শ্রাবণী মজুমদার, লেখিকা, বীরভূম:

বেঁচে থেকে জীবনানন্দ যদি দেখে যেতেন নখ নিয়ে নখরাবাজি! নিদান পক্ষে  সুনীল যদি নীরার ওষ্ঠ নিয়ে পড়ে না থাকতেন! তাহলে নখ নিয়ে কতনা কথন হতো! 

এখন পুজো দোরগোড়ায়, তখন নখ নিয়ে নখরাবাজি হোক না, ক্ষতি কী? 

মুখের মতই নখ যে কতটা সুন্দর তা দেখিয়েছে এই আধুনিক যুগ। আগে তো নখ রাখার রেওয়াজ ছিল স্রেফ চিমটি কাটার জন্য! 

এখন সৌন্দর্যের দ্যোতনায় নখ? আহা মরি মরি!
ভাবলাম নখ যখন এত সুন্দর, তখন নখের জন্য কোন সৌন্দর্য পিপাসু কবির মন গলে নি। হা সুনীল! হা জীবনানন্দ! সবাই চোখ, ওষ্ঠ, চুল নিয়ে পড়ে থেকেছে!  তখন ঢাকার এক উঠতি কবি খায়রুল হাসান সাহায্যের হাত বাড়িয়ে বললেন, তবে হোক নখ নিয়েই কটা লাইন! 
আঙুলের ডগায় ফেক বা নকল নোখ লাগানোর মত কটা লাইন তিনি গেঁথে দিলেন। যা গেঁথে গেল আমাদের মনে!!
নখ--
সুন্দর মুখের সেই মোহনীয় নারীর 
দশটি নখও ছিল অপূর্ব সুন্দর।
নখের পরিচর্যায় সে যে পারদর্শী,
মোহনীয় নখগুলো তাই বলে দেয়।
তার লম্বা গ্রীবার মতই আঙুল গুলো
লম্বাটে ছিল, আঙুলের নখগুলোও।
শাড়ি ও অধর রঞ্জনির সাথে মিল রেখে
নখগুলোও একই রঙে রঞ্জিত ছিল।

নখ এমনই সম্পদ হয়ে উঠতে পারে!


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours