ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুরঃ


অজয় নদের  দক্ষিনে  পানাগড়  মোর বাঁধ জাতীয়  সড়কের কাঁকসার ১১ মাইল বাসথেকে ২ তিনি পশ্চিমে  অযোধ্যা-শ্যামবাজার - বনকাটি  তিনটি  গ্রাম  একত্রে  অযোধ্যা -বনকাটি  নামে  পরিচিত! কাঁকসা  ব্লকের  অযোধ্যা  গ্রামের  বন্দ্যোপাধ্যায়  পরিবারের 'মা  দুর্গা ' বড়মা  নামে  পুজিতা  হ'ন ! এই  পুজোটি ই  গ্রামের  সর্ব প্রাচীন  দুর্গাপুজো! এছাড়া  মুখার্জী, চ্যাটার্জীও ঘটক  বাড়ীতেও  দুর্গাপুজো  হয়  সাড়ম্বরে! তবে  গ্রামের  সকলে  প্রথম  পুজো  দেন  ও প্রনাম  করেন  বড়মার  মন্দিরে! গ্রামের  সব  পুজোই  শাক্তমতে অনুষ্ঠিত  হয় এবং  ছাগ বলির  প্রচলন  আছে! তবে  বড়মার  পুজোর  বৈশিষ্ঠ  এই  পুজো  সাড়ম্বরে  অনুষ্ঠিত  হলেও  কোন  প্রতিমা  থাকে  না  পটে  পুজো  হয়! প্রায়  আড়াই'শ  বছর  আগে  নকুলেশ্বর  বন্দ্যোপাধ্যায়  গ্রামে  এই  পুজার  পত্তন  করেন  পূর্বে  প্রতিমা  পুজো  হতো! কোন  এক  সময়  প্রতিমা  শিল্পী  হুঁকো  খেয়ে  হাত  না  ধুয়ে  প্রতিমা নির্মান  করায়  তাঁর অপমৃত্যু  ঘটে! এর পর  আর  কোন  মৃৎশিল্পী  প্রতিমা  নির্মান  করতে  রাজী  না  হওয়ায়  'ঘটে -পটে'  পুজা ! হয়!
           এমনকি মায়ের  মন্দিরটি  আজও  মাটির! কোন রাজমিস্ত্রি  নির্মান  করতে  রাজী  হয়নি!
       
   ব্যানার্জী  বাড়ির  বর্তমান  সেবাইত  রূপক  ব্যানার্জী  জানালেন, তাঁদের  পুজোটি  গ্রামের  সবচেয়ে  পুরাতন! সন্ধিপুজোয়  তাঁদের  মন্দিরে  প্রথম ছাগ বলি  হয়  তারপর  অন্য  মন্দিরে  বলি  হয়! পুজো র  তিনদিন  সপ্তমি,অষ্টমী  ও নবমীতে  পংতি ভোজের ব্যবস্হা থাকে ! পুজোর  চারটে  দিন  জঙ্গল  মহলের  এই  গ্রাম  মেতে  ওঠে  আনন্দ  উৎসবে!
    


  
Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours