ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুরঃ      বর্তমান   ঢাকার  বিক্রমপুর থেকে  ৩৫০ বছর  পূর্বে চট্টোপাধ্যায়  পদবীধারী  একটি  পরিবার  চলে  আসেন  বর্তমান  পশ্চিম  বঙ্গের  পুর্ব বর্ধামান ( তখন  অবিভক্ত  বর্ধমান) জেলার  দাঁইহাটে! বসতি  স্হাপন  করলেন  গঙ্গা নদীর  তীরে! এর  কারন  তাঁদের  ছিল  কাঠের  ব্যাবসা! নদীপথে  কাঠ  আমদানি  রপ্তানী  ছিল  সুবিধাজনক! কিন্তু  কোন  অঞ্জাত  কারনে  এই  পরিবারের  কর্তা  বসন্ত রঞ্জন  চট্টোপাধ্যায়  দাঁই হাট  থেকে স্বপরিবারে চলে  আসেন  বাঁকুড়া  জেলার  পখন্নার  জগন্নাথপুরে  গ্রামে! ইতিমধ্যে বসন্ত রঞ্জনের  মৃত্যৃ  হয়েছে! তাঁর  পুত্র  গোপীনাথ  চট্টোপাধ্যায়ের  সাথে  সেই  গ্রামের  সদগোপ  জমিদারের  মনোমালিন্য  হওয়ায়! গোপীনাথ  চট্টোপাধ্যায়  দামোদরের  দক্ষিন  তীরে  নডিহা গ্রামে  বসবাস  শুরু  করেন! কন্তু  ভয়ঙ্কর  বন্যার  কারনে  বর্তমান  গোপীনাথপুরের  জায়গাটি  সহ  দুর্গপুরের  বিস্তির্ন  এলাকাটি  বর্ধামানের  মহারাজের  নিকট   বার্ষিক খাজনার  বিনিময়ে জমিদারি  পান! তাঁর  নামানুসারেই  মৌজার  নাম  করন  হয়  লাট  গোপানাথপুর!

               গোপীনাথ  চট্টেপাধ্যায়ের  জ্যেষ্ঠ পুত্র  নন্দ দুলাল  বিষয়ী  না হলেও  কনিষ্ঠ পুত্র  দুর্গাচরন  অত্যন্ত  বিষয়ী  ছিলেন! তাঁর  নামেই  বর্তমান  দুর্গাপুর  শহরের  নাম  করন  হয়েছে!
              প্রায় তিনি বছর  বাহ্ দুর্গাচরন  তাঁর  পরিবারের  কূলদেবী  মা  কালী  ও দুটি  শিব  লিঙ্গের  প্রতিষ্ঠা  করেন! মা  কালীর  মন্দিরের  দু'পাশে দুটি  শিব  মন্দির! এই  চট্টোপাধ্যায়  পরিবারের  মা  কালী  দক্ষিন  বাহিনী  নন, উত্তর বাহিনী  অর্থাৎ  মায়ের উত্তর দিকে  মুখ !
         
মায়ের  পাষান  মূর্তি! প্রতি  অমাবশ্যায়  ছাগ  বলি  দেওয়া  হয়! মায়ের  নিত্য   অন্ন ভোগ  হয়! পঞ্চব্যাঞ্জন  সহ  মাছের  ভোগ  দিতে  হয় ! মায়ের  ভোগে  পরমান্নও  দেওয়া! জমিদারী  না থাকলেও  হয়তো  জৌলুষ  কমেছে  কিন্তু  আজও  গোপীনাথ পুরের  চ্যটার্জী বাড়ীতে কুলদেবী  মা  কালী  নিত্য  পুজিতা  হচ্ছেন!


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours