ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুরঃ কালী পুজোর রাতে অমাবশ্যায় নয়, পরদিন দিবালোকে রাজকুসুম জঙ্গলে ' প্রতিমার' পুজা হয় সাড়ম্বরে!
পানাগড় সামরিক বিমান বন্দরের পাশেই রাজকুসুম জঙ্গল!পূর্বে এলাকাটি ছিল ঘন বন জঙ্গলে পূর্ন পাশে এটি ছোট্ট গ্রাম রাজকুষুম!প্রায় তিন'শ বছর পূর্বে জঙ্গলে ডাকতরা কালী পুজো করতো! সেই কালী মায়ের পুরোহিত ছিলেন গোপালপুর গ্রামের জয় গোপাল ভট্টাচার্য্য!
জয় গোপাল বয়সের ভারে রাজকুসুম যেতে অসুবিধা হওয়ায়! মা কালীর কাছে কাতর মিনতি করায় দেবী তাঁকে স্বপ্না দেশ দেন যে তাঁর বাড়ীতেই পুজা নেবেন! জয় গোপাল ভট্টাচার্য্য বাড়ীতে দেবীর প্রতিষ্ঠা করে পুজা শুরু করেন! দেবী এখানে বড় কালী নামে খ্যাতা!
এর পর বনকালী পুজার দ্বায়িত্ব গ্রহন করেন রাজকুসুমের উগ্রক্ষত্রিয় রায় পরিবার! এই রায় পরিবার থেকে ভোগের সামগ্রী গেলে তবে গোপালপুরের বড় কালীর পুজা হয়! বড় কালীর নিশি পুজার পরদিন বনকালীর পুজা হয়!
বনকালী মায়ের কোন মন্দির নেই একটি মহূয়া গাছের নীচে পুজা হয়! নেই কোন মন্দির! পরিবারের দু -এক জন মন্দির নির্মানের চেষ্টা করায় হঠাৎ মারা যাওয়ায় আর কেউ চেষ্টা করেন নি!
বনকালী মাকে নিয়ে নানা কিংবদন্তী প্রচলিত! মহুয়া গাছের নিচে পুজা হলেও সেই গাছে ও পাশাপাশি শাল গাছের পাতায় ও গাছের কান্ডে মায়ের ' ত্রিনয়ন ' ফুটে ওঠে!
দেবীর পুজার সমস্ত সরঞ্জাম রাজকুমুরের বড় মা কালীর সেবায়েত মুখার্জীরা সরবরাহ করেন! পুজোয় পৌরহিত্যও করেন!
রায় পরিবার দুটি ছাগ বলি দেন! মানতের প্রায় ১৫/১৬ টি ছাগ বলি হয়!
দিলা মায়ের পুজোয় বহু ভক্ত সমাগম ঘটে! মায়ের নিত্য পুজাও হয়!
Post A Comment:
0 comments so far,add yours