নূর হাসান প্রিন্স, ফিচার রাইটার ও গবেষক, বাংলাদেশ:
মানব ব্রেনে এক বিলিয়নের মতো নিউরোন আছে। এর প্রতিটি আবার আরো হাজারটি নিউরোনের সঙ্গে সংযুক্ত। এখন গুনলে এর সংখ্যা দাঁড়ায় ট্রিলিয়নেরও বেশি। আচ্ছা ধরে নিই, প্রতিটি নিউরোন একটি করে স্মৃতি ধারণ করে, তাহলে মস্তিষ্কের স্মৃতিধারণ ক্ষমতা তা সারাজীবনেও ফুরোনোর কোনো সম্ভাবনা নেই কারো পক্ষেই তা সম্ভব না ।আমাদের শরীরের সাথে তুলনা করলে শরীরের মোট ওজনের মাত্র দু’ভাগ দখল করে আছে এই জটিল জিনিষটি । কিন্তু ক্ষমতা উৎপাদনের ক্ষেত্রে সে সবার আলাদা। আমরা যে খাদ্য গ্রহণ করি তার শতকরা ২০ ভাগ সে একাই খরচ করে।শুধু তাই নয় সে প্রতি দিন ১২.৪৫ থেকে ২৫.৫৪ ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে সেই মস্তিষ্ক ২ বছর বয়সে ৮০ ভাগ পূর্ণতা পায় এবং সেই মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার জন্য ৪০-৮০ লিটার রক্ত পরিবাহিত হয় ২৪ ঘণ্টায়। তাই এর কিছু বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে যা আজ উন্মোচন করতে যাচ্ছি, প্রথমেই কথা বলবো প্যারা সাইকোলজি নিয়ে এটি হচ্ছে এমন একটা ক্ষমতা যা হয়তো অনেক কিছুই করা সম্ভব হয়তো ৪০% এর উপরেও যেতে পারে সেই ব্রেনের ক্ষমতা কিন্তু কিভাবে তা সম্ভব ? সাইকোলজির একটা শাখা থেকে আমি রিসার্চ শুরু করি ২০১৮ থেকে এখানে কিছু অদ্ভুত ক্ষমতার কথা জানতে পারি , এ নিয়ে বেশ কিছুদিন চুলচেরা বিশ্লেষণ করলাম, এতে যা পেলাম তা অবিশ্বাস্য এবং সত্যি সম্ভব।
আমার রিসার্চে আমি যা পেয়েছি তা কিছু অংশ প্রকাশ করলাম আর কিছু অংশ রেখেদিলাম...
১.টেলিপ্যাথি :- টেলিপ্যাথি হচ্ছে কোন ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির কাছে তথ্য প্ররণের মাধ্যম যেখানে কোনো সাধারণ মাধ্যম অথবা শারীরের বাহ্যিক অঙ্গ ব্যবহার না করে কোন মেসেজ পাঠানো টেলিপ্যাথিতে শারীরিক কার্যকলাপের তেমন কোনো ভূমিকা নেই। এটি সাধারণত ব্রেনের ক্ষমতা ব্যবহার করে করা হয় যাকে অনেকে ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বা তৃতীয় নয়ন বলে থাকে।
২.প্রি রিকোগনিশান :- অর্থাৎ আগে থেকেই কোন কিছু ধারণা করা এক কথায় ভবিষ্যত বলতে পারা, অনেকেই এটা খুব সহজেই করতে পারে। , কোন কাছের মানুষ বিপদে পড়লে অনেকের মনে হয় কিছু অশুভ হতে যাচ্ছে এটা পারিবারিক অথবা কাছের মানুষ ব্রেনের সাথে একটা অদৃশ্য থট লুকিয়ে থাকে।
৩.টেলিকাইনেসিস :- অর্থাৎ কোন ধরণের শারীরিক সম্পৃক্ততা ছাড়াই কোন জিনিস নাড়ানো, খুব কাছের কোন বস্তু অথবা দূরের কোন কিছু , এর জন্য ব্রেন কে ২৪% কাজে লাগাতে হবে এবং বস্তুর উপর মস্তিষ্কের শক্তি সম্পূর্ণ ভাবে কাজে লাগাতে হবে।
৪.সাইকোমেট্রি :- কোন বস্তু, প্রাণী বা জায়গাকে স্পর্শ করে সেটা সম্পর্কে সব জেনে যাওয়া তার সমস্ত কিছু কিভাবে, কোথায় ছিলো, কিভাবে এসেছে এমন কি এখানে কি কি হয়েছিলো সব কিছু।
৫. বাইলোকেশান বা প্যারালাল কপি :-অর্থাৎ একই সময় দুই জায়গাই অবস্থান করা. একটা ব্যক্তি একি সময়ে ২ টি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে অবস্তান করছে, এটা খুব উপরের স্তরে গিয়ে করা যায়, কালেক্টিভ কনসাস মাইন্ড পাওয়ার কাজে লাগিয়ে তা করা সম্ভব।
আমার ছোট গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে হয়তো একদিন এগুলার ক্ষমতা মানুষ নামে এই আদি প্রানীর হাতে আসবে, মানুষ তো মাত্র ১০% ব্রেন কে কাজে লাগিয়ে আসছে ৩০ লক্ষ বছর ধরে, হয়তো আরো ১০% কাজে লাগাতে এই উন্নত প্রানীকে আরো ৩০ লক্ষ বছর সাধনা করতে হবে...
Post A Comment:
0 comments so far,add yours