শ্রাবণী মজুমদার, লেখিকা, বীরভূম:
‘কুঁচবরণ কন্যা রে তার মেঘবরণ কেশ।" নারীর চুল বা কেশ
নিয়ে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার এই লাইন মনে করিয়ে দেয়, নারীর সৌন্দর্য
চুলেই---
পুজোর সময় কি হেয়ার কাট করবেন?
এই চুলের সৌন্দর্য ছাড়া দুর্গা পুজোর ক'টা দিন একেবারে বেমানান। এবার দেখুন আপনার চুলের সৌন্দর্য বজায় রাখতে আপনি কি কি করবেন:
১) চুল সুস্থ রাখতে হেয়ার স্পা করাতে পারেন।
যাঁদের চুল একটু পাতলা, তাঁরা চুলে লেয়ার করালে খুব একটা ভালো দেখায় না। বরং তাঁরা ভলিউম লেয়ার করালে ভালো দেখাবে।
২) চুল পাতলা বা ঘন যেমনই হোক না কেন, চুল সমান করে না কাটিয়ে ইউ বা ভি আকৃতিতে কাটাতে পারেন।
৩) যাঁদের কপাল একটু চওড়া, তাঁরা সামনে ব্যাংস রাখতে পারেন।
৪) যাঁদের মুখ একটু গোলাকার, তাঁদের চুল সামনের দিকে খুব ছোট না করাই ভালো।
মনে
রাখবেন প্রতিটি মুখ স্রষ্টা অপূর্ব শৈল্পিক কল্পনার ছোঁয়ায় সৃষ্টি
করেছেন। সব মুখ সৌন্দর্যে ভরপুর। কেবল পরিচর্যা দরকার। যেমন বাগান তৈরি
করলে হয় না। পরিচর্যা দরকার। মুখের সৌন্দর্য বজায় রাখার ক্ষেত্রেও তাই।
সব মুখে সব হেয়ার স্টাইল মানাই না।
চুলের
কাট ঠিক করতে হলে চুলের নিজস্বতার সঠিক পছন্দটা খুব আবশ্যক। সেই নিজস্বতার
হেয়ার কাটিংকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে না হয় এবারের পুজোয় কবির ভাষায়
সার্থক করে ফেলুন, চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা, মুখ তার
শ্রাবস্তীর কারুকার্য।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours