শ্রাবণী মজুমদার, লেখিকা, বীরভূম:

আমি    যৌবন-ভীতু পল্লীবালার আঁচড় কাঁচলি নিচোর!  

যাদের কথা বলবো,  তাঁরা কেউ যৌবন ভীতু পল্লীবালা নয়! তাঁরা নারী বাদী! "আঁচড়" তাদের কাছে যতোটা তার থেকে বেশি তর্কের বিষয়, পুরুষ চোখে নিত্য ধর্ষণ। আর সেই অভিযোগ তাদের প্রতিবাদী ভাষায়! পাশাপাশি "কাঁচলি নিচোর" তাদের কাছে নারী শোষণের এক অজুহাত মাত্র। 

হ্যাঁ! কোরিয়ান নারীদের কথা বলছিলাম। যারা ব্রা পড়ার বিরুদ্ধে  সোচ্চার হয়ে ওঠে। শুধু তাই নয়, প্রতিবাদে তাঁরা কাঁচলি অর্থাৎ স্তন আবরনী বা ব্রা পুড়িয়ে ফেলে!  দক্ষিণ কোরিয়ার নারীদের এই পদক্ষেপে অনেকেই চমকে ওঠেন। এমনিতেই কে কি করবে নিতান্তই ব্যাক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু তা যদি প্রতিবাদের ভাষা হয়ে ওঠে, তা হয়ে ওঠে ভয়ঙ্কর! 

ষাটের দশকে 'ব্রা বার্নিং ফেমিনিস্ট' বাক্যটির জন্ম হয়। যখন দক্ষিণ কোরিয়ার নারীরা এই প্রতিবাদে সামিল হন।  ইদানিংকালে ব্রা বা বক্ষবন্ধনী ছাড়াই পোশাক পড়ার  ছবি  সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হতেই মৌচাকে ঢিল পড়েছে!
 শুরু হয়েছে " চায়েপে চর্চা"।   

'হ্যাশট্যাগ নো ব্রা' এখন খোলাখুল্লম ভাষা!  

দেশটির জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও গায়িকা সিওলি ইনস্টাগ্রামে  একটি ছবি পোস্ট করেন। তারপর আর দেখতে হয় নি। তারপর এই বক্ষবন্ধনী মুক্ত আন্দোলন বা ব্রা-লেস মুভমেন্ট দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। ইনস্টাগ্রামে সিওলির রয়েছে মিলিয়ন মিলিয়ন অনুসারী।

এরপর থেকে সিওলি বক্ষবন্ধনীর বিরুদ্ধে আন্দোলনের একটি প্রতীকে পরিণত হয়েছেন তিনি, যার মাধ্যমে নারীরা একটি বার্তা ছড়িয়ে দিতে চান যে, ব্রা বা বক্ষবন্ধনী পরা না পরা একজন নারীর ব্যক্তিগত স্বাধীনতার বিষয়। তাতে কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারে না।

কিন্তু  প্রশ্নটা স্বাচ্ছন্দ্যের হলে আলাদা বিষয়। আমাদের দেশে মেয়েরা প্রথম দিকে  ব্লাউজ পড়লে নিন্দে হতো। ব্রা তো অনেক দূরের ব্যাপার ছিল। 

তবে বক্ষবন্ধনী মুক্ত আন্দোলনে সিওলি যেমন সমর্থন পেয়েছেন, তেমনি  অনেকেই সমালোচনা করেছেন।  তাঁরা তাঁকে বিঁধেছেন এই বলে,  যে তিনি নাকি  'মনোযোগ আকর্ষণের জন্য এসব করছেন'।

এককথায়,  নিজের নামডাক করার জন্য এসব করছেন তিনি।

''আমি বুঝতে পারি যে, ব্রা পড়া বা না পড়া ব্যক্তিগত ইচ্ছা। এব্যাপারে তাঁর অনিচ্ছা থাকতে পারে।  কিন্তু মনে হয় তিনি সবসময়েই ব্রা পড়ে আটোসাঁটো জামা পরে ছবি তোলেন।  

 ইন্সট্রাগামে একজন লিখেছেন, ''ধিক্কার তোমাকে। তুমি কি এভাবে গির্জায় যেতে পারবে? তুমি কি তোমার বোনের স্বামী বা তোমার শ্বশুর-শাশুড়ির সামনে যেতে পারবে? এতে শুধু পুরুষরাই নয়, নারীরাও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না।'' 
সম্প্রতি বিখ্যাত গায়িকা হাওয়াসার এই হ্যাশট্যাগ নো ব্রা ছবি এই আন্দোলনকে চাগিয়ে তুলেছে।

ইতিমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার ইউটিউব স্টার লিনা বেই এই আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার পর বাইরে বেরিয়ে হত্যার হুমকিও পেয়েছেন।

হংকংয়ের একটি কনসার্ট থেকে সোলে ফেরার পথে বক্ষবন্ধনী ছাড়া সাদা টি-শার্ট পড়া অবস্থায় তার ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়।

এরপর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার সাধারণ নারীদের মধ্যেও এই আন্দোলনটি  ছড়িয়ে পড়ে।

জানা গেছে, ২০১৮ সালে 'এস্কেপ দি কর্সেট' নামের আন্দোলন হয়েছিল দেশটিতে, যখন অনেক নারী তাদের লম্বা চুল কেটে ফেলেন এবং প্রসাধনী ছাড়া বাইরে বের হতে শুরু করেন। সেসব ছবিও তারা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন।

এই আন্দোলনের মূল শ্লোগানটি ছিল নারীদের অবাস্তব সৌন্দর্য চর্চার বিরুদ্ধে।  যে চর্চ্চা করতে গিয়ে নারীরা মেকআপের পেছনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নাকি সময় ব্যয় করেন।

শুধু নো ব্রা নয়, নারীর বিরুদ্ধে কোন  কুদৃষ্টির বিরুদ্ধে তাদের আন্দোলন জারি থেকেছে বিভিন্ন সময়ে।  যেমন,  গেজ রেপ বা চোখ দিয়ে ধর্ষণ। 
সম্প্রতি,  দেশের নারীরা পুরুষত্যের সংস্কৃতি, যৌন সহিংসতা এবং বিশ্রামকক্ষ ও জনসমাগমের স্থানে গোপন ক্যামেরার ব্যবহারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন।

২০১৮ সালে দেশটিতে নারীদের সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ ঘটে, যেখানে হাজার হাজার নারী সোলের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন এবং গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা পর্নোগ্রাফির বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য  তাঁরা আর্জি  জানান।

কিন্তু  বক্ষবন্ধনী মুক্ত আন্দোলনকে অনেকে সমর্থন করলেও, জনসম্মুখে নিজেরা বক্ষবন্ধনী ছাড়া যেতে সাহস পাচ্ছেন না। তাদের আশংকা মানুষজন হয়তো তাদের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবে।

২৮ বছর বয়সী জিয়ঙ সিয়ঙ-ইয়ুন 'নো ব্রা ব্লেম' নামে একটি তথ্যচিত্রের নির্মাণ দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। তথ্যচিত্রটি বক্ষবন্ধনী ছাড়া বাইরে যাওয়া নারীদের অভিজ্ঞতা নিয়ে তৈরি।

মিজ সিয়ঙ-ইয়ুন বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি এই প্রকল্পটি শুরু করেন, যেটি করার সময় তারা নারীদের প্রশ্ন করেছিলেন, ''কেন আমরা মনে করি যে, ব্রা পড়া স্বাভাবিক একটা ব্যাপার?"

যদিও তিনি মনে করেন, নারীদের এই বিষয়টি নিয়ে জনসমক্ষে আলোচনা হওয়ায় ভালো হয়েছে। তবে অনেকেই বিশ্বাস করেন, বেশিরভাগ নারী এখনো  লজ্জাবোধ করে এই ভেবে যে জামার উপর দিয়ে তাদের স্তনবৃন্ত ফুটে উঠবে।

২৪ বছর বয়সী পার্ক আই-সেউল দক্ষিণ কোরিয়ার একজন মডেল যিনি ইতিবাচক শারীরিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। গত বছর তিনি একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেন, যেখানে তাকে কোন বক্ষবন্ধনী ছাড়া রাজধানী সোলে তিনদিন ধরে চলাফেরার করতে দেখা যায়। ওই ভিডিওটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়, ২৬ হাজার মানুষ সেটি দেখেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানান, তার অনেক অনুসারী এখন মধ্যবর্তী পন্থা হিসাবে ফিতা যুক্ত ব্রার পরিবর্তে নরম কাপ ব্রালেট ব্যবহার শুরু করেছেন।

''আমার একটি ভুল ধারণা ছিল যে, যদি আমরা ফিতা যুক্ত বক্ষবন্ধনী না পরি, তাহলে আমাদের স্তন ঝুলে যাবে এবং খারাপ দেখাবে। কিন্তু আমি ওই ভিডিওটি তৈরি করার পর থেকে আমি আর সেগুলো পরি না। এখন আমি গরমের দিনগুলোয় ব্রালেট পড়ি, আর শীতের দিনগুলোয় কোন বক্ষবন্ধনীই পড়িনা।''

অনেক নারী এখন বক্ষবন্ধনীর পরিবর্তে স্তনবৃন্ত ঢেকে রাখার প্যাচ ব্যবহার করছেন। এই আন্দোলন অনুপ্রাণিত করেছে ডেইগুর ২২ বছর বয়সী উদ্যোক্তা এবং ভিজুয়াল ডিজাইনার নাহয়ুন লিকেও ।

তিনি কেইমইয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স প্রজেক্টের অংশ হিসেবে ইয়াপ্পি নামের একটি পপ-আপ ব্রান্ড শুরু করেছিলেন। গত মে মাস থেকে তিনি এই ব্রান্ডের নামে স্তনবৃন্ত ঢেকে রাখার প্যাচ বিক্রি করতে শুরু করেছেন। তাই রথ দেখাও হচ্ছে, কলা বেচাও হচ্ছে, মন্দ কী? 

জেওল্লানাম-ডু প্রদেশের ২৮ বছর বয়সী ডা-কিয়ুং বলছেন, তিনি গায়িকা ও অভিনেত্রী সিওলির ছবি দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন এবং শুধুমাত্র অফিসে যাবার সময় তিনি বক্ষবন্ধনী পড়ে যান, যখন বস সামনে থাকে। কিন্তু ছেলে বন্ধুর সামনে যাবার সময় আর সেটি পড়ে নেন।

কিন্তু বক্ষবন্ধনী পড়ার ব্যাপারে গবেষণা কি বলছে?
বক্ষবন্ধনী ব্যবহার না করলে কি স্বাস্থ্যের সমস্যা হয়?

ড. ডেইড্রে ম্যাক গি একজন ফিজিওথেরাপিস্ট এবং ইউনিভার্সিটি অফ উলনগোং-এর ব্রেস্ট রিসার্চ অস্ট্রেলিয়ার সহ-পরিচালক। তিনি বলেন, '' আমি বিশ্বাস করি, নারীরা কি পড়বেন, সেটা ঠিক করার অধিকার তাদের আছে। কিন্তু আপনার স্তন যদি অনেক ভারী হয়ে থাকে এবং সেজন্য শরীরে যদি যথেষ্ট সাপোর্ট না থাকে, তাহলে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে সেটার প্রভাব পড়তে পারে, যার মধ্যে রয়েছে গলা এবং শরীরের পেছনের অংশ।'' তিনি  আরও বলেন,''বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নারীদের শারীরিক গঠনের পরিবর্তন হয়, চামড়ায় পরিবর্তন আসে এবং এ ধরণের প্রাকৃতিক সাপোর্টও কমে আসে।
যখন নারীরা এ জাতীয় সাপোর্ট ছাড়া ব্যায়াম করেন, তখন স্তন নড়াচড়া করে। তখন স্পোর্টস ব্রা ব্যবহার করলে স্তনের ব্যথা কমাতে পারে, সেই সঙ্গে তাদের পেছনে ও গলায় ব্যথা হওয়া ঠেকাতে পারে।'' 

''একইভাবে, আপনার স্তন দেখতে কেমন দেখাচ্ছে বা নড়াচড়া করছে, এ নিয়ে যদি বিব্রত হন বা আত্মসচেতন‌ হন, তাহলে আপনিও অসহায় আচরণের ভেতর দিয়ে যাবেন। যে নারীদের স্তন কেটে ফেলতে হয়েছে, তাদের অনেককে আমি পরামর্শ দেবো বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করার জন্য, যাতে তাদের আচরণ আর আত্মবিশ্বাসে সমস্যা না হয়। অনেক নারী ওই জায়গাটি ঘিরে রাখতে চান, যেহেতু স্তন তাঁদের লিঙ্গ পরিচয়েরও অন্যতম অংশ।''

ইউনিভার্সিটি অফ পোর্টসমাউথের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ড. জেনি বারবেজ বলছেন, বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করে যে নারীরা অস্বস্তি বোধ করেন বা ব্যথা বোধ করেন, তার কারণ আসলে 'ঠিক মাপের বক্ষবন্ধনী' ব্যবহার না করা। ঠিক মাপের ব্যবহার করলে কোন সমস্যা নেই।
তবে জানিয়ে রাখা ভালো, বক্ষবন্ধনী ব্যবহারের সঙ্গে স্তন ক্যান্সারের কোনসম্পর্ক নেই"। 

১৯৬৮ সালে মিস আমেরিকা সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে একটি বিক্ষোভের পর 'ব্রা বার্নিং ফেমিনিস্ট' বাক্যটির জন্ম হয়, যার মানে বক্ষবন্ধনী পোড়ানো নারীবাদীরা।

সেই আন্দোলনের সময় নারীরা যেসব জিনিস আবর্জনার বাক্সে ছুড়ে ফেলেন, তার মধ্যে ছিল বক্ষবন্ধনীও, যেটিকে তারা নারীদের দমন করার একটি প্রতীক বলে মনে করতেন। 

চলতি বছর জুন মাসে, সুইজারল্যান্ডের কয়েক হাজার নারী বেতনের সমতা, যৌন হয়রানি আর সহিংসতার প্রতিবাদে আন্দোলনের অংশ হিসাবে তাদের অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন, বক্ষবন্ধনী পোড়ান আর সড়ক অবরোধ করেন।

বিশ্বজুড়ে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ব্যাপারে সচেতনতা তৈরিতে ১৩ই অক্টোবর তারিখটিকে 'নো ব্রা' বা বক্ষবন্ধনীহীন দিবস বলে পালন করা হয়। কিন্তু গত বছর ফিলিপিন্সের নারীরা ওই দিনটিকে বৃহত্তর লিঙ্গ সমতার দিন হিসাবে পালনের আহবান জানান।

সাংবাদিক ভেনেসা আলমেদা বলছেন, 'নো ব্রা ডে' হচ্ছে আমাদের নারীত্ব এবং একজন নারী হিসাবে স্বীকৃতির দিবস।

২০১৪ সালে নেটফ্লিক্স একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করে যার শিরোনাম ছিল 'ফ্রি দ্যা নিপল'। সেখানে দেখানো হয় নিউইয়র্কের একদল তরুণী নারীদের স্তন নিয়ে অপরাধ এবং রাখঢাকের ব্যাপারে আন্দোলন করছেন।

সেটা থেকেই বিশ্ব জুড়ে 'ফ্রি দ্যা নিপল' আন্দোলনটি ছড়িয়ে পড়ে।

মেয়েদের শরীর নিয়ে বিশ্বজুড়ে যে বিধিনিষেধের কথা শোনা যায়। দক্ষিণ কোরিয়ার সাম্প্রতিক 'নো ব্রা' আন্দোলন সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সামনে নিয়ে এসেছে। 

তবে  "হ্যাশট্যাগ নো ব্রা" আন্দোলন থামবে না।   যতদিন পর্যন্ত 'নো ব্রা' বা বক্ষবন্ধনী ব্যবহার না করার ব্যাপারটি স্বাভাবিক একটি ঘটনায় পরিণত হবে। কেউ কিছু ভাববে না। অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না, যদি আমাদের দেশে এই আন্দোলন শুরু হয়। দিদা, ঠাকুমার মায়েরা যেভাবে ব্লাউজ ছাড়াই খালি গায়ে থাকতেন, সেই দিন ফিরে আসতেও পারে! 

তখন হয়তো মহাকবি কালিদাসের অভিজ্ঞান শকুন্তল উপাখ্যান থেকে বেরিয়ে আসবে, আলাপচারিতায় মুখর হয়ে উঠবে হ্যাশট্যাগ আন্দোলন--

সেদিন শকুন্তলা একটু থেমে বলবে--- সখি অনসূয়া, খুব আঁট করে বল্কল বেঁধে প্রিয়ংবদা আমাকে আড়ষ্ট করে রেখেছে। একটু আলগা করে দে তো বাঁধনটা।
 
আর অনসূয়া তাই করবে। তবে চলতে থাকবে আলাপচারিতা... বাড়বে অনুসারীদের সংখ্যা। সবাই বলতে থাকবে, তারপর... তারপর...

অনসূয়া-- দিচ্ছি। (একটু আলগা করে দিলেন)

প্রিয়ংবদা--( সহাস্যে) এ-ব্যাপারে তুই বরং তোর যৌবনকেই দোষ দে, যে- যৌবন স্তন বিস্তারের জন্য দায়ী।
 কিন্তু পুরুষরাও অংশ নেবে। রাজা দুষ্যন্তের মতো...

রাজা-- সত্যি, বল্কল ঠিক এর দেহের উপযুক্ত নয়। তবু তা যে অলঙ্কারের শ্রীবৃদ্ধি করছে না তা নয়। শৈবাল যুক্ত হলেও, পদ্ম সুন্দরই থাকে। চাঁদের কলঙ্ক চিহ্নও তার শোভাই বৃদ্ধি করে। এই তন্বী বল্কলে আরও মনোহারিণী -- রমণীয়া, যে সব আকৃতি স্বভাব সুন্দর -- কোন জিনিসই বা তাদের অলঙ্কার না হয়?
 
 
Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours