ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুরঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা ব্লকের কুলডিহা গ্রামটি বহু প্রাচীন ! এই গ্রামেরই সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমান( অবিভক্ত) জেলার প্রথম শহীদ!
গ্রামটি মূলতঃ ব্রাক্ষ্মন প্রধান! গ্রামে তিনটি পারিবারিক দুর্গাপুজো! ঘোষাল পরিবারের পুজোটি সম্ভবতঃ সবচেয়ে প্রাচীন, চট্টোপাধ্যায় পরিবারের পুজোটিও প্রাচীন!কিন্তু অপেক্ষাকৃত নবীন মুখার্জী বাড়ীর পুজো জাঁকজমকে এনেক এগিয়ে! গাঙ্গুলী পরিবারের কোন দুর্গাপুজো না থাকলেও জাঁকজমক আর জৌলুষে কালী পুজোয় মাতিয়ে রাখে সারা গ্রাম!
মুখার্জী বাড়ীর দুর্গাপুজোর পত্তন করেন এই বংশের সুসন্তান রায় বাহাদুর রামগতি মুখোপাধ্যায়, ১২৬৪ বঙ্গাব্দে! আজ থেকে ১৬২ বছর পূর্বে! সেই ইংরেজ রাজত্বে তিনি ছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ রেলওয়ের নামী ইঞ্জিনিয়ার! ইংরেজদের কাছে কৃতি ইঞ্জিনিয়ারটির সুখ্যাতি ছিল! তাই তাঁকে রায় বাহাদুর খেতাব দেওয়া হয়!
মুখার্জীবাড়ীর দুর্গাপুজোর বৈশিষ্ঠ, পুজো চারদিন একান্নবর্তী পরিবারে পরিনত হয়!অষ্টমীর সন্ধিক্ষনে একটি সাদা ছাগ বলি দেওয়া হয়! নবমীতে প্রথম আখ পরে একটি মেষ অর্থাৎ ভেড়া ও পরে ছাগ বলি দেওয়া হয়!
পুর্বে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে পংতি ভোজের ব্যাবস্হা থাকলেও বর্তমানে শুধুমাত্র নবমীতে পংতি ভোজের ব্যবস্হা থাকে!
Post A Comment:
0 comments so far,add yours