শ্রাবণী মজুমদার লেখিকা, বীরভূম:
প্রেত যোনি প্রাপ্ত হওয়ার পরও, কিভাবে নারী দেহ রমণ করার ইচ্ছে কি থেকেই যায়? উত্তর যায় হোক, এই বিশ্বাস এখনও প্রচলিত আফ্রিকার কোন কোন জায়গায়!
আমাদের দেশে পরকীয়া আইন সিদ্ধ। কিন্তু তার মধ্যে প্রেত আসে না। তবে প্রেতের কামেচ্ছা নিয়ে সিনেমা আছে বলিউডে। সেখানে প্রেতের সাথে টাবুর বিছানার দৃশ্য মনে করুন, তাহলে বুঝতে পারবেন। মৃত্যুর পরও প্রেত কিভাবে নারী দেহ রমণে পারদর্শী।
প্রেত যোনি প্রাপ্ত স্বামীর হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আফ্রিকার ঘানায় এক অদ্ভুত প্রথা আছে। যা আমাদের চমকে দিতে পারে!
রীতিটা এমন--
কোন স্ত্রীর স্বামী মারা গেলে, প্রথমে স্বামীর প্রেতাত্মা তাড়ানোর জন্য এক অদ্ভুত প্রথার প্রচলন আছে সেখানে।
কি সেই প্রথা? সেই বিধবা মহিলাকে যে কোন আগন্তুকের সাথে এক রাত কাটাতে হবে। সেই আগন্তুক ব্যক্তি কোন অচেনা মানুষ হোক বা কোন ভ্রমণকারী হোক। তাতে পরিবারের আত্মীয় স্বজন কিছু মনে করে না। ঐ পুরুষের সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হয়ে সে তার প্রয়াত স্বামীর প্রেতাত্মা তাড়ায় ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। আর এই প্রথা টিকিয়ে রাখতে ওই বিধবার শ্বশুর বাড়ির লোকজন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।
সেক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী, পরিবারের ছোট দেবরের অগ্রাধিকার বৌদির সাথে দৈহিক মিলনের। দেবর রাজী না হলে। পরিবারের অন্য সদস্য এগিয়ে আসে। সেটাও অমিল হলে, ট্যুরিস্টদের সেই সুযোগ দেওয়া হয়। এই প্রথা এই উপজাতিদের কাছে আবশ্যকীয়। এভাবেই প্রেত তাড়িয়ে স্বামীর মৃত্যুর পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে। নচেৎ নয়। তবে, স্বামী মারা যাওয়ার কিছু দিন পর এই প্রথা পালনে উদ্যোগ নেয় পরিবার। এর থেকে রেহাই নেই। কোন মহিলা যদি ফের সংসারে অর্থাৎ যৌন জীবনে ফিরতে না চায়, তার মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কাউকে ওই মৃতদেহের সাথে সঙ্গম করতে হবে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours