কাজল ভট্টাচার্য, সিনিয়র জার্নালিস্ট, কলকাতা:

বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের জালে ধরা পড়লেন আইপিএস অফিসার এসএমএচ মির্জা। প্রসঙ্গত নারদা মামলায় এই প্রথম কেউ গ্রেপ্তার হলেন।
সারদা কেলেঙ্কারি তদন্তে সিবিআই যখন হন্যে হয়ে রাজীব কুমারকে খুঁজে বেড়াচ্ছে, ঠিক তখনই মির্জার গ্রেপ্তারি ফের নারদ মামলার দিকে নজর ঘুরিয়ে দিলো। বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেপ্তারের পরেই বিশেষ আদালতের নির্দেশে পাঁচদিনের হেফাজতে পেল সিবিআই। এরপরেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মির্জাকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যান সিবিআই কর্তারা। আগামী তিরিশ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁকে জেরা করবে সিবিআই। অভিযোগ, এর আগে জেরার মুখে পড়ে মির্জা যা তথ্য দিয়েছিলেন, তাতে প্রচুর অসঙ্গতি ছিল।

২০১৪ সালে এক স্টিং অপারেশন চালান নারদ নিউজ পোর্টাল কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল। এক ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে তিনি হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের শাসকদলের একাধিক মন্ত্রী, নেতার কাছে। অপারেশনের ভিডিও ফুটেজ দেখা গিয়েছিল, মোটা টাকার বিনিময়ে সেই ব্যবসায়ীকে বেশকিছু সুযোগ সুবিধার প্রতিশ্রুতির জন্য দরবার করতে। অপারেশনের দু'বছর পরে ওই ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেন স্যামুয়েল। ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই ওই ঘটনা লোকচোখের সামনে আনা নিয়ে সে সময় বিস্তর রাজনৈতিক জলঘোলা হয়।

আদালতের আদেশে সিবিআই ২০১৭ সালের এপ্রিল মাস নাগাদ এক এফআইআর দায়ের করে। ওই এফআইআরে তৃণমূল কংগ্রেসের তেরো নেতার নাম উল্লেখ করা হয়। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও সাংসদের নামও ছিল। এরপর থেকেই ধাপে ধাপে তাঁদের জেরা শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে বৃহস্পতিবারের আগে নারদ মামলায় কেউ গ্রেপ্তার হননি।

স্টিং অপারেশন চলার সময় এসএমএচ মির্জা বর্ধমানের পুলিস সুপার ছিলেন। সিবিআইয়ের অভিযোগ, তদন্তের কাজে কোন রকম সহযোগিতা করেননি ওই আইপিএস অফিসার। উল্টে জেরার সময় নানা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে তদন্তের মুখ ঘুরিয়ে দিতে চেষ্টা চালিয়েছিলেন।  

এদিকে আজও সারদা মামলায় রাজীব কুমারের আগাম জামিন নিয়ে শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আগামিকালও ওই শুনানি চলবে। ওদিকে পঁচিশ তারিখ রাজ্য গোয়েন্দাকর্তার ছুটি শেষ হলেও তিনি কাজে যোগ দেননি। ভবানী ভবনের ওপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা।


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours