ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
নন্দ চাটুজ্জ্যে ও শিরোমনি মাঝে কিছু বলতে চেষ্টা করলে , বাচস্পতি মশাই তা প্রতিহত করেন! উপসংহারে রূপেন্দ্র বললেন, নন্দ খুড়ো জানতে চাইছিলেন ভূ ভারতে যা নেই তা প্রবর্তন করতে চাইছি কেন?
চিরকাল যা চলেছে সেটা বাঞ্ছনীয় নাও হতে পারে! এক সময় মানুষ আগুন জ্বালাতে, কৃষিকাজ করতে জানতো না!যে মানুষটি প্রথম আগুনের ব্যবহার শিখল এবং যে প্রথম কৃষিকাজ শুরু করল! তাঁরা কি সমাজের ক্ষতি করল? নাকি সমাজকে উন্নতির পথে নিয়ে গেল?
নন্দ আবার বিদ্রুপ করে বললেন," তুমি বুঝি নয়া যুগবতার?"
এবার রূপেন্দ্র পাল্টা নন্দ চাটুজ্জেকে বললেন," নন্দখুড়ো, আপনি ভু ভারতে সোঁয়াই গ্রামের একবগ্গা দিঘীর মতো কোন সংরক্ষিত পুকুর দেখেছেন? আপনি কি অস্বীকার করতে পারেন যে, পাশের গাঁয়ে আন্ত্রিকের প্রকোপ চালু হলেও যারা একবগ্গা দিঘীর জন পান করে তাঁদের পরিবারে আন্ত্রিক হয় না!নন্দ কিছু বলার আগেই বাচস্পতি বললেন, " এটা পরিক্ষিত সত্য! কিন্তু তাতে কি হয়েছে? নন্দ চাটুজ্জ্যে এবার চিৎকার করে বলতে লাগলেন,"গ্রামের ইতর ভদ্র সবাইকে বলছি, রুপেনের মেয়েদের২ চতুষ্পাঠীতে হিন্দু মোছলমান মেয়েরা একসাথে পড়বে এটা কিছুতেই বরদাস্ত করবে না !
বাচস্পতি এবার রূপেন্দ্রকে বললেন, " রূপেন তোমার বক্তব্য তুমি গ্রামবাসীকে শুনিয়েছো , এবার গ্রামবাসী তাঁদের মতামত দেবেন!এবার তোমার কোন আপত্তি নেই নিশ্চয়?"
রুপেন্দ্র বললেন, " আসামীকে তার শেষ বক্তব্য রাখার সুযোগ দেবেন নিশ্চয়ই?"
বাচস্পতি মশাই এর অনুমতি নিয় রূপেন্দ্র বলতে শুরু করলেন, আমার এই ' ব্রজসুন্দরী মহিলা বিদ্যানিকেতন 'সপক্ষে বা বিপক্ষে রায় দেওয়ার পূর্বে আমি গ্রামবাসীকে কিছু বলতে চাই , আমার গুরুদেব ত্রিবেনীর মহামহোপাধ্যায় জগন্নাথ তর্ক পঞ্চানন আমাকে স্বকন্যা সোঁয়াই গ্রামে প্রত্যাবর্তনে বাধা দিয়েছিলেন! তাঁকে বর্ধমানের মহারাজ হাজার বিঘা নিষ্কর জমি দান করেছেন! তাঁর বাসনা, তিনি সেখানে একটি আয়ুর্বেদ মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করবেন! আমাকে মাসিক একশত টাকা বেতনে অধ্যক্ষ নিযুক্ত করতে চেয়েছিলেন
(চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours