানি কথা!

সমস্ত মুসলিম সম্প্রদায়কে নিয়ে একসাথে শারদ উতসবের খরচে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন কাজল সেখ। আর তাতেই প্রতিবছর দুর্গাপুজোয় মাতেন এলাকার হিন্দুরা। পাশে পান মুসলিম ভাইয়েদের। এমন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির  নজির  ভারত বর্ষেই সম্ভব। 

কাজল সেখ বলেন, নিয়ম অনুযায়ী, মুসলিম সম্প্রদায় সরাসরি দুর্গাপুজোয় অংশ গ্রহণ করতে পারে না। আমি বলেছি, মূর্তি কেনা, পুজোর সামগ্রী কেনা, ঢাকের খরচ তোমাদের করতে হবে। বাকি, বক্স, প্যাণ্ডেল, লাইট, ডেকোরেশন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পুজোর শেষ দিনে ভোজের খরচ আমি দেব। পরধর্মে শ্রদ্ধায় তো নিজের ধর্মকে আরও শ্রদ্ধা করতে শেখায়! এলাকার বাসিন্দা শ্যামল ঘোষ, অমরনাথ দেরা বলেন, কাজলদা ছাড়া এই দুর্গা পুজো সম্ভব ছিল না।  দুর্গা পুজো করার সামর্থ্য ছিল না। আগে পুজোর কটা দিন আমাদের মনের দুঃখেই কাটাতে হত। কাজলদা সাহায্যের হাত বাড়ানোয় এটা সম্ভব হয়েছে। উদ্বোধনের দিন কাজল সেখ, জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী, বোলপুর লোকসভার সাংসদ আসিত মাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসেন।  পুজোর শেষের দিন, ডাল, ভাত, সবজি, মাছ, চাটনি,  মিষ্টি, দই, পাপড় সবই থাকে মেনুতে। তারপর সাড়ম্বরে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়।
Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours