Gan manobik proyoge nitike atkano hoyeche
জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা:

সম্ভবতঃ সি আই টি ইউ এর পঞ্চম সম্মেলন, উত্তর প্রদেশে কানপুরেই হচ্ছিলো, যতদূর মনে । সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনেই ভয়ংকর ঝড় হয়েছিল। সেই সম্মেলনে ডাব্লু এফ টি ইউ এর সম্পাদক মন্ডলীর প্রধান সম্পাদক এসেছিলেন। ---- ইতিমধ্যে সোভিয়েতে ব্রেজনেভ শাসন, বুঝে নিয়েছিলেন, ভারতে উভয় সাম্যবাদী দলকে সাথে নিয়েই চলতে হবে। ১৯৭৭ পর্য্যন্ত যাদের মান্যতা দেওয়া হয়েছিল, তাদের নির্বাচনে ভরাডুবির পর, সেই নীতিতে যে আর চলা সম্ভব ছিলো না, সেটা স্পষ্টই হয়ে গিয়েছিলো।

---- কাজেই সেই সম্মেলনের পূর্বেই ডাব্লু এফ টি ইউ এর প্রস্তাব এসে গিয়েছিলো, সি আই টি ইউ যাতে সেই বিশ্ব সংস্থায় যোগ দেন। এবারে অন্যতম প্রধান শ-শরীরে এসে সরাসরি, সি আই টি ইউ এর জেনারেল কাউন্সিলে প্রস্তাবটা রাখতে চাইলেন।

সাধারনভাবে সাহেব দেখলেই, চোখ চক চক করে। তার উপরে সোভিয়েত দেশের সাহেব।  সেদিন সেই নেতার ভাষন এবং যুগপদ তর্জমা যেভাবে শুনেছিলাম , তাতে মোহিত হয়েছিলাম।

------ সাধারনতঃ বলতে চাইলে অনুমোদন পেয়ে যেতাম। বলতে গিয়ে, সরাসরি না হলেও, ইংগিতে বুঝিয়ে দিলাম, যেন 'এ তো এক উত্তম প্রস্তাব।

আর যায় কোথায়,

-----   কমরেড বি টি আর এর মুখে কিন্তু তখনো সেই টুকরো হাসিটা লাগানো, কিন্তু চোখ থেকে যেন আগুন বেড়িয়ে আসছিলো।বুঝে উঠতে পারছিলাম না, কোন দোষ হয়ে গেলো। সোভিয়েত পরিচালিত বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়ন আমাদের স্বিকার করছে, তা স্বিকার ইংগিত দিয়েছি তাতে আবার কী দোষ হোল।

ক্রমে যেভাবে বুঝেছি, সাধারাব শিক্ষার সাথে জ্ঞানের এবং জ্ঞানের গতানুগতিক ধারার সাথে সমাজ বিজ্ঞানের সাথে যুক্ত জ্ঞানের এক বিপুল তফাত রয়েছে । তখনই বুঝেছিলাম জ্ঞানটা জীবনবোধ এবং সৃজনীর পরতে পরতে নির্মান হয়। সেখানে বিদ্যালয় শিক্ষা, সেই জ্ঞানের একটা প্রাথমিক ভিত্তি মাত্র।

যাইহোক। সেই সম্মেলনের পর, কমরেড বি টি আরো বছর কুড়ি বেচে ছিলেন। সেখানে সোভেয়েত নিয়ন্ত্রিত বিশ্ব ফেডারেশনের সাথে সম্পর্ককে মধুর রাখতে কোন রকম ত্রুটী রাখেন নাই । অনুরুপভাবে, তিনি চিনের ইউনিয়নের সাথেও সম্পর্ককে নিবিড় করতে পরামর্শ দিয়েছেন।

-------- সমাজ বিজ্ঞানের সঠিক প্রশিক্ষন, কিভাবে সামাজিকভাবেই একটা প্রাতিষ্ঠানিক সত্বা নির্মান করে দেয় এবং সেই সত্বা কিভাবে আন্তর্জাতীক সন্তুলনেও অনুকুল পরিস্থিতি নির্মান করতে পারে, সেটা এই লেখক নিজের জীবনে এবং ইস্পাত ফেডারেশানের নির্মানের সময়ে দেখেছেন। ১৯৮২ সালে দুর্গাপুরে মাটিতে সেই  অনুষ্ঠানে, যে আন্তর্জাতীক ঘটনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল,   তা দুর্গপুরের ইউনিয়ন, নবগঠিত ফেডারেশন এবং    জীবন রায়ের জীবনে সে এক বিপুল গৌরব হিসেবে  থেকে যাবে।

-----   সেই  প্রতিষ্ঠা সম্মেলনে ইস্পাত ফেডারেশন গঠিত হয়েছিল , যেখান  জীবন রায় প্রতিষ্ঠাতা  সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন, সেখানেই, পূর্বেকার ত্রিশ বছরের ইতিহাসে,  প্রথমবার  চিন এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের ট্রেড ইউনিয়ন প্রথম এক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

এতো সময় বিষয়ের গৌর চন্দ্রিকাটুকু রাখতেই লেগে গেলো----

------- সে কালে কমরেড বি টি আর যদি তখনো পর্য্যন্ত জীবনে একবারো বিদেশে না গিয়ে, বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়ন সন্তুলনকে এক পলকে নিজের কড়ে আংগ্ললে নিয়ে থাকেন, যিনি সেটা পেরেছেন,তার গল্প করা থেকেও সর্বাত্মক একতার দিকে যদি বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনকে টেনে আনতে হয়, তার জন্য সারা বছর, এরোপ্লেনে দেশ থেকে দেশান্তরে এবং শহর থেকে শহরে ঘুরে ফিরতে হয় না।

------   যেটা প্রয়োজন, তা হোল বিশ্ব ইতিহাসের অতীত থেকে বর্তমানে পৌছে, ভবিষ্যতের একটা দিক রেখা ঠেনে, বর্তমানের কর্মনীতিটি ঠিক করে নেওয়া। বুঝে নিতে হয়, তিনি যখন ঠিক করলেন -- কোন বিশ্ব সংগঠনে আর যোগ দেওয়া নয়,

-------   এখন প্রথমে বিশ্ব শ্রমিক আন্দোলনে, ভারতের শ্রমিক শ্রেনী উপস্থিতি রাখার জন্য নিজেকে গড়ে পিটে নেওয়ার বিষয়ে প্রথমে গুরুত্ব দিতে হচ্ছে, তারপর ঘোরোয়া আনোলনের সাথে বিশ্ব আন্দোলনের যোগসুত্রটি স্পষ্ট করতে হবে।

এখুন দেখুন, জীবন রায় যে দলে আছেন কিংবা ছিলেন, যে ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রে এখনো কাজ করছেন - তারা প্রথমেই একটা নীতি নিলেন ---- বয়স হলেই ছুটী দিতে হবে, আর বয়সের যৌবনে নেতা ঠিক হবে, কিন্তু ধারাবাহিকতার গ্যাপ মেটানোর জন্য

------- জ্ঞান, সৃজনী এবং প্রয়োগের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন 'শূণ্য'  । কী ঘটে গেছে বিগত সত্তোর বছরে, এসব নেতাদের ধারনাই নেই। যে প্রজন্ম দায়ীত্ব নিচ্ছে বয়সের যৌবনের নামে (ক) স্বাধীনতা আন্দোলন পায় নাই (খ) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে স্তালিন কিংবা লাল ফৌজের বিজয় পায় নাই (গ) দেশ বিভাজন এবং বিশ্বের সর্ব্বৃহত মাইগ্রেশান পায় নাই (ঘ) দাংগায় কিভাবে কোলকাতায় হিন্দু কমরেডরা মুসলমান হত্যাকে, আর ঢাকায় হিন্দু বাচাতে মুসলমান কমরেডদের খুন হতে দেখে নয়াই।(ঙ) ভিয়েতনাম যুদ্ধে ইন্দোচিনের মানুষের মরনপন সংগ্রাম দেখে নাই । (চ) ক্রুশ্চেভের আবির্ভাবের পূর্বে স্তালিনের মৃত্যু  জানে না এবং ক্রশ্চেভবাদ কেমন করে বারতের ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনে বিভেদের কারন হোল, সেটা দেখে নাই। (ছ) চিন -রাসিয়া বিরোধ দেখে নাই (জ) দেখে নাই ভিয়েতনাম-চিনের যুদ্ধাবস্তা। (জ) বাংলার সেমি ফ্যাসিবাদের পরিপ্রেক্ষিত হিসেবে বুর্জোয়া জমিদার রাষ্ট্রের সংকৎ (ঝ) জানে না, ইন্দোনেশিয়ায় দু'দিনে , সৈনবাহিনীর লোক সমেত কয়েল লক্ষ মানুষকে হত্যার ঘটনা (ঞ) চিলির নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট, আলেন্দের হত্যা

----  ইত্যাদি প্রতিটি ঘটনার যুক্তিনিষ্ঠ মূল্যায়ন এবং একের সাথে অন্যের মালা গাথতে গিয়ে যে কেন সর্বজ্ঞানে্র সম্মেলন ঘটাতে হয় সেসব ধারনাই চলে গেছে।

যদি বলে থাকি কমরেড বি টি আর এর কোন বিকল্প আসলো না কেন? জীবন রায়ের যে বোধ এখন বিদ্যমান, তাকে সেই স্তরে উঠে আসতে, অন্ততঃ একশ' বছর,।

---- বুঝে নিন, আমি অনেক সময় স্ত্রী চৈতালীকে বলি, "তুমি যদি আমার সাথে ২২ বছর থেকে থাকো, তবে যেনে রেখো, আমার হিসেবে এটা ২২ঃ২০০।

কাজেই শুধু ট্রেড ইউনিয়ন নয়, দলটাও ক্রমে, শারিরীক ক্ষুদা নিবৃত্তির মধ্যেই চিন্তন মুক্তির সর্ত খুজে বেড়াচ্ছেন।

এখন শেষ কিছু কথা বলেই আজকের লেখাটা শেষ করে দিঃ

QUESTION IS, IF THE HISTORY MEANT THE STRUGGLE BETWEEN TWO CLASSES, IN THE POLITICS REPRESENTING DIFFERENT CLASSES

---- HOW IS THE CO-RELATIONS  BETWEEN KNOWLEDGE AND CREATIVITY TOGETHER  IS BALANCED WITH GROUND CONFLICT.

পূর্বের আলোচনা গুলি থেকে যেটা বূঝে নিতে হবেঃ

ইতিহাসটা যদি খন্ড খন্ড স্থরে বিভিক্ত হয়ে  জোড়া  লেগে  অখন্ড ইতিহাস নির্মিত হয়,

তখন জ্ঞানটি কিন্তু অখন্ড। সেখানেই ইতিহাসের সংঘাতের উপাদানের সাথে - জ্ঞান-সৃজনীর সাথে সংঘাত বাড়ে বাড়ে আসে। সেই সংঘাতে প্রতিবার

------ যেমনভাবে জ্ঞান-সৃজনীর যুগল বন্দি সংখ্যবৃত্ত্বের উচু বৃত্তে উঠে আসার সুযোগ পায়, ইতিহাস নিজেও, পুরাতনের আস্তরন ভেঙ্গে উপরের বৃত্তে উঠে আসে।

আগের লেখায় ইতিহাসের যে চারটি স্তরের কথা বলা হয়েছে সেগুলিকে যদি নিম্ন লিখিত ভাবে পড়া হয়, তখন বুঝা যাবে

----- দুটি শ্রেনীর রাজনৈতিক সংঘাতের নিয়ন্ত্রক, জ্ঞান-সৃজ্নীর যুগল বন্দী বনাম অতিপ্রাচীনত্ব

দ্বন্দ্বগুলিকে এবারে নিম্ন লিখিত উপায়ে পড়লেই সবটা স্পষ্ট হয়ে যায়

(১) দাসত্বঃ একদল লোক বাকি জনগনকে বোকা এবং বিবষ করে লুঠ করা

(২) সামন্ত বা অন্ধকারের কালঃ একদল লোক জমির মালিকানাকে হাতে রেখে বাকি মানুষকে বোকা এবং বিবষ রেখে অন্যদের লুন্ঠন করে।

(৩) পুজিতন্ত্রঃ কিছু মানুষ পুজিকে কব্জায় রেখেঃ বাকি মানুষকে লুঠ করতে , নিজ নির্মিত রেনেশা তো বটেই - মানবিক সৃজন যোগ্যতার সব কিছু ধ্বংস করে দেয়।

(৪)  সকল মানুষ, এক হয়ে, ইতিহাসের সব জ্ঞান এবং সৃজনীকে আয়ত্ব করে, সমাজতন্ত্রের নামে, শোষনের সব কাঠামো ভেংগে দেয়, রাষ্ট্রহীন,দলহীন ব্যবস্থা বা চিন্তনের পূর্ণ স্বাধীনতা আদায় করে দেয়।

LAST ANSWER COMES LIKE THIS;

যতদিন সোভিয়েত ইউনিয়ন বর্তমান ছিলো, ততদিন মানবিক বিজ্ঞানকে ফ্রয়েড থেকে, উঠিয়ে এনে  পুজিতন্ত্রের সর্বোচ্চ ধাপের সামাজিক কার্য্যকারন সম্পর্ক নিয়ে গবেষনা করতে গিয়ে, একদিকে বিদ্যালয় শিক্ষাকে, জ্ঞান-সৃজনীর পথে, শ্রেনী সংগ্রাম পর্যন্ত পৌছে দিয়েছিলেন,

অন্যপ্রান্তে, তাতে সৃজনীতে বদলে দিয়ে

------ সোভিয়েতকে বিশ্ব শক্তিতে বদলে দিয়েছিলেন।

এর মধ্যেই যে ত্রুটীটা থেকে গিয়েছিলো এবং কমরেড বি টি আর ঠিক

চিহ্নিত করে ফেলেছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন, সোভিয়েত ব্যবস্থার বিশাল বিপুল উন্নতি হলেও

-----   শ্রমজীবী মানুষের শ্রেনী সংহতির প্রশ্নে, কারখানা বা অফিস গেটে, কিংবা খনি মুখে সৃজনীর সাথে জ্ঞানের সন্তুলনে বিরাট ঘাটতি থেকে গিয়েছিলো। তাই তিনি সোভিয়েত পরিচালিত বিশ্ব সংস্থার উপরে বিশ্বাস  রাখতে পারেন নাই।

SOVIET DID COLLAPSE WHEN COMRADE BTR WAS NO MORE:

এবারে খেলাটা জমে গেলো আরো ভালো ভাবে। শ্রেনী সংহতির কাজ ছেড়ে দিয়ে, যেসব শ্রেনীহীন নেতারা এককালে,  কারখানার ক্ষমতায় লম্ফ ঝম্ফ করতেন, তারাই কার্য্যতঃ পালাতে শুরু করলেন

------ এরোপ্লেনে বসে এক শহর থেকে অন্য শহরে বুঝিয়ে গ্যালেন

----    পয়সাই জীবনের স্বর্গ । পেটের ক্ষুদাতেই নাকি চিন্তার মুক্তি।

ভয় পাওয়ার কারন নেই।

এটাই নিয়ম। উঠে দাড়াতে হবে।

চিন্তায়, চেতনায় এবং একতায়

শ্রমীকদের সাথে মানুষের একতা

বাড়াতে হবে। (ক্রমশ) উত্তরের প্রয়োগে জ্ঞান-মানবিক  নীতিকে আটকানো হয়েছে (অংশ চৌত্রশ)

জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা:

সম্ভবতঃ সি আই টি ইউ এর পঞ্চম সম্মেলন, উত্তর প্রদেশে কানপুরেই হচ্ছিলো, যতদূর মনে । সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনেই ভয়ংকর ঝড় হয়েছিল। সেই সম্মেলনে ডাব্লু এফ টি ইউ এর সম্পাদক মন্ডলীর প্রধান সম্পাদক এসেছিলেন। ---- ইতিমধ্যে সোভিয়েতে ব্রেজনেভ শাসন, বুঝে নিয়েছিলেন, ভারতে উভয় সাম্যবাদী দলকে সাথে নিয়েই চলতে হবে। ১৯৭৭ পর্য্যন্ত যাদের মান্যতা দেওয়া হয়েছিল, তাদের নির্বাচনে ভরাডুবির পর, সেই নীতিতে যে আর চলা সম্ভব ছিলো না, সেটা স্পষ্টই হয়ে গিয়েছিলো।

---- কাজেই সেই সম্মেলনের পূর্বেই ডাব্লু এফ টি ইউ এর প্রস্তাব এসে গিয়েছিলো, সি আই টি ইউ যাতে সেই বিশ্ব সংস্থায় যোগ দেন। এবারে অন্যতম প্রধান শ-শরীরে এসে সরাসরি, সি আই টি ইউ এর জেনারেল কাউন্সিলে প্রস্তাবটা রাখতে চাইলেন।

সাধারনভাবে সাহেব দেখলেই, চোখ চক চক করে। তার উপরে সোভিয়েত দেশের সাহেব।  সেদিন সেই নেতার ভাষন এবং যুগপদ তর্জমা যেভাবে শুনেছিলাম , তাতে মোহিত হয়েছিলাম।

------ সাধারনতঃ বলতে চাইলে অনুমোদন পেয়ে যেতাম। বলতে গিয়ে, সরাসরি না হলেও, ইংগিতে বুঝিয়ে দিলাম, যেন 'এ তো এক উত্তম প্রস্তাব।

আর যায় কোথায়,

-----   কমরেড বি টি আর এর মুখে কিন্তু তখনো সেই টুকরো হাসিটা লাগানো, কিন্তু চোখ থেকে যেন আগুন বেড়িয়ে আসছিলো।বুঝে উঠতে পারছিলাম না, কোন দোষ হয়ে গেলো। সোভিয়েত পরিচালিত বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়ন আমাদের স্বিকার করছে, তা স্বিকার ইংগিত দিয়েছি তাতে আবার কী দোষ হোল।

ক্রমে যেভাবে বুঝেছি, সাধারাব শিক্ষার সাথে জ্ঞানের এবং জ্ঞানের গতানুগতিক ধারার সাথে সমাজ বিজ্ঞানের সাথে যুক্ত জ্ঞানের এক বিপুল তফাত রয়েছে । তখনই বুঝেছিলাম জ্ঞানটা জীবনবোধ এবং সৃজনীর পরতে পরতে নির্মান হয়। সেখানে বিদ্যালয় শিক্ষা, সেই জ্ঞানের একটা প্রাথমিক ভিত্তি মাত্র।

যাইহোক। সেই সম্মেলনের পর, কমরেড বি টি আরো বছর কুড়ি বেচে ছিলেন। সেখানে সোভেয়েত নিয়ন্ত্রিত বিশ্ব ফেডারেশনের সাথে সম্পর্ককে মধুর রাখতে কোন রকম ত্রুটী রাখেন নাই । অনুরুপভাবে, তিনি চিনের ইউনিয়নের সাথেও সম্পর্ককে নিবিড় করতে পরামর্শ দিয়েছেন।

-------- সমাজ বিজ্ঞানের সঠিক প্রশিক্ষন, কিভাবে সামাজিকভাবেই একটা প্রাতিষ্ঠানিক সত্বা নির্মান করে দেয় এবং সেই সত্বা কিভাবে আন্তর্জাতীক সন্তুলনেও অনুকুল পরিস্থিতি নির্মান করতে পারে, সেটা এই লেখক নিজের জীবনে এবং ইস্পাত ফেডারেশানের নির্মানের সময়ে দেখেছেন। ১৯৮২ সালে দুর্গাপুরে মাটিতে সেই  অনুষ্ঠানে, যে আন্তর্জাতীক ঘটনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল,   তা দুর্গপুরের ইউনিয়ন, নবগঠিত ফেডারেশন এবং    জীবন রায়ের জীবনে সে এক বিপুল গৌরব হিসেবে  থেকে যাবে।

-----   সেই  প্রতিষ্ঠা সম্মেলনে ইস্পাত ফেডারেশন গঠিত হয়েছিল , যেখান  জীবন রায় প্রতিষ্ঠাতা  সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন, সেখানেই, পূর্বেকার ত্রিশ বছরের ইতিহাসে,  প্রথমবার  চিন এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের ট্রেড ইউনিয়ন প্রথম এক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

এতো সময় বিষয়ের গৌর চন্দ্রিকাটুকু রাখতেই লেগে গেলো----

------- সে কালে কমরেড বি টি আর যদি তখনো পর্য্যন্ত জীবনে একবারো বিদেশে না গিয়ে, বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়ন সন্তুলনকে এক পলকে নিজের কড়ে আংগ্ললে নিয়ে থাকেন, যিনি সেটা পেরেছেন,তার গল্প করা থেকেও সর্বাত্মক একতার দিকে যদি বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনকে টেনে আনতে হয়, তার জন্য সারা বছর, এরোপ্লেনে দেশ থেকে দেশান্তরে এবং শহর থেকে শহরে ঘুরে ফিরতে হয় না।

------   যেটা প্রয়োজন, তা হোল বিশ্ব ইতিহাসের অতীত থেকে বর্তমানে পৌছে, ভবিষ্যতের একটা দিক রেখা ঠেনে, বর্তমানের কর্মনীতিটি ঠিক করে নেওয়া। বুঝে নিতে হয়, তিনি যখন ঠিক করলেন -- কোন বিশ্ব সংগঠনে আর যোগ দেওয়া নয়,

-------   এখন প্রথমে বিশ্ব শ্রমিক আন্দোলনে, ভারতের শ্রমিক শ্রেনী উপস্থিতি রাখার জন্য নিজেকে গড়ে পিটে নেওয়ার বিষয়ে প্রথমে গুরুত্ব দিতে হচ্ছে, তারপর ঘোরোয়া আনোলনের সাথে বিশ্ব আন্দোলনের যোগসুত্রটি স্পষ্ট করতে হবে।

এখুন দেখুন, জীবন রায় যে দলে আছেন কিংবা ছিলেন, যে ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রে এখনো কাজ করছেন - তারা প্রথমেই একটা নীতি নিলেন ---- বয়স হলেই ছুটী দিতে হবে, আর বয়সের যৌবনে নেতা ঠিক হবে, কিন্তু ধারাবাহিকতার গ্যাপ মেটানোর জন্য

------- জ্ঞান, সৃজনী এবং প্রয়োগের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন 'শূণ্য'  । কী ঘটে গেছে বিগত সত্তোর বছরে, এসব নেতাদের ধারনাই নেই। যে প্রজন্ম দায়ীত্ব নিচ্ছে বয়সের যৌবনের নামে (ক) স্বাধীনতা আন্দোলন পায় নাই (খ) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে স্তালিন কিংবা লাল ফৌজের বিজয় পায় নাই (গ) দেশ বিভাজন এবং বিশ্বের সর্ব্বৃহত মাইগ্রেশান পায় নাই (ঘ) দাংগায় কিভাবে কোলকাতায় হিন্দু কমরেডরা মুসলমান হত্যাকে, আর ঢাকায় হিন্দু বাচাতে মুসলমান কমরেডদের খুন হতে দেখে নয়াই।(ঙ) ভিয়েতনাম যুদ্ধে ইন্দোচিনের মানুষের মরনপন সংগ্রাম দেখে নাই । (চ) ক্রুশ্চেভের আবির্ভাবের পূর্বে স্তালিনের মৃত্যু  জানে না এবং ক্রশ্চেভবাদ কেমন করে বারতের ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনে বিভেদের কারন হোল, সেটা দেখে নাই। (ছ) চিন -রাসিয়া বিরোধ দেখে নাই (জ) দেখে নাই ভিয়েতনাম-চিনের যুদ্ধাবস্তা। (জ) বাংলার সেমি ফ্যাসিবাদের পরিপ্রেক্ষিত হিসেবে বুর্জোয়া জমিদার রাষ্ট্রের সংকৎ (ঝ) জানে না, ইন্দোনেশিয়ায় দু'দিনে , সৈনবাহিনীর লোক সমেত কয়েল লক্ষ মানুষকে হত্যার ঘটনা (ঞ) চিলির নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট, আলেন্দের হত্যা

----  ইত্যাদি প্রতিটি ঘটনার যুক্তিনিষ্ঠ মূল্যায়ন এবং একের সাথে অন্যের মালা গাথতে গিয়ে যে কেন সর্বজ্ঞানে্র সম্মেলন ঘটাতে হয় সেসব ধারনাই চলে গেছে।

যদি বলে থাকি কমরেড বি টি আর এর কোন বিকল্প আসলো না কেন? জীবন রায়ের যে বোধ এখন বিদ্যমান, তাকে সেই স্তরে উঠে আসতে, অন্ততঃ একশ' বছর,।

---- বুঝে নিন, আমি অনেক সময় স্ত্রী চৈতালীকে বলি, "তুমি যদি আমার সাথে ২২ বছর থেকে থাকো, তবে যেনে রেখো, আমার হিসেবে এটা ২২ঃ২০০।

কাজেই শুধু ট্রেড ইউনিয়ন নয়, দলটাও ক্রমে, শারিরীক ক্ষুদা নিবৃত্তির মধ্যেই চিন্তন মুক্তির সর্ত খুজে বেড়াচ্ছেন।

এখন শেষ কিছু কথা বলেই আজকের লেখাটা শেষ করে দিঃ

QUESTION IS, IF THE HISTORY MEANT THE STRUGGLE BETWEEN TWO CLASSES, IN THE POLITICS REPRESENTING DIFFERENT CLASSES

---- HOW IS THE CO-RELATIONS  BETWEEN KNOWLEDGE AND CREATIVITY TOGETHER  IS BALANCED WITH GROUND CONFLICT.

পূর্বের আলোচনা গুলি থেকে যেটা বূঝে নিতে হবেঃ

ইতিহাসটা যদি খন্ড খন্ড স্থরে বিভিক্ত হয়ে  জোড়া  লেগে  অখন্ড ইতিহাস নির্মিত হয়,

তখন জ্ঞানটি কিন্তু অখন্ড। সেখানেই ইতিহাসের সংঘাতের উপাদানের সাথে - জ্ঞান-সৃজনীর সাথে সংঘাত বাড়ে বাড়ে আসে। সেই সংঘাতে প্রতিবার

------ যেমনভাবে জ্ঞান-সৃজনীর যুগল বন্দি সংখ্যবৃত্ত্বের উচু বৃত্তে উঠে আসার সুযোগ পায়, ইতিহাস নিজেও, পুরাতনের আস্তরন ভেঙ্গে উপরের বৃত্তে উঠে আসে।

আগের লেখায় ইতিহাসের যে চারটি স্তরের কথা বলা হয়েছে সেগুলিকে যদি নিম্ন লিখিত ভাবে পড়া হয়, তখন বুঝা যাবে

----- দুটি শ্রেনীর রাজনৈতিক সংঘাতের নিয়ন্ত্রক, জ্ঞান-সৃজ্নীর যুগল বন্দী বনাম অতিপ্রাচীনত্ব

দ্বন্দ্বগুলিকে এবারে নিম্ন লিখিত উপায়ে পড়লেই সবটা স্পষ্ট হয়ে যায়

(১) দাসত্বঃ একদল লোক বাকি জনগনকে বোকা এবং বিবষ করে লুঠ করা

(২) সামন্ত বা অন্ধকারের কালঃ একদল লোক জমির মালিকানাকে হাতে রেখে বাকি মানুষকে বোকা এবং বিবষ রেখে অন্যদের লুন্ঠন করে।

(৩) পুজিতন্ত্রঃ কিছু মানুষ পুজিকে কব্জায় রেখেঃ বাকি মানুষকে লুঠ করতে , নিজ নির্মিত রেনেশা তো বটেই - মানবিক সৃজন যোগ্যতার সব কিছু ধ্বংস করে দেয়।

(৪)  সকল মানুষ, এক হয়ে, ইতিহাসের সব জ্ঞান এবং সৃজনীকে আয়ত্ব করে, সমাজতন্ত্রের নামে, শোষনের সব কাঠামো ভেংগে দেয়, রাষ্ট্রহীন,দলহীন ব্যবস্থা বা চিন্তনের পূর্ণ স্বাধীনতা আদায় করে দেয়।

LAST ANSWER COMES LIKE THIS;

যতদিন সোভিয়েত ইউনিয়ন বর্তমান ছিলো, ততদিন মানবিক বিজ্ঞানকে ফ্রয়েড থেকে, উঠিয়ে এনে  পুজিতন্ত্রের সর্বোচ্চ ধাপের সামাজিক কার্য্যকারন সম্পর্ক নিয়ে গবেষনা করতে গিয়ে, একদিকে বিদ্যালয় শিক্ষাকে, জ্ঞান-সৃজনীর পথে, শ্রেনী সংগ্রাম পর্যন্ত পৌছে দিয়েছিলেন,

অন্যপ্রান্তে, তাতে সৃজনীতে বদলে দিয়ে

------ সোভিয়েতকে বিশ্ব শক্তিতে বদলে দিয়েছিলেন।

এর মধ্যেই যে ত্রুটীটা থেকে গিয়েছিলো এবং কমরেড বি টি আর ঠিক

চিহ্নিত করে ফেলেছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন, সোভিয়েত ব্যবস্থার বিশাল বিপুল উন্নতি হলেও

-----   শ্রমজীবী মানুষের শ্রেনী সংহতির প্রশ্নে, কারখানা বা অফিস গেটে, কিংবা খনি মুখে সৃজনীর সাথে জ্ঞানের সন্তুলনে বিরাট ঘাটতি থেকে গিয়েছিলো। তাই তিনি সোভিয়েত পরিচালিত বিশ্ব সংস্থার উপরে বিশ্বাস  রাখতে পারেন নাই।

SOVIET DID COLLAPSE WHEN COMRADE BTR WAS NO MORE:

এবারে খেলাটা জমে গেলো আরো ভালো ভাবে। শ্রেনী সংহতির কাজ ছেড়ে দিয়ে, যেসব শ্রেনীহীন নেতারা এককালে,  কারখানার ক্ষমতায় লম্ফ ঝম্ফ করতেন, তারাই কার্য্যতঃ পালাতে শুরু করলেন

------ এরোপ্লেনে বসে এক শহর থেকে অন্য শহরে বুঝিয়ে গ্যালেন

----    পয়সাই জীবনের স্বর্গ । পেটের ক্ষুদাতেই নাকি চিন্তার মুক্তি।

ভয় পাওয়ার কারন নেই।

এটাই নিয়ম। উঠে দাড়াতে হবে।

চিন্তায়, চেতনায় এবং একতায়

শ্রমীকদের সাথে মানুষের একতা

বাড়াতে হবে। (ক্রমশ)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours