পার্থ বসু, লেখক, হাওড়া:

বাঙালীর সবচেয়ে বড় উৎসব সমাগত। দুর্গাপূজা। 
তাই ? বৃহত্তর বাঙালী জনগোষ্ঠীর উৎসব কিন্তু ঈদ। এবং অখণ্ড বাঙালী জাতির বৃহত্তম অসাম্প্রদায়িক উৎসব বাংলা নববর্ষ।
বিষয়  যখন অন্য দুর্গা দয়ে দীর্ঘ ঊ দেব ভাবছিলাম। দুর্গা তাতে একটু জোর পেতেন হয়তো।  গায়ে গত্তি।  ব্যাকরণে বাধবে। প্রকরণে আটকাত না কিন্তু। তো এই ভনিতা থাক। বরং এই ক্যাচলাইনে চোখ রাখি -----------
মা আসছেন। আপামর বাঙালীর প্রাণের উৎসব। বাৎসরিক। 
কবে থেকে? 
বিন্ধ্যাচলের কোল বংশের রাজা সুরথ যে পূজা করেছিলেন সে তো বসন্ত কালে। শরতে এই  অকালবোধন কে করলেন? রামচন্দ্র ? বাল্মিকীর রামায়ণে উল্লেখ নেই। বনবাসের আগে পরেও অয্যোধ্যায় দেবী দুর্গা রামের পূজা পাচ্ছেন কোথাও লেখা নেই। বাংলায় এই শারদ উৎসব শুরুই হল পলাশী যুদ্ধের পর। কলকাতায় শোভাবাজারে পূজা শুরু করেন রাজা নবকৃষ্ণ। হেস্টিংকে ফারসি পড়িয়ে কালক্রমে এই রাজা খেতাব। স্বদেশীরা বলতেন বেইমানের পূজা। ইংরেজ সাহেবরা পূজায় আসতেন। বাইজী নাচত। অঢেল মদ আর মেয়েমানুষ। ফোরট উইলিয়াম কামান দাগত। বিসর্জনে বাজত আর্মি  ব্যান্ড। আমজনতা পাত্তা পেত না। মাৎস্যন্যায়। নিন্মবর্গের মানুষের অঞ্জলি দেওয়ারও অধিকার ছিল না। মৃন্ময়ী মূর্তি পুজার কথা ধরলে অবশ্য মুঘল আমলে নদীয়ার তাহেরপুর আর তারও আগে বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজাদের কথা আসে। দুটিই বাসন্তী পূজা। জাঁকজমক আর ক্ষমতা জাহিরের রাজনীতির পূজা। 
রাজা গেলেন। জমিদার গেলেন। কখন যেন বারোয়ারি পুজার একটি পরিসর তৈরি হয়ে গেল। যেন  কথাটি এ প্রসঙ্গে বিশদে যাব না বলেই বলা। দুর্গা এখন আমজনতার নাগালে। পণ্যায়নের কল্যানে এখন অনেক জৌলুষ। আপামর বাঙালীর উৎসব। 
তাই কি? আপামর ? যাদের পামর বলেছি তারা কি বলছেন একটু কান পাতি।
দুনিয়ার  অসুর এক হও। 
ঠিক এই শ্লোগানটাই তুলেছেন সুষমা অসুর , বন্দনা টেটরা। ঝাড়খণ্ড। পুরুলিয়ায়। সুষমা ঝাড়খণ্ড ভাষা সাহিত্য সমাজের মুখপাত্র। আদিবাসী শিক্ষা ও বিকাশের উপর কাজ করছেন। বিজয়া দশমীর দিনটি তারা ফী বছর পালন করছেন আদিবাসী সমাজ গৌরব বীর মহিষাসুরের স্মৃতিতে। শহীদ দিবস হিসাবে। হাতে পাঁজি মঙ্গলবার। পুরুলিয়ার দুটো ঠিকানা দিয়ে দিচ্ছি। উৎসাহীরা যোগাযোগ করতে পারেন।
১। আদি শহীদ স্মারক উৎসব মহিষাসুর স্মরণঃ ভেলাগোড়া। কাশীপুর। পুরুলিয়া। চেরিয়ান মাহাতো ০৯৯৩৩০০০৭০২কে ২। শিখর দিবস খেরবাল বির লাকচর কমিটি হুটুর দুর্গা-- আয়োজন-- ঝাপড়া। পুরুলিয়া। অজিত হেমব্রম ০৮৯৭২১১৩৫৩১ 
সুষমা আরও কি বলেছেন শুনি। সুষমার দাবী ধর্মের নামে দুর্গা পূজার নামে এই অসুর নিধনের উৎসব অচিরে বন্ধ হোক। মহিষাসুর আর রাবন শুধু অসুর নয় সারা ভারতের সব আদিবাসী সমাজের গৌরব। বর্ণ হিন্দুরা বেদ পুরাণে অসুরদের খল চরিত্রে এঁকেছেন। সত্য হল আদিবাসী সমাজ বিভেদ আর শোষণকে প্রশ্রয় দেন না। সাঁওতাল , মুণ্ডা বা অসুরদের পরম্পরাগত লোকশ্রুতি, কাহিনী এ কথা সমর্থন করে। অসুরদের গায়ে অশুভ শক্তির তকমা দেগে দেওয়া ব্রাহ্মণ্যবাদের রাজনীতি।আজ আদিবাসীরা সচেতন হচ্ছেন। এই অপমান তারা আর নীরবে সহ্য করবেন না। তারা শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সব মানুষের কাছে আবেদন রাখছেন ধর্মের নামে এই অসুর হত্যার অপরাধ থেকে বিরত হতে। 
আমাদের তো অন্য দুর্গা।
বাংলার মাটিতে এসে দেবী দুর্গা আমাদের ঘরের মেয়ে। বছরে একবার ছেলে মেয়েদের সাথে বাপের বাড়ি ঘুরে যান। মহিষাসুর বধেরর অ্যাকশন রিপ্লে করে দেখাতে হয় অবশ্য। ফ্রিজ শট। অসুর মৃতকল্প বা মৃত। দেবী অসুর বক্ষে বল্লম বিঁধেছেন বা বিঁধবেন। মুখে স্মিত হাসি। দেবী একা লড়েন নি। সাপ সিংহ সঙ্গে ছিল। স্ক্রিপ্টে ছিল না। তাই এমন কি দেব সেনাপতি কার্তিকও যুদ্ধে নেই। পোজ দিয়েছেন ক্যামেরায়।এ দুর্গা বাঙালীর অন্য দুর্গা। এ মেয়ে রাঁধে , ভোলানাথকে খাওয়ায় , চুল বাঁধে তো বটেই যুদ্ধটা অতিরিক্ত। শাস্ত্রের দুর্গা কিন্তু সবসময় লড়াই লড়াই লড়াই চাই বলে খেপে আছেন। তেমনি রাগ। পান থেকে চুন খসলেই। দেখে নিই পাতা উলটে।
পুরাণ থেকে বলছি 
হাতের কাছে তিনটে বই। জীমূতবাহনের কালবিবেক , রঘুনন্দনের অষ্টবিংশতি তত্ত্ব , শূলপাণির দুর্গোৎসব বিবেক। জীমূতবাহন স্মার্ত  পুঁথিকার। খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতকের লোক। বিহারের সহর্ষরাজ শালিবাহনের পুত্র। আর শূলপাণি নবদ্বীপের পণ্ডিত। সময়কাল খ্রিস্টীয় ৪ থ্র শতক। তিনজনেই লিখছেন-
দুর্গাপূজায় প্রধান হল আমোদপ্রমোদ। আজকের ভাষায় মস্তি। উপাচার মদ আর মেয়েমানুষ। মদ্যপান অবশ্য বিধেয়। তাঁদের ভাষ্যে-- আদিম রিপুর প্রবৃত্তি এবং অবাধ যৌনাচারের হুল্লোড় না থাকলে দেবীর প্রসাদ পাওয়া যেত না। দেবী কুপিতা হতেন।
মহাভারতের পরিশিষ্ট আর্যাস্তবেও শিখীপিচ্ছধ্বজাধরা এবং ময়ূরপিচ্ছধ্বজিনী এই দেবীর মদ ও মাংসে অপরিসীম আসক্তির কথা বলা হয়েছে।খ্রীঃ ৭ম ও ৮ম শতকের কবি বানদেব ভট্ট এবং বাকপতিও তাই জানাচ্ছেন। দেবী ছিলেন পশু ও নররক্ত পিপাসু। একাদশ শতকে কথাসরিৎসাগরের বেতাল পঞ্চবিংশতি পড়েও পাতাল ভৈরবীর বর্ণনা। কবি সোমদেব ভট্ট। দেবীর ১৮ হাত। মহিষের কাটা মুণ্ডের উপর নৃত্য করছেন। দস্যু আর ডাকাতরা দেবীর উপাসক। মারকন্ডেয় পুরাণে তো মহিষাসুর বধের আগে দেবী ব্রেক চাইলেন-- তিষ্ঠঃ তিষ্ঠঃ ক্ষণং তিষ্ঠঃ। এর পর দেবী মধু মানে মদ্য পান করে তবে----
উদ্দাম যৌবন আর অবাধ যৌনতার দেবী দুর্গা
পুরাণ তো তাই জানাল। আমাদের তো মহাকাব্য মৃত ভাষায় সাকুল্যে দুটি রামায়ণ আর মহাভারত।এবার জীবন্ত তামিল ভাষার পাঁচ মহাকাব্যের অন্যতম শিলপদ্দিকারম কি লিখছে শোনাই। এই কাব্যও খ্রীঃ ষষ্ঠ শতকের। রচয়িতা পণ্ডিত ইলাঙ্গো আডিপাল। চের সম্রাট সেঙ্গুত্তুভানের ভাই। এই কাব্য আজও তামিলনাড়ুতে সমান জনপ্রিয়। দেশে বিদেশে অভিনীত হয়েছে। সংক্ষেপে গল্পটি শুনুন।  
কারুর বা কাঞ্জাভুরের এক ধনী শ্রেষ্ঠীর কন্যা কান্নাপি। কানাক্কি নামেও ডাকা হয়। সম্পন্ন মৎস্যজীবীর পুত্র কোভালাম। আবাল্য আশৈশব প্রনয় বিবাহে পরিণতি পেল। খুব ধুমধামের সঙ্গে বিয়ে।
সুখ বেশীদিন সইল না। কোভালামের জীবনে এল তৃতীয় নারী। মাধবী। নর্তকী। লুঠ হয়ে গেল কোভালাম। সংসার গেল। এবং সম্পদ। যা ছিল সর্বস্ব গেল। সে এখন নিঃস্ব। কপর্দকহীন।
সম্বিত যখন ফিরল কোভালাম ফিরে এল কানাক্কির কাছে। কানাক্কি পতিব্রতা। কাছে টানল। 
হেথা নয় অন্য কোনখানে । নতুন জীবন শুরু করা যাক। ইচ্ছে। কিন্তু কড়ি কই? বানিজ্যের পুঁজি?
কানাক্কি নির্দ্বিধায় খুলে দিল পায়ের শিলপদ্দি। হীরা বসানো মল। ওরা মাদুরাই চলল। বহুদুর। বনান্ত  পার হয়ে যেতে হবে। পথ দুর্গম। বিপদ সঙ্কুল। 
রাতে পথে পড়ল শবর যোদ্ধারা। মারবার। যুদ্ধে যাবার আগে দেবীর পূজায় ব্যস্ত। দেবী কোররাবাই।চার হাত। শূল শঙ্খ চক্র আর অভয় মুদ্রায় শোভিত। দু পাশে দুই বাহন। সিংহ ও হরিণ। দেবীর পায়ের নীচে কর্তিত মুণ্ড মহিষ। যুদ্ধে বিজয় প্রার্থনা করল মদ্যপ যোদ্ধারা। গলা চিরে স্বরক্তে অঞ্জলি দিল।তারপর অবাধ যৌনাচারে লিপ্ত হল। এ সবই পূজার অঙ্গ।
কোভালাম কানাক্কিও ভয় পেয়েছিল বৈকি। ওরাই আশ্বস্ত করল। নিজেরা পাহারা দিয়ে পার করে দিল জঙ্গলের পথ। 
চেনা যাচ্ছে? এই দেবী এখনও পুজিতা হন। এই দুর্গা । 
প্রজনন আর ফসলের দেবী দুর্গা। শুধু দুর্গা কেন মাতৃতান্ত্রিক সমাজের সমস্ত দেবীই ছিলেন প্রজননের দেবী। এখনও দেবী দুর্গার পূজার উপচারে চোখ রাখুন। প্রতিমার সামনে জলভরা ঘট। উপরে সশীষ ডাব। মাতৃগর্ভের প্রতীক। উপরে লাল বস্ত্র। রজঃস্বলা নারীর রূপকে। চারটি কাঠির ঘের আঁতুড় বোঝাতে। ঘটে প্রাণ সঞ্চার হল। মানে গর্ভ সঞ্চার।বেল গাছে বাঁধা হচ্ছে দুটি বেল। দুটি স্তনের প্রতীক। বেল শিব। এ বন্ধন হরগৌরী মিলন বোঝায়। প্রজনন যৌনকর্মীর অঙ্গন থেকেও মাটি আনছে প্রতিমার জন্য।
বাবু কালচার  ও দুর্গা মুঘল যুগে কড়া ধর্মীয় অনুশাসনে পঞ্চ 'ম'কার রেহাই পায় নি। বারানসী বিশ্বনাথ মন্দিরের একাংশ আওরংজেব দখল করেছিলেন বটে। সুযোগ করে দিয়েছিলেন অনাচারী পুরোহিতরাই।  দেবদাসীদের নিয়ে  তাদের কেচ্ছা আজকের বটতলার পর্নোকেও হার মানাবে। ইংরাজ শাসনে বাবুরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। আগে ছিল যৌনতার উৎসব। তারাো আনলেন যৌনতার বিকার। 
ঠাকুর থাকবি কতক্ষণ?
এখন পূজায় মা মা ব্যাপার এসেছে। ম ম ব্যাপারটি তাই উধাও। সংস্কৃতে বিসর্জন কথাটি ভেঙে পাই--  বি+সৃজ+অনট। পুজ্যা দেবীর গুণাবলী যখন অন্তরে সৃজন হচ্ছে তাই বিসর্জন। প্রতিমা তখন বাহ্য্।  তাহলে সবাই কি তমসা থেকে  জ্যোতিতে উত্তীর্ণ হচ্ছি? এটি অভিপ্রায়। বাস্তবে?
চাকরি সুত্রে উত্তরপূর্বে পাহাড়ি রাজ্যে নাগাপাহাড়েও থাকতে হয়েছিল। সেখানে অন্য দুর্গা, দুর্গা সমস্টির  কথা  এবারে শোনাই। 
এমনিতেই দুর্গা পাহাড়ের মেয়ে। কৈলাস দুহিতা। একমাত্র মেঘালয় ছাড়া মাতৃতন্ত্র আর কোথাও টিকে নেই। তবে মেয়েরা ওখানে যথেষ্ট স্বাধীন, স্বাবলম্বী। ছেলেরা অলস। মেয়েরা তুলনায় পরিশ্রমী।অসুর নিধনের জন্য তাই কি দুর্গাকে বাছা? হু হু বাবা দুর্গাকে নির্মাণ করল কে? অস্ত্র দিল কে? সেই তো পুরুষ! পুরুষ তার অহং ছাড়বে কেন? সেই দাপটের গল্প প্রথমে।
গল্পটি মোককচংএর।
 আও উপজাতির বাস। পাঙ্গের আও আমার নাগা কাস্টমার। আবার বন্ধুও। তার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ মামলা শোনার সুযোগ হল। আদালতে নয়। ভিলেজ বোর্ডে। প্রধানের সমীপে। ছেলেটি বিচ্ছেদ চায়। প্রশ্নোত্তর নীচে তুলে দিলাম। প্রধান বনাম ছেলেটি । নাকি লোকটি? 
মেয়েটি তোমার যত্ন করে?
ইয়েস।
খাবার রেঁধে দেয়?
ইয়েস।
অসুখে সেবা করে?
ইয়েস।
রোজগার করে আনে?
ইয়েস। 
ছেলেমেয়ের দেখভাল করে?
ইয়েস। 
ঘর দোর গোছায় ?
ইয়েস।---
বলা বাহুল্য সব কথা চলছিল ইংরেজিতে।
শেষ প্রশ্ন-- তাহলে ডিভোর্স চাইছ কেন?
ফেড আপ উইথ দি সেম ফেস ফর লাস্ট ২০ ইয়ার্স। 
না। নাগা মেয়েটিকে অসহায় ভাববেন না। পাহাড়ি মেয়েরা অনেক বলিষ্ঠ। অনেক মনের জোর। এই গল্পটি যদি পুরুষের বহুগামিতা আর স্বেচ্ছাচারের নজির হয় তো নীচের গল্পটি শুনুন। বলে নিই নাগা ল্যান্ডে নারীর যৌন নিগ্রহ বা ধর্ষণের কাহিনী নেই। মদ্যপ নাগা ছেলেটিও পথে একা নারীকে সসম্ভ্রমে  ঘরে পৌঁছে দেবে। ওপরে পড়া ঐ মারবার যোদ্ধাদের মত। ঘটনা গত শতকের আশির বা আটের দশকের। তখন নাগা জঙ্গিপনা তুঙ্গে। রাস্তায় মাতালের ভিড়। ঘরে অস্থির মেয়েবউ।
একদিন ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল। সকালে দেখলাম তেরাস্তার বিলিতি মদের দোকানে মেয়েদের অবরোধ। সন্ধ্যায় ভাংচুর। ভাঙ্গা হল সমস্ত ভাটিখানা। পুলিশ মিলিটারি কেবল দর্শক। একা সহ্য করেছে দশে মিলে এখন তারা দুর্গা সমষ্টি। নাগাল্যান্ড সেই থেকে মদবিহীন রাজ্য।  
আর বাংলার মায়েরা মেয়েরা তো দুর্গাই। দশ হাতে সংসার সামলান। কথায় বলে বাপ মরলেও বাঁচে , মা নেই তো নাচে। বাবা মরলেও মা দুর্গার মত কিভাবে যে মানুষ করেন বাপমরা ছেলেটিকে! বর দাগী চোর। মাসের পর মাস হাজতে। তবু চোয়াল চেপে যে মা সন্তানকে মানুষ করেন তিনি দুর্গা ছাড়া আর কি? তবে তিনিও কষ্ট পান। 
মাও সে তুং বলেছিলেন একদিন বিপ্লবী হওয়া কঠিন নয়। কঠিন নিয়ত বিপ্লবী থাকা। কথাটির আদলে বলি আমাদের মেয়েদের কখনো দুর্গা হয়ে ওঠার গল্প কম নয়। নিরন্তর দুর্গা হলে সমাজ বদলে যেত। 
(তথ্যসূত্রঃ গুগল, চন্দ্রেশ্বর ভট্টাচার্য, সৌরেন্দু শেখর বিশ্বাস ও আরও অনেকে)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours