জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা:
যদি অনেকে ভেবে থাকেন, উনি আবার যথা সময়ে ফিরে আসবেন তবে ভাবতে থাকুনঃ
প্রশ্নটা
তাদের জন্য, যারা সাম্যে নিবেদিত এবং তত্বের সাথে অভিজ্ঞতার মালা গাথার
চেষ্টা করেছেনঃ তারা কি ভাবছেন নিজের ভেতরটার সাথে কথা বল্লে কী মনে হয়,
ওটা আবার ফিরে আসবে? সেই ফর্ম এ।
যারা
মেনে চলেছেন যেন, বাংলার গনতন্ত্রটা যে অবস্থায় শ্রীমতি মমতা বামফ্রন্ট
এর হাত থেকে নিয়েছিলেন, নিশ্চিতভাবে উনার অরাজকতার কর্মসূচী
---
রাজ্যকে সেই যায়গায়, নিয়ে গিয়ে সাম্যবাদীদের হাতে হস্তান্তর করে, উনি
যাবেন। অনুরুপভাবে, হয়তো বা অনেকেই ভাবতে পারেন, শ্রী মোদির শাসনো, কোন
এক শান্তিপূর্ন উপায়ে হস্তান্তরীত হবে উদারবাদী গনতন্ত্রীদের হাতে।
তারা
বলতে থাকুন না। এই লাইনকে অভিজ্ঞতার নিরিখে,যদি এমন একটা নাম দেন
"সাম্যবাদী পথে সরকারিয়ানার পথে, কোন সাম্যবাদী আন্দোলনের পুজিতান্ত্রিক
উত্তরন।এতে একপ্রান্তে গবেষনার ধকল যেমন কম, অন্যপ্রান্তে, বাম আমলের
শেষপ্রান্ত থেকে পচনের ভেতর দিয়ে,যে শক্তির অভ্যুত্থান ঘটেছে, এবং সময়
কাল্
----- বিভিন্ন দলের সাপ্লাই লাইন হিসেবে কাজ
করে থাকে, থাকে, তারাই সাম্যবাদী আন্দোলনের কেডার বেস হিসেবে কাজ করতে
পারে। যেভাবে, সি পি আই এম থেকে তৃনমুল হয়ে বিজেপি রুট ধরে, আবার দলে ফিরে
আসার ছবি রোজ গনশক্তিতে বেরুচ্ছে, সেখানে
------
কালান্তরে রাহুগ্রাস কাল শেষ হয়ে যাওয়ার পর, আবার সেই পুরানোর ফিরে আসার
ভাবনাও একটা লাইন হিসেবে আমাদের রাজ্য কেন, ভারতবর্ষেও সে ধারনা শক্তিশালি
রয়েছে, বলে মানবেনঃ সেই গনতন্ত্রটা আবার ফিরে আসবে।
আমার লেখাটা তাদের জন্যঃ যারা স্বাধীনতাত্তোর কালের শ্রমিক আন্দোলন এবং সাম্যের ছায়ায় লালিত-পালিত হয়েছেন,
------ বিগত পাচ হাজার বছরে,
স্বাধীনতার পর যারা, ভাবে চেতনায়,জ্ঞানে এবং সংস্কৃতিতে, বিদ্যায়, সামাজিক মর্য্যাদায় এবং আর্থিক সুবিধা
-----
বিগত পাচ হাজার বছরের সব থেকে বেশী এই ভারত থেকে পেয়েছেন, এবং মেনেছেন এই
পাওয়াটার উচ্চতা পরিমাপ করা কখনো সম্ভব নয়, তারা কী ভাবছেন ভবিষ্যতের
জন্য, তাদের জবাবটাই কী হবে তার উপরেই সম্ভবত এই দেশের ভবিষ্যত নির্ভর
করছে।
কিছু নয়, একটা কাজ
তারা করুন। ইতিহাসটা শ্রমের বিবর্তনের আলোকে পড়ুন এবং পড়তে বলুন। কমিউনিষ্ট
ম্যানিফেষ্টোর আলোকে, ইতিহাসের আবর্তনে শ্রমিক আন্দোলনের অভিমুখ কিভাবে,
প্রথমে সারা ইউরোপে এবং বিশ্বকে প্রভাবিত করেছে, সেটা বুঝতে সেখানে।
ইতিহাসের গতিমুখটা, একপ্রান্তে জ্ঞানের আলোকে বুঝতে বলুন। কর্মীরা শিখুক -
জ্ঞান এবং ইতিহাসের পারম্পরিকতাকে বিজ্ঞানের তিন দিকের (জৈব, অজৈব এবং
ইতিহাসের) একত্মতায় কিভাবে জ্ঞান এবং সংস্কৃতির সাথে সাথে সৃজনীর অভিমুখ
উন্মুক্ত হয়, সেটা সবাই শিখুক।
------
বিশ্ব সাম্যবাদী আন্দোলনের হাতে হাত মিলিয়ে, ভারতীয় সাম্যবাদী আন্দোলনের
প্রবিত্র স্পর্শে যে কিভাবে ভারতীয় গনতন্ত্রের বিকাশের সাথে সাথে সংসসদীয়
গনতন্ত্র বিকশিত হয়েছে, তার একটা চালচিত্র উন্মোচিত হোক।
আজকে
এই মুহূর্তে যদি একটা গননা করা যায়, দেখা যাবে সাম্যবাদী দল এবং ট্রড
ইউনয়ন নেতাদের ৫ ভাগ কমিউনিষ্ট ম্যানিফেস্টো পড়েন নাই, ভারতের শ্রমিক
আন্দোলনের হাত ধরাধরি করে,
----- কিভাবে ভারতে সাম্য বিকশিত হয়েছে, তার চালচিত্রকে খুব বেশী হলে, ৫ভাগ জানেন।
এ দিয়ে, না শ্রেনী গৌরব না, সাম্যের রাজনীতির সাথে একাত্ম থাকার জন্য আত্মমর্যয়াদার বিকাশ ঘটে।
At the Last I have a request for the Trade Union Cadres CITU. সি আই টি ইউ ভবনের পর, পি রামমূর্তী ভবন নির্মান হয়েছে।
-----
সি আই টি ইউ এর জমি পাওয়ার সব কটি স্তর জীবন রায়কে, অতিক্রম করিয়ে আসতে
হয়েছে। পি রামমুর্তী শিক্ষাকেন্দ্রের জমি যোগানের প্রাথমিক কাজগুলিকেও
তাকেই করতে হয়েছে।
জানিয়ে
রাখিঃ বি টি আর ভবন নির্মিত হয়েছিলো,গবেষনা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার সর্ত
পুরনের জন্য। আজকে যা গবেষনা হচ্ছে, তা অন্য এক পৃ্থক লেখায় উল্লেখ করবো।
কিন্তু অনুরোধ -
আপনারা দেখুন, পি আর শিক্ষা কেন্দ্র যাতে কোন মতেই
------ সাম্যবাদী পথে সরকারীয়ানায় উত্তোরন কেন্দ্র না হয়ে দাড়ায়। (ক্রমশ)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours