জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা:
সাম্যবাদী অভিমুখে গনতন্ত্র কিংবা যাকে আমরা জনগনের গনতন্ত্র বলে চিহ্নিত করে থাকি, তার অবস্থানটি যে সাম্য তো বটেই, সমাজতন্ত্র থেকেও বর্তমানের কাছাকাছি
------ সেই যায়গাটিকে চিহ্নিত করতে না পারলে, মানুষের রুপান্তরকামীতাকে, একপ্রান্তে যে অতি-বাম কিংবা অতি-দক্ষিনী প্রতিবিপ্লবের দিকে ঠেলবে, এবং অন্যপ্রান্তে মধ্যমবর্গীয় সুবিধাবাদের পচন ডেকে এনে, জ্ঞানের কেবল নয়, মানুষের বৌদ্ধিক সত্বাকে এক চরম বিপর্যয়ের দিকে ঠেলবে,
----- তার নিশানা আমরা বাঙ্গলা কিংবা ভারতবর্ষের বর্তমান কালে বসেই বুঝতে পারছি। বাংলা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের যে ইতিহাসবোধ দেখা গেলো গত কয়েকদিনের মধ্যে, সেখানেও যদি মেনে চলতে হয় - বাংলার জনমতকে ফ্যাসিবাদের দুটি মঞ্চে মেরুকরন করা সম্ভব হয়েছে, তবে একটা কথাই মানতে হবে --- সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকে সৃজন মুখীনতার বারোটা বেজে যাওয়ার কারনে সাধারন বৌদ্ধিক সত্বাই ডুবে গেছে।
অন্যপ্রান্তে যদি কেন্দ্রের দিকে তাকানো যায়, সেখানে দেখা যাবে অর্থনীতির সর্বক্ষেত্রে এবং সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিপুল অনাচারের পরেও, নিশ্চিতভাবে ফ্যাসিস্তরা দাবী করতে পারেন ---- এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে, তারাই 'সেকেন্দর' হয়ে যাবেন।
ভারতীয় পরিস্থিতিতে, এখন কেন্দ্রীয় নেতারা শুধু বিজ্ঞান কিংবা ইতিহাসের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষনা করেছেন তাই নয়, তারা বুক ফুলিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তারা অন্যধর্ম এবং ভারতীয় সংসদীয় রাজনীতিকে হাস্যাস্পদ করে দিয়ে, সংবিধান ভেংগে দেওয়ার আহ্বান রেখেও 'অধিকাংশের জনমতকে সাথে নিয়ে চলতে পারবেন।সে লক্ষপুরনকে নিশ্চিত করতে, তারা 'হিটলারবাদ' লাগু করতে যে পিছ পা হবেন না, সেটাও বুঝিয়ে দিচ্ছেন পদে পদে। উনারা জানেন যে, ভাষার বিষয়ে তারা যা ঘোষনা করেছেন, তা কোনদিন কার্য্যকরী করা সম্ভব হবে না, তবু ঠিক রাম মন্দিরের মতোই 'হিন্দিটা' তুলে রাখলেন, তাদের জন্যে -যাদেরকে ফ্যাসিষ্ট অন্ধত্বকে কাজে লাগাবেন '
গৃহযুদ্ধের' কালে
দ্বিতীয় অংশ।
---- গুজরাট থেকে শুরু করে সারা দেশে গোরক্ষার নামে যে সব হত্যাকান্ড হয়েছে, তার সবকিছুকে যদি গ্লোরিফাই করা হয়ে থাকে এবং সেই 'গৌরব'কে যদি মানুষকে দিয়ে মানিয়ে নেওয়া হয়ে থাকে, তারো যে একটা লক্ষ ছিলো
সেটা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা ভ্রমনে প্রমান করে দিয়েছে। ভারতের ইতিহাসে তো নেইই, বোধ হয় বিশ্বে নজির নেই - কোন দেশের প্রধান মন্ত্রী অন্যদেশের মাটিতে দাড়ীয়ে সেই দেশে - বিশ্বত্রাসের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে যোগ দিতে।
Now let me come to the caption of the article. এবারে বিষয়ে আসা যাক। যখন প্রতিটি-তর্ক বিতর্কের পুর্বে আত্মানুসন্ধানের কথা বলা হয়েছে, তখন সর্বপ্রথম যে বিন্দুতে আত্মানুসন্ধানের প্রয়োজন হবে তা হোল
------ সামাজিক দ্বন্দ্বগুলি যে বিন্দুতে বর্তমানে সমাহিত হওয়ার চেষ্টা করছে,সে সম্পর্কে কোন সাম্যবাদীর ধারনাটি ঠিক আছে, অথবা ব্যক্তির অতীত সেই বিন্দুটাকেই সচ্ছ করতে দিচ্ছে না। পূর্বের ব্যখাকে যদি কিঞ্চিৎ মূল্য দিতে হয়, তবে মানতে হবে
------ জনগনের গনতন্ত্রকে সাম্যাভিমুখী রাখতে গিয়ে, কর্মসূচীতে বিপরীত দিকে যে সমাবেশের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিলো, সেটা পূর্নতার পথে পৌছে গেছে। একপ্রান্তে, জনগন বিরোধী শক্তি, ভেংগে পরতে থাকা উদারবাদীদের অধিকাংশ ভূমিকে কব্জা করে নিয়ে, সরাসরি সাম্যের মুখোমুখী দাড়ীয়ে দেশকে গনতন্ত্রে ফিরে আসার সব পথ বন্ধ করে দিচ্ছে এবং অনেকাংশে সফল হয়েছে সে লক্ষে।
----- অন্যপ্রান্তে, সরকারীয়ানার দৌলতে নিশানা বার বার দূরে সরে যাওয়ায়, সাম্যের অভিমুখে গনতন্ত্রের পথে উদারবাদীদের দখলে যে ' 'বাফার' ' ছিলো সেটায় গনতান্ত্রিক অভিমুখকে ঢুকাতে পারার সব অকার্য্যকারীতার কারনে, ফ্যাসিস্তরা একেবারে 'সাম্য' বা 'মেহনতীদের' মুখোমুখী। ওরা স্থায়ী দাসত্ব নিয়ে আসার বিশ্বক্লাবে ঢুকে গিয়ে, বর্ণাশ্রমকে শুধু ফিরিয়ে আনছে তাই নয়
------- মধ্যমবর্গের একটা বড় অংশকে বর্ণাশ্রমের সাথে কিংবা বর্নাশ্রমীয় ক্রিয়াকান্ডে জড়িয়ে ফেলে, ' দাসত্বের' সব উপরকরন সমেত, ফ্যাসিস্তদের সাহায্য করছে।এসবের মধ্যে জ্ঞান জগৎকে খন্ড বিখন্ড করা এবং গনশিক্ষা, বিশেষত ইতিহাস শিক্ষার আধুনিক ধারাকে নষ্ট করে দেওয়ার প্রশ্নে ভারতীয় এবং বিশ্ব ফ্যাসিস্তদের সাহায্য করছে নিজের অজান্তেই। এভাবে তার দাসত্বের পূনঃপ্রবর্তনে সাথী হয়ে যাছে।
Once it is understood, the areas which are under attack then two questions would emerge:
প্রথমতঃ মানুষের বৌদ্ধিক সংহতির প্রশ্নে যে এলাকাগুলি আক্রান্ত এবং সেই এলাকার যেগুলি পুনরায় জ্ঞানসত্বায় ফিরিয়ে আনাটা , আসু বিপ্লবের সংহতির প্রশ্নে প্রয়োজনীয় সেগুলিকে চিহ্নিত করা এবং প্রত্যাঘাত করা।
দ্বিতীয়তঃ নিজেকে আরো ঘভিরে গিয়ে খুজে,সে পচনের শ্রোতগুলিকে চিহ্নিত করা, যেগুলি ব্রাহ্মন্যবাদের জঢ় হিসেবে, নিজের রক্ত-মাংসের সাথে মিশে আছে এবং অখন্ড জ্ঞান এবং অখন্ড মানবিক সত্বার বিপরীতে কাজ করছে, নিজের অজান্তেই।
এখানেই সেই প্রশ্নটা আসছে, যদি মেনে চলাহয়, ভারতে জনগনের গনতন্ত্রের কিংবা গনতন্ত্রের সাম্যবাদী অভিমুখটি নির্নয় করার বিষয়টি বিশ্ব ইতিহাসের সবথেকে জটিল এবং সব থেকে কঠিন বিপ্লব, তবে এটা প্রথম থেকেই মেনে চলতে হবে সেখানে নেতাদের 'জ্ঞান' কিংবা 'পবিত্রতার প্রদর্শনীর ' থেকেও মানুষকে 'জ্ঞানের' অভিমুখে সৃজনমুখীন পবিত্রতার প্রতিষ্ঠিত করাই প্রধান কাজ।
বিপ্লব কিংবা নো বিপ্লব, শুধু মানবিক নয়, সাধারনভাবে ইতিহাসের বিকাশে গতিতের , চারটি উপাদানের ক্রম রসায়নের একটা প্রকৃয়া চলতে থাকে। সেগুলিকে - শ্রম, সাম্য, সৃজন এবং মানবিক অংশগ্রহনে শ্রমিক নেতৃ্ত্ব সংক্রান্ত সব জ্ঞানকে চিহ্নিত করা হয়েছে, লেনিনবাদের ছত্রে ছত্রে।
------ এ সব উপাদানের রসায়নে সামাজিক রুপান্তরের প্রকৃয়ায় সর্বাত্মক শ্রমিক একতার তত্ব যদি ১৯৬৭ সালের ট্রেড ইউনিয়ন দলিলে এবং প্রচার এবং সংগ্রামের সেতুবন্ধন কেমনভাবে হবে, শে সব বিষয় ১৯৮০ সালের দলিলে ব্যখ্যা করা হয়েছে।
ট্রেড ইউনিয়নের বাইরে - বিজ্ঞান, সাহিত্য, সংস্কৃতি, গনশিক্ষা এবং জ্ঞান সংক্রান্ত অনেক প্রাতিষ্ঠানিক সত্বাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের সম্মিলিত ঐক্যতানেই মানুষ সৃজনীর পথে পা' বাড়াবে।
'সেখানে নাস্তিকতা শেখানোর জন্য কোন সংস্থার কথা যদি বলা না হয়ে থাকে, সেটা বিপ্লবী তত্ব এবং বাস্তবতার সাথে সংগতিপূর্ন। লেনিনকে পড়ে শেষ করা সম্ভব নয়। কিন্তু মোটামুটি উনার লেখার অভিমুখে যা পেয়েছি পড়েছি, তার মৃত্যুর পর, প্রায় তিন শত বিশ্ববরনেণ্য লেখকেড় লেখা পড়েছি।
আমর মনে হয়েছে ঈশ্বরের অস্তিত্বহীনতা সম্পর্কে , জ্ঞানতত্বের সাধারন ধারনার উপরেই তার তত্বগুলি দাড় করালেও, বিপ্লবের কোন স্তরে যদি 'নাস্তিকতা'বাদের উপরে পৃ্থক তত্ব দাড় করানোর প্রয়ো(জনীয়তা দেখেন নাই।
পরে আমাদের দেশেও, বিপ্লবী আন্দোলনের প্রাথমিক স্তরে বিষয়ে কিচু কিছু কথা বল্লেও, সাম্যবাদী আন্দোলন এদেশে যেমনভাবে প্রাসংগিক হয়েছে, তেমন তারা বুঝেছেন, 'ঈশ্বর তত্ব্ব' মার্ক্সবাদে ইনবিল্ট। বিপ্লবী আন্দোলনে এটাকে আলাদা করে দেখানোটা আসলে বিপ্লবকেই উশৃংখল এবং আগে থেকেই 'জ্ঞান তত্বের' পাংকচার করে দেওয়ার একটা সর্টকাট পদ্ধতি।
এইসুত্রে আরো তিনটি তাত্বিক বিষয় সব সময় মাথায় রাখা উচিত হবেঃ
Firstly : What will be the complexion of the Communistic Party which would lead but it is certain that democratic revolution would get flushed out in India under working class leadership (ক) সেটা ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগ্রামের সাথে যুগপদ হবে অথবা কিছু কালা ফ্যাসিবাদ চলার পর আসবে, সেটা ইতিহাসের বিষয়। But it is certain that under no circumstances, after this Revolution Socialism would not be forced. বাংলায় ভূমি সংস্কার হওয়ার পর, প্রয়োজন ছিলো ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক , কৃষকদের সমবায়ে নিয়ে আসা। কংগ্রেস এবং তৃনমুল করতে দেয় নাই তো দেয় নাই। কোন গায়ের জোর প্রয়োগ হয় নাই। সে অর্থে গনতান্ত্রিক বিপ্লবেই রক্তক্ষয়র পালা শেষ হবে।
দ্বিতীয়তঃ শ্রমিক আন্দোলন কিংবা যারা গনতান্ত্রিক বিপ্লবের সব নেতা-কর্মীদের এক অখন্ড নিরন্তরতায় ঘোষনা করে চলতে হবে
----সে বাণীকে স্মরন করিয়ে দিয়েঃ সাম্য কোন দিন কোথায়ো স্বাধীন ধর্মাচারনের উপরে অনুশাসন করবে না, ইতিহাসের কোন কালে। এমন কী কোন সাম্যবাদী কর্মী যদি, বর্ণাশ্রম সমেত যে সব ব্রাহ্মন্নবাদী আচরন, মানবিক আবেদনের বিপরীতে কাজ করবে, সেগুলি থেকে নিজেদের মুক্ত রাখার প্রশ্নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকেন, তবে তারাও নিজ ধর্মাচারনের পূর্ণ অধিকার পাবেন।তবে, সাম্যবাদীরা যেমন কখনো ব্যবস্থা বা রাষ্ট্রকে কোনদিন ধর্মের সাথে মিশতে দেবেন না, তারা অন্যকোন রাজনীতি যদি সে পথে পা বড়ান সর্বশক্তি দিয়ে তা প্রতিরোধ করবে। আরো বলে চলা উচিত সব সময়, ইতিহাসের কোন কালেই , এই নিয়মের ব্যতিক্রম হবে না এবং এই অবস্থান সাম্যবাদীদের কোন কৌশল নয়, এটা রননীতির অংশ।
তৃতীয়তঃ এই সুত্রেই বলে রাখি, নাস্তিকবাদ নিয়ে যারা কাজ করতে চান, করতেই পারেন। সেটাও বিজ্ঞানের একটা অংশ। তবে সেই কাজটা পৃথক সংগঠন করেই চালাতে হবে। কোন মতেই গনতান্ত্রিক বিপ্লবকে ভেতর থেকে প্রভাবিত করর চেষ্টা চলবে না।
এই সুত্রেই বলে রাখি, যদি পৌছুনোর চেষ্টা হয়, আন্তরিকতার সাথে কাজ করা হয়, ভারতের ৫০% শতাংশ মানুষ সাম্যকে মানবেন, কিন্তু ধর্মীয় অধিকারের সাথে সামঞ্জস্য আনতে পারেন না, অনেক সময়।
লেখক নিজে, রোজ প্রভাতে এমন এক'শ জনের মতো বন্ধুর কাছ থেকে শুভেচ্ছা পান এবং তাদের অনেকেই সাম্যের গনতান্ত্রিক অভিমুখের সাথে রয়েছেন, কিন্তু তারা একাধিক হিন্দু দেবদেবীর ছবি পাঠান। লেখক রোজ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং কথাবার্তা চালিয়ে যান। (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours