সহেলী চক্রবর্তী, ফিচার রাইটার, কলকাতা:
দেশভাগ কত মায়ের কোল খালি করে দিয়েছে, কত পরিবার ভেসে গেছে। ছিন্নমূল বাঙালি অজানার সন্ধানে পাড়ি দিয়ে কেউ মাথা গুঁজেছে এই বাংলায়, কেউ দণ্ডকারণ্যে বা অন্যান্য জায়গায়, অনেকে পথেই হেরে গেছে জীবন যুদ্ধে। সত্তরটা বছর কেটে গেছে দেশভাগের৷ নিঃস্ব, ছিন্নমূল বাঙালি তিল তিল করে মাথা গোঁজার ঠাঁই করেছে, কেউ বা ব্যবসা করছে, কেউ চাকরিতে। দেশভাগের ক্ষত অনেকটা মুছে গেছিল।
কিন্তু আজ, বাঙালির শত্রুদের খোঁচায় বাঙালির পুরানো ঘা টা আবার দগদগে হয়ে উঠেছে। আবারও ভেসে যাচ্ছে কত বাঙালি পরিবার, আজও বাঙালিকে লাশ গুনতে হচ্ছে। বাঙালির শত্রুদের এন আর সি চক্রান্তে আজ বাঙালিকে আবারও উদ্বাস্তু, রাষ্ট্রহীন হওয়ার আতঙ্ক গ্রাস করছে।
উমারানী মুখার্জী, বয়স, ৬৪, দেশভাগের পর ওপার বাংলা থেকে এসে পরিবারের বাস পশ্চিম বর্ধমানের চিত্তরঞ্জনে। গরীব বাঙালি পরিবার, কোনো মতে সেলাই করে দিন চলে। উমারানীর ভোটার কার্ড আছে, জন্মতারিখ লেখা নেই, যেটা অনেকেরই সমস্যা৷ আধার কার্ড করা হয়ে ওঠেনি। এখন আধার কার্ডের লম্বা লাইন। এদিকে আবার বাঙালির শত্রুরা এন আর সি গুজব ছড়িয়েছে৷ আতঙ্কে ভুগছিলেন তিনি। আতঙ্ক-উদ্বেগ কেড়ে নিল এক বাঙালি বৃদ্ধা মা উমা রানীর প্রাণ, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল তাঁর।
এটা খুন৷ বাঙালি বিরোধীরা তাঁকে খুন করল। একটা মা কে খুন করল।
পশ্চিম বর্ধমান বাংলা পক্ষর আজ পৌঁছে গেছিল উমারানী মুখার্জীর বাড়িতে, কথা হল পরিবারের সদস্যদের সাথে। বাংলা পক্ষ এন আর সি র ধ্বংস চায়, এই খুনের বদলা চায়। বাংলা পক্ষ এন আর সি র কারণে বিপদে পড়া সব বাঙালির পাশে থাকবে৷ আমরা কোনো বাঙালি নারীর চোখের জল পড়তে দেব না। বঙ্গ বীরাঙ্গনারা লড়ছে, সব বাঙালি নারীদের পাশে চাই।
আসুন, আমরা লড়ছি, আমরা লড়ব, আমরা জিতব৷ আমরা এন আর সি ধ্বংস করব। আমরা কোনো বাঙালিকে রাষ্ট্রহীন হতে দেব না।
দেশভাগ কত মায়ের কোল খালি করে দিয়েছে, কত পরিবার ভেসে গেছে। ছিন্নমূল বাঙালি অজানার সন্ধানে পাড়ি দিয়ে কেউ মাথা গুঁজেছে এই বাংলায়, কেউ দণ্ডকারণ্যে বা অন্যান্য জায়গায়, অনেকে পথেই হেরে গেছে জীবন যুদ্ধে। সত্তরটা বছর কেটে গেছে দেশভাগের৷ নিঃস্ব, ছিন্নমূল বাঙালি তিল তিল করে মাথা গোঁজার ঠাঁই করেছে, কেউ বা ব্যবসা করছে, কেউ চাকরিতে। দেশভাগের ক্ষত অনেকটা মুছে গেছিল।
কিন্তু আজ, বাঙালির শত্রুদের খোঁচায় বাঙালির পুরানো ঘা টা আবার দগদগে হয়ে উঠেছে। আবারও ভেসে যাচ্ছে কত বাঙালি পরিবার, আজও বাঙালিকে লাশ গুনতে হচ্ছে। বাঙালির শত্রুদের এন আর সি চক্রান্তে আজ বাঙালিকে আবারও উদ্বাস্তু, রাষ্ট্রহীন হওয়ার আতঙ্ক গ্রাস করছে।
উমারানী মুখার্জী, বয়স, ৬৪, দেশভাগের পর ওপার বাংলা থেকে এসে পরিবারের বাস পশ্চিম বর্ধমানের চিত্তরঞ্জনে। গরীব বাঙালি পরিবার, কোনো মতে সেলাই করে দিন চলে। উমারানীর ভোটার কার্ড আছে, জন্মতারিখ লেখা নেই, যেটা অনেকেরই সমস্যা৷ আধার কার্ড করা হয়ে ওঠেনি। এখন আধার কার্ডের লম্বা লাইন। এদিকে আবার বাঙালির শত্রুরা এন আর সি গুজব ছড়িয়েছে৷ আতঙ্কে ভুগছিলেন তিনি। আতঙ্ক-উদ্বেগ কেড়ে নিল এক বাঙালি বৃদ্ধা মা উমা রানীর প্রাণ, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল তাঁর।
এটা খুন৷ বাঙালি বিরোধীরা তাঁকে খুন করল। একটা মা কে খুন করল।
পশ্চিম বর্ধমান বাংলা পক্ষর আজ পৌঁছে গেছিল উমারানী মুখার্জীর বাড়িতে, কথা হল পরিবারের সদস্যদের সাথে। বাংলা পক্ষ এন আর সি র ধ্বংস চায়, এই খুনের বদলা চায়। বাংলা পক্ষ এন আর সি র কারণে বিপদে পড়া সব বাঙালির পাশে থাকবে৷ আমরা কোনো বাঙালি নারীর চোখের জল পড়তে দেব না। বঙ্গ বীরাঙ্গনারা লড়ছে, সব বাঙালি নারীদের পাশে চাই।
আসুন, আমরা লড়ছি, আমরা লড়ব, আমরা জিতব৷ আমরা এন আর সি ধ্বংস করব। আমরা কোনো বাঙালিকে রাষ্ট্রহীন হতে দেব না।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours