জয়ন্ত কুমার সাহা, ফিচার রাইটার, কলকাতা:

সমাজ ব্যবস্থা কেমন হবে তাই নিয়ে নানা মুনীর নানা মত। আমিও এক মুনী তাই আমারও এক মত। তবে অন্য কোন মুনীর মন্তব্য বা লেখার সুবিধাজনক অংশকে আমার মতের স্বপক্ষে উদ্ধৃত করে ও অসুবিধাজনক অংশকে নিরুচ্চার বর্জন করে মতামত প্রতিষ্ঠার চেষ্টা না করে নিজের কথায় নিজের উদ্ধৃতিই থাক। 
অতি সাধারণ জ্ঞান থেকে দেখেছি যে আমাদের আর্থ-সামাজিক চালিকাশক্তির দুটি প্রধান পথ ক্যাপিটালিজম ও সমাজতান্ত্রিক সাম্যবাদ। 
আদর্শ ও মৌখিক জনপ্রিয়তার বিচারে সাম্যবাদ পুঁজিবাদের থেকে অনেক বেশী গ্রহণযোগ্য কিন্তু তার ব্যবহারিক সাফল্য প্রায় শূণ্য। আবার পুঁজিবাদ ব্যবহারিক প্রয়োগে সফল থেকে সফলতর।
এখন প্রশ্ন হল, একটি আদর্শ সমাজব্যবস্থা প্রয়োগে ব্যর্থ হচ্ছে কেন এবং একটি বিপরীত সমাজব্যবস্থা প্রয়োগে সফল হচ্ছে কেন ?        মন চলো নিজ নিকেতনে।
এই প্রশ্নের সহজ উত্তর পাওয়া যাবে আমাদের ঘর থেকেই। ধরা যাক সেখানে এক যৌথ পরিবারে পাঁচ ভাই। তাদের উপার্জন বিভিন্ন রকম। একজনের প্রচুর আয়, একজনের মাঝারি, একজনের অল্প, একজন আধা বেকার আর একজন পুরো। এনাদের পিতৃদেব সকলের সব আয় একসাথে করে সকলকে সমবন্টন করে চলতে বললেন।
প্রথম কিছুদিন এভাবে চলার পরে যিনি সবথেকে বেশি আয় করেন তার পরিবারে অসন্তোষ শুরু হল। তিনি নিজের আয়ের তুলনায় বঞ্চিত হয়ে অপরের ঠেকা নিয়ে চলতে রাজী নন। একসময়ে তিনি হাড়ি আলাদা করে নিলেন। ধীরে ধীরে বাকী দুই ভাই। এরপর তারা আলাদা ফ্লাট কিনে চলে গেলেন। যৌথ পরিবার ভেঙে গেল। সমাজতান্ত্রিক সাম্যবাদ পরিবারেই ব্যর্থ হল।
এইভাবেই এই কারণেই রাশিয়াতে এই ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। 
আজ একটিও ঐ রকম সমাজতান্ত্রিক সাম্যবাদী পরিবার পাওয়া যাবে না। পেলেও সেটি ব্যতিক্রম। একইভাবে আজ সমাজতান্ত্রিক সাম্যবাদী দেশ পাওয়া যাবে না । পেলেও সেটি ব্যতিক্রম। (ক্রমশ)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours