ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুরঃ  "হটী -সেতো  ডাক  নাম! তোমার  পোষাকী  কোন  নাম নেই ?" রূপেন্দ্র  জিজ্ঞাসা করল?
      "না,আমার  দাদু  একটাই  নাম  দিয়েছেন " বলল  বালিকাটি!
      " তোমার  বাবা  মা  কোন জমকালো নাম  দেননি,?" জানতে  চাইলো  রূপেন্দ্র
" আমার  মা  আতুড়  ঘরেই  মারা  গেছে, বাবা  বিবাগী " জানালো  হটী! রূপেন্দ্র  বুকে  জড়য়ে  ধারলো  হটীকে, তাঁর  বুঝতে  অসুবিধা  হ'ল  না  এই  হটীই  তার  আত্মজা! এখন  অনুভব  করলেন  কেন  হটীকে  দেখার  পর তার  এত  আপন  মনে  হয়েছে! বুকের  ভিতরটা  মোচড়  দিয়ে  উঠেছে!
          রূপেন্দ্র  আবার  প্রশ্ন  করলো  " তোমার  ছোট  মা  মানে  তুলসী  তোমাকে  বলে নি  তোমার  বাবা  তোমার  একটা  নাম  রেখেছিল?"
        "হ্যাঁ , মনে  পড়েছে..রুপোমনচুরি"  বলল  হটী !
    ঠিক  রুপোমনচুরি  ই  তো! আজ  , রূপেন্দ্রর  মন  চুরি  করেছে  হটী! আবার  রূপেন্দ্র বুকে  চেপে  তাঁর  কলিজার  টুকরো, পরম  আপনজকে!
  
      প্রচন্ড  ক্ষুব্ধ  হয়ে  উঠেলেন  রূপেেন্দ্র, তার  দুচোয়াল শক্ত  করে  অগ্নীদৃষ্টিতে  তাকালেন রূপেন্দ্র, এমন  সময়  নেপথ্যে  বজ্রগম্ভীর  স্বরে  আওয়াজ  আসা. "ক্ষান্ত  হও  রূপেন্দ্র "
ঘুরে  দাঁড়ালেন  রূপেন্দ্র  দেখলেন  তাঁর গুরুদেব  এসে  প্রায়  সঞ্জাহীন  হটীকে  কোলে  তুলে  নিলেন! তারপর  ভাবতারনকে  প্রশ্ন  করলেন, " তুমি  এই  ছোট বাচ্চাটাকে  এভাবে  মারলে  কেন?"
      
  ইতিমধ্যে  ভবতারন  সেখানে  উপস্হিত  হয়ে  রূপেন্দ্র হটীকে  আদর  করছে  দেখে  রাগে  অগ্নীশর্মা  হয়ে  উঠলেন! এক  হ্যচকায়  হটীকে  টেনে  নিয়ে  কষে  এক  থাপ্পড়  মারলেন  হটীকে! রূপেন্দ্রর  উপর  রাগটা  শিশুটির পড়ল!
ভবতারন, কোন  উত্তর  না  দিয়ে  ওকে  ফেরৎ  চাইলেন!
        জগন্নাথ  তর্ক  পঞ্চানন, ভবতারনকে  বললেন, " কথা  না  ঘুরিয়ে  উত্তর  দাও "
     ভবতারন  বিরক্ত  হয়ে  বললেল, " আমার  নাতনী  অন্যায়  করেছে  আমি  তাকে  শাসন  করেছি, এজন্য  আমি  কারোকে  কৈফিয়ত  দিতে  বাধ্য  নই!
(চলবে) 


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours